আব্দুল্লাহ আল মামুন যশোর
যশোরের মণিরামপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২৭ জুলাই শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মনিরামপুর উপজেলার হলরুমে জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত ৬টি জটিল রোগে আক্রান্ত গরীব অসহায় ও দুস্ত রোগীদের মাঝে এক কালীন অনুদানের চেক বিতরণের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মণিরামপুরের এমপি ইয়াকুব আলী ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, ভাইস চেয়ারম্যান স্বন্দীপ ঘোষ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার সহ মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বিশেষ অতিথির হিসেবে আমজাদ হোসেন লাভলুর বক্তব্য রাখছিলেন। এসময় সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ভাইপো রিয়াদ হোসেন হলরুমের পশ্চিম পাশে সিগারেট খেতে থাকেন।
উপস্থিত জনতা সিগারেট খেতে নিষেধ করলে বাধে হট্টগোল। এসময় সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী শহিদুল ইসলাম ইয়াকুব আলীর অনুসারীদের নিয়ে পশ্চিম পাশে এসে উপস্থিত জনতাকে মারধর শুরু করেন। বাধে উপস্থিত জনতার সাথে মারামারি। সাথে সাথেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। হামলা কারীরা সবাই সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর অনুসারী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহত রা হলেন, আলী কদর রনি, মুমিতুন্নবী পরশ, শাকিল সহ আরো দুই জন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:তন্ময় বিশ্বাস বলেন, হতাহতের ঘটনায় ৫ জন মনিরামপুর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে যশোর ৫ আসনের এমপি ইয়াকুব আলী বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে যারা এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না।
এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু বলেন, এ ঘটনায় উপস্থিত তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।