বাংলাদেশ ১১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ  হাইকোর্টের নির্দেশে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ। দুই স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাবির জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে ঢাবির দুই দল ঝালকাঠীর দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতি-সড়ক অবকাঠামো দায়ী। সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  নাগরপুরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।  স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০০০ রিকশাচালকের মাঝে শোভনের ক্যাপ বিতরণ রাঙ্গাবালী খালে পাওয়া টর্পেডো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে নৌবাহিনী। পঞ্চগড়ে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যেগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ উপাচার্য-ট্রেজারের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ক্লিন,গ্রীন ও স্মার্ট সি‌লেট গড়ার ল‌ক্ষ্যে সিসিক মেয়র এর সা‌থে আন্তর্জা‌তিক ব্যবসায়ীদের বৈঠক ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

নরসিংদীতে মরা নদীর তীরে অষ্টমী স্নানে ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৫৯৭ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদীতে মরা নদীর তীরে অষ্টমী স্নানে ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল

 

 

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ -নরসিংদী প্রতিনিধি :

নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনার শাখা মরা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী পাগলনাথ মন্দির ঘাটে অষ্টমী স্নান ও গ্রামীণ মেলা হয়েছে। এ সময় দুর দুরান্ত থেকে আগত ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল নামে। মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ভোর রাত থেকে সারাদিন পৌর তাত্তাকান্দা পাগলনাথ তীর্থ স্নান ঘাটে এ স্নান ও মেলা হয়।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সনাতন ধর্মমতে পাপ মোচনের আশায় ‘অষ্টম তৃথীর’ ভোর থেকে মেঘনা নদী ঘাটে স্নান শেষে মন্ত্রপাঠ করতে সমবেত হন ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা। তাদের আগমনে পূর্ণাত্তিদের ঢল।

স্নান শেষে আগত ভক্তরা পূর্বপুরুষদের সর্গীয় আত্মার শান্তি মঙ্গল কামনায় এবং পূন্যলাভের আশায় পোরুহীতদের মাধ্যমে ভগবানের নিকট মঙ্গলবার কামনা করছেন। রায়পুরার অষ্টমীর স্নান শেষে পুণ্যার্থীরা স্কুল মাঠে ভেজা কাপড় শুকাচ্ছে পাশে গাছ তলায় বসে খাবার খাচ্ছেন অনেকে।

জানা গেছে, অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান সম্পন্ন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মেঘনার শাখা মরা নদীর তীরে তাত্তাকান্দা এলাকাটি তাঁরা তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। হিন্দুধর্মমতে, এটি পুণ্য কর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাঁদের পাপমোচন হয়। এ উপলক্ষে মন্দির এলাকায় ও স্থানীয় স্কুল মাঠে গ্রাম্য মেলা বসেছে। এটি সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। এ ছাড়াও দিনব্যাপী নানান আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

আয়োজকেরা জানান, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে ঘাট এলাকায় দিনব্যাপী স্নান ও মেলার আয়োজন থাকে। পাপমোচনের অভিপ্রায়ে প্রতিবছর জেলা ও জেলার বাইরে থেকে পুণ্যার্থী জড়ো হন। এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

পাগলনাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঞ্জয় পাল বিটু বলেন, প্রায় শত বছরের অধিক কাল থেকে উক্ত স্থানে স্নান অনুষ্ঠান চলে আসছে। সকলের সহযোগিতা পেলে আগামীতে আকর্ষণীয় পূণ্য তীর্থ স্থানে পরিনত হবে এমনটাই আশা করি। এখানে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী, রাধা অষ্টমী, শিব চতুর্দশী, অন্নপ্রসাদ উৎসব, বালি পূজা, শ্যামা পূজা, কালী পূজা, দোল পূর্ণিমাসহ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এখানে সপ্তাহে একদিন হরিসভা হয়।

আগত আরসি দাস, কমল চন্দ্রসহ অনেকে বলেন, প্রতিবছর এখানে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মিলে স্নান করতে এসেছি। নদে স্নান করলে সব পাপমোচন হয়। এটি পুণ্যার্থীদের জন্য পবিত্র দিন। এ বছর অষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে।

আগত ভক্ত সাধন দাশ বলেন, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিশাল বটবৃক্ষের মাঝে পাগলনাথ বাবার মন্দিরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। পাপ মোচন এর আশায় দূরদূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থীরা মনোবাসনা পূর্ণ করতে এখানে আসেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ 

নরসিংদীতে মরা নদীর তীরে অষ্টমী স্নানে ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল

আপডেট সময় ০৫:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

 

 

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ -নরসিংদী প্রতিনিধি :

নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনার শাখা মরা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী পাগলনাথ মন্দির ঘাটে অষ্টমী স্নান ও গ্রামীণ মেলা হয়েছে। এ সময় দুর দুরান্ত থেকে আগত ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল নামে। মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ভোর রাত থেকে সারাদিন পৌর তাত্তাকান্দা পাগলনাথ তীর্থ স্নান ঘাটে এ স্নান ও মেলা হয়।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সনাতন ধর্মমতে পাপ মোচনের আশায় ‘অষ্টম তৃথীর’ ভোর থেকে মেঘনা নদী ঘাটে স্নান শেষে মন্ত্রপাঠ করতে সমবেত হন ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা। তাদের আগমনে পূর্ণাত্তিদের ঢল।

স্নান শেষে আগত ভক্তরা পূর্বপুরুষদের সর্গীয় আত্মার শান্তি মঙ্গল কামনায় এবং পূন্যলাভের আশায় পোরুহীতদের মাধ্যমে ভগবানের নিকট মঙ্গলবার কামনা করছেন। রায়পুরার অষ্টমীর স্নান শেষে পুণ্যার্থীরা স্কুল মাঠে ভেজা কাপড় শুকাচ্ছে পাশে গাছ তলায় বসে খাবার খাচ্ছেন অনেকে।

জানা গেছে, অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান সম্পন্ন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মেঘনার শাখা মরা নদীর তীরে তাত্তাকান্দা এলাকাটি তাঁরা তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। হিন্দুধর্মমতে, এটি পুণ্য কর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাঁদের পাপমোচন হয়। এ উপলক্ষে মন্দির এলাকায় ও স্থানীয় স্কুল মাঠে গ্রাম্য মেলা বসেছে। এটি সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। এ ছাড়াও দিনব্যাপী নানান আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

আয়োজকেরা জানান, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে ঘাট এলাকায় দিনব্যাপী স্নান ও মেলার আয়োজন থাকে। পাপমোচনের অভিপ্রায়ে প্রতিবছর জেলা ও জেলার বাইরে থেকে পুণ্যার্থী জড়ো হন। এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

পাগলনাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঞ্জয় পাল বিটু বলেন, প্রায় শত বছরের অধিক কাল থেকে উক্ত স্থানে স্নান অনুষ্ঠান চলে আসছে। সকলের সহযোগিতা পেলে আগামীতে আকর্ষণীয় পূণ্য তীর্থ স্থানে পরিনত হবে এমনটাই আশা করি। এখানে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী, রাধা অষ্টমী, শিব চতুর্দশী, অন্নপ্রসাদ উৎসব, বালি পূজা, শ্যামা পূজা, কালী পূজা, দোল পূর্ণিমাসহ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এখানে সপ্তাহে একদিন হরিসভা হয়।

আগত আরসি দাস, কমল চন্দ্রসহ অনেকে বলেন, প্রতিবছর এখানে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মিলে স্নান করতে এসেছি। নদে স্নান করলে সব পাপমোচন হয়। এটি পুণ্যার্থীদের জন্য পবিত্র দিন। এ বছর অষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে।

আগত ভক্ত সাধন দাশ বলেন, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিশাল বটবৃক্ষের মাঝে পাগলনাথ বাবার মন্দিরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। পাপ মোচন এর আশায় দূরদূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থীরা মনোবাসনা পূর্ণ করতে এখানে আসেন।