বাংলাদেশ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

যাত্রী অধিকার দিবসের বক্তারা বৈষম্য দুর করতে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে মালিক-শ্রমিকদের সাথে যাত্রীর প্রতিনিধিত্ব চাই।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬০৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

এম মনির চৌধুরী রানা

পরিবহনে বৈষম্য দুর করতে পরিবহন পরিচালনা ও সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে সমাজের বিশিষ্টজনেরা।

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার দেশের রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে যাত্রী অধিকার দিবসের আলোচনা সভায় উপরোক্ত দাবী উঠে আসে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে “বিগত সরকারের প্রণীত সড়ক আইনে যাত্রী স্বার্থ উপেক্ষিত” শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

উল্লেখ্য যে, যাত্রী হয়রানী, ভাড়া নৈরাজ্য, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, সড়ক দুর্ঘটনা, অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের প্রতীকি দিবস হিসেবে বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ বারের মতো এই দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহনে বিশৃংঙ্খলা ও নৈরাজ্য কিছুতেই থামছে না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবীতে দেশের ইতিহাসে সারা জাগানো সর্ববৃহত ছাত্র আন্দোলনের পরে, বিগত আওয়ামীলীগ সরকার সড়ক পরিবহনের নতুন আইন করলেন। আইন বাস্তবায়নও হলো। কিন্তু পরিবহনে বিশৃংঙ্খলা কেবল বাড়ছেই। পরিবহনখাতসহ দেশের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার শত সহশ্র তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরেও দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রী সাধারণ ছিল বঞ্চিত। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে তাদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।

পরিবহনের প্রধানতম স্টেকহোল্ডার দেশের জনগন তথা যাত্রী সাধারণ হলেও, আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত ১৬ বছর পরিবহন পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান স্টেকহোল্ডার যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব বাদ দিয়ে সরকারের অনুগত লেজুরভিত্তিক একটি বাস মালিক সমিতি ও একটি পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবহন সেক্টর পরিচালনা করতে গিয়ে সবকিছু যেন লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি করেছে তৎকালীন সরকার। ফলে পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানী অস্বাভাবিক হারে কেবল বেড়েছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে যাত্রী সাধারণের সাথে সরকারের যোগাযোগের কোন উপায় ছিল না। পরিবহন সেক্টরে যাত্রী স্বার্থের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশন গুটিকতেক নেতাদের প্রেসক্রিপসনে। ফলে রাজধানীর কোন বাসে একজন ভদ্রলোকের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে যাতায়াতের পরিবেশ নেই। সিটি সার্ভিসগুলোর কোন বাসের আসনে বসা যায় না। পরিস্কার-পরিচ্ছনতার বালাই নেই। সিট ভাঙ্গা, দরজা জানালা ভাঙ্গা, বাসের ছালতা উঠে গেছে বহুযুগ আগে।

এসব মেয়াদোর্ত্তীন লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদের নামে নানান তাল বাহানা, নানান আশ্বাস, নানান কমিটি করে মিডিয়ার সামনে আইওয়াশ করতো তৎকালীন সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফলে তিনি ধারাবাহিকভাবে চার মেয়াদে ১৫ বছর সড়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেও দেশের মানুষকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শান্তি ও স্বস্থি দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের সংকটকে পুঁজি করে বিগত ১৫ বছরে দেশের সড়ক যোগাযোগে উন্নয়নের অবকাঠামো নির্মাানের জন্য নেওয়া হয়েছে একের পর এক মেগা প্রকল্প, উদেশ্য ছিল মেগা লুটপাট।

পরিবহনে মালিক-শ্রমিক নেতাদের তোষামোদি করার মাধ্যমে যাত্রীদের পকেট কাটার নৈরাজ্য চলেছে। চাঁদাবাজির নামে শতশত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা চাঁদাবাজির অংশীদার থাকায় কোন প্রতিবাদ করা যায়নি। এই বৈষম্য দুর করতে হলে, পরিবহন আইন সংশোধন করে যাত্রী ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে আজ পরিবহনে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি বন্ধ হলেও পণ্যমূল্য কমছে না, বাস ভাড়া কমছে না। আওয়ামীলীগের সিন্ডিকেট পালিয়েছে এখন সিন্ডিকেট করছেন কারা। এখন পরিবহনে চাঁদাবাজি করছেন কারা। তার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্ছার হতে হবে। অবশ্যই পণ্যমূল্য ও বাস ভাড়া কমাতে হবে। গত ১ মাসে সড়ক উপদেষ্টা জনগন সরাসরি উপকৃত হয় এমন কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম হাতে নিতে পারেনি।

নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, সড়কে বিশৃংঙ্খলা ও নৈরাজ্য থামাতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্ববান হওয়া জরুরী। আইনের সুশাসন ও পরিবহনের কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আসা জরুরী।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার রফিকুল হোসেন কাজল বলেন, ঢাকা শহরে চলাচলকারী প্রতিটি বাস মোটরযান আইন অনুযায়ী ফিটনেসের অযোগ্য। মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে এসব বাস রাস্তায় চলে। এসব বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। পরিবহনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনা না গেলে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধ হবে না। তাই এইখাত আমুল সংস্কার করা এখন সময়ের দাবী।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমম্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাদল আহমেদ, যাত্রী কল্যাণ সমিতির নেতা তাওহিদুল হক লিটন, এম মনিরুল হক, মাহমুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

যাত্রী অধিকার দিবসের বক্তারা বৈষম্য দুর করতে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে মালিক-শ্রমিকদের সাথে যাত্রীর প্রতিনিধিত্ব চাই।

আপডেট সময় ০৫:১২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

এম মনির চৌধুরী রানা

পরিবহনে বৈষম্য দুর করতে পরিবহন পরিচালনা ও সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে সমাজের বিশিষ্টজনেরা।

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার দেশের রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে যাত্রী অধিকার দিবসের আলোচনা সভায় উপরোক্ত দাবী উঠে আসে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে “বিগত সরকারের প্রণীত সড়ক আইনে যাত্রী স্বার্থ উপেক্ষিত” শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

উল্লেখ্য যে, যাত্রী হয়রানী, ভাড়া নৈরাজ্য, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, সড়ক দুর্ঘটনা, অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের প্রতীকি দিবস হিসেবে বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ বারের মতো এই দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহনে বিশৃংঙ্খলা ও নৈরাজ্য কিছুতেই থামছে না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবীতে দেশের ইতিহাসে সারা জাগানো সর্ববৃহত ছাত্র আন্দোলনের পরে, বিগত আওয়ামীলীগ সরকার সড়ক পরিবহনের নতুন আইন করলেন। আইন বাস্তবায়নও হলো। কিন্তু পরিবহনে বিশৃংঙ্খলা কেবল বাড়ছেই। পরিবহনখাতসহ দেশের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার শত সহশ্র তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরেও দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রী সাধারণ ছিল বঞ্চিত। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে তাদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।

পরিবহনের প্রধানতম স্টেকহোল্ডার দেশের জনগন তথা যাত্রী সাধারণ হলেও, আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত ১৬ বছর পরিবহন পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান স্টেকহোল্ডার যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব বাদ দিয়ে সরকারের অনুগত লেজুরভিত্তিক একটি বাস মালিক সমিতি ও একটি পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবহন সেক্টর পরিচালনা করতে গিয়ে সবকিছু যেন লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি করেছে তৎকালীন সরকার। ফলে পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানী অস্বাভাবিক হারে কেবল বেড়েছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে যাত্রী সাধারণের সাথে সরকারের যোগাযোগের কোন উপায় ছিল না। পরিবহন সেক্টরে যাত্রী স্বার্থের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশন গুটিকতেক নেতাদের প্রেসক্রিপসনে। ফলে রাজধানীর কোন বাসে একজন ভদ্রলোকের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে যাতায়াতের পরিবেশ নেই। সিটি সার্ভিসগুলোর কোন বাসের আসনে বসা যায় না। পরিস্কার-পরিচ্ছনতার বালাই নেই। সিট ভাঙ্গা, দরজা জানালা ভাঙ্গা, বাসের ছালতা উঠে গেছে বহুযুগ আগে।

এসব মেয়াদোর্ত্তীন লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদের নামে নানান তাল বাহানা, নানান আশ্বাস, নানান কমিটি করে মিডিয়ার সামনে আইওয়াশ করতো তৎকালীন সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফলে তিনি ধারাবাহিকভাবে চার মেয়াদে ১৫ বছর সড়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেও দেশের মানুষকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শান্তি ও স্বস্থি দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের সংকটকে পুঁজি করে বিগত ১৫ বছরে দেশের সড়ক যোগাযোগে উন্নয়নের অবকাঠামো নির্মাানের জন্য নেওয়া হয়েছে একের পর এক মেগা প্রকল্প, উদেশ্য ছিল মেগা লুটপাট।

পরিবহনে মালিক-শ্রমিক নেতাদের তোষামোদি করার মাধ্যমে যাত্রীদের পকেট কাটার নৈরাজ্য চলেছে। চাঁদাবাজির নামে শতশত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা চাঁদাবাজির অংশীদার থাকায় কোন প্রতিবাদ করা যায়নি। এই বৈষম্য দুর করতে হলে, পরিবহন আইন সংশোধন করে যাত্রী ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে আজ পরিবহনে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি বন্ধ হলেও পণ্যমূল্য কমছে না, বাস ভাড়া কমছে না। আওয়ামীলীগের সিন্ডিকেট পালিয়েছে এখন সিন্ডিকেট করছেন কারা। এখন পরিবহনে চাঁদাবাজি করছেন কারা। তার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্ছার হতে হবে। অবশ্যই পণ্যমূল্য ও বাস ভাড়া কমাতে হবে। গত ১ মাসে সড়ক উপদেষ্টা জনগন সরাসরি উপকৃত হয় এমন কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম হাতে নিতে পারেনি।

নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, সড়কে বিশৃংঙ্খলা ও নৈরাজ্য থামাতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্ববান হওয়া জরুরী। আইনের সুশাসন ও পরিবহনের কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আসা জরুরী।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার রফিকুল হোসেন কাজল বলেন, ঢাকা শহরে চলাচলকারী প্রতিটি বাস মোটরযান আইন অনুযায়ী ফিটনেসের অযোগ্য। মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে এসব বাস রাস্তায় চলে। এসব বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। পরিবহনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনা না গেলে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধ হবে না। তাই এইখাত আমুল সংস্কার করা এখন সময়ের দাবী।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমম্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাদল আহমেদ, যাত্রী কল্যাণ সমিতির নেতা তাওহিদুল হক লিটন, এম মনিরুল হক, মাহমুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।