মাসুদ রানা, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৩নং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আলোকডিহি অহিপাড়ার জালাল উদ্দীনের ছেলে সাইদুল ইসলামের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে ৩টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দুটি ইউনিট। নীলফামারী উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও খানসামা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।
গতকাল শনিবার রাত অনুমান সাড়ে ৯টায় আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। এতে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সাইদুল ইসলামের বাড়িতে আগুন লাগে। আমরা এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক ছুটে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। অর্ধেক আগুন নেভানোর পর আমরা বুঝতে পারি এটি গোয়াল ঘর এবং ৩টি গরুর মৃত্যু দেখতে পাই। অর্ধেক আগুন নেভানোর সময় পর্যন্ত পরিবারটির একটি অল্প বয়সী (৮) মেয়ে ছাড়া বাড়িতে কাউকে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে বাড়ী পোড়া যাওয়া ব্যাক্তি সাইদুল ইসলাম বলেন, ছোট মেয়েকে বাড়িতে রেখে আমরা পরিবারের সকলে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলাম। মেয়েটিই সন্ধায় গরুগুলো গোয়াল ঘরে বেধে দরজা লাগিয়ে দিয়েছিলো।এরপর আমরা আত্মীয়র বাড়ি থেকে রাতে বাড়ি ফিরে এসে মেয়েটিকে অন্য ঘরে রেখে কাছেই আমার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষন পর মানুষের শোরগোল শুনে বাড়িতে ছুটে এসে দেখি আমার শেষ সম্বল গরু ৩টির মৃত্যু হয়। একটি গাভী, ১টি বাছুর ও ১টি গাভিন গরু ছিলো। যা দাম হতো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
কিভাবে আগুন লেগেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোয়াল ঘরে কোন কয়েল জালিয়ে দেয়নি। কিভাবে আগুন লেগেছে তা আমরা জানিনা। খানসামা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী অফিসার মমতাজুল ইসলাম বলেন,আমরা যেহেতু একটু পরে এসেছি। তাই তথ্য দিচ্ছিনা। তারাই সকল তথ্য দিবেন।
নীলফামারী উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সিনিয়র অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ছুটে এসে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। আগুন নেভানোর শেষের দিকে খানসামা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এসেছিলেন। আমরা ধারণা করতেছি বিদ্যুৎতের সর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ৩টি গরু মারা গিয়েছে। মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হয়েছে।