সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ঃঃ
পঞ্চসার জিয়সতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত জায়গার শতবর্ষ পুরানো ৩টি গাছের মধ্যে ২টা গাছ কেটে ফেলেছে সুধির মন্ডল ও কালী দাসের নেতৃত্বে। বিশাল আকৃতির স্কুলের এই গাছ কেউ কাটতে সাহস না পেলেও সুধির মন্ডল কালী দাস সিরাজ সর্দারকে দিয়ে কেটে সাইজ করে ফেলেছেন। একটি গাছ এখন দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের জায়গায়। মঙ্গলবার বিকাল ১টার সময় পঞ্চসার জিয়সতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই জায়গাটি মন্দির কর্তৃপক্ষ দখল করে নেয়ার পায়তারা করছে বলে শিক্ষকগণ জানিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে স্কুলের জায়গায় জোরপূর্বক গেট লাগিয়েছেন সুধির মন্ডল ও কালী দাস।
পঞ্চসার জিয়সতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোতাহারা বেগম জানান, ৮ বছর পূর্বে স্কুলের নামে একটি সাইনবোর্ড সাটানো ছিল। সেটাও সরিয়ে ফেলেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। মামলা চলমান অবস্থায় কিভাবে স্কুলের লাগানো গাছ কেটে ফেলেছে আমার বুঝে আসে না। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকাল ২টায় খবর পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে গেটের চাবি নিয়ে আসেন এবং গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসিমা খানম জানান, বিষয়টি জানার পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। বাকী আগামীকালকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার জানানোর পরে সে দুইবার জানানো হয়েছে কিন্তু সে জানিয়েছেন বিষয়টি জেনে পরে জানাচ্ছি। রাত সোয়া আটটার সময় সেলফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, সহকারি শিক্ষক ও বনবিভাগের কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। তাদের মাধ্যমে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুধির ও কালিদাসের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
সাবেক সভাপতি ফিরোজ জানান, স্কুলের জায়গার দলিলাদি পাওয়ার পরই আদালতে মামলা করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপজেলায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য গিয়েছি কিন্তু অফিসারগণ সকলে মিটিংয়ে থাকার কারণে কোন অভিযোগ দিতে পারিনি। আগামীকালকে লিখিত অভিযোগ দেব।