নিজস্ব প্রতিবেদক।। হরিপুরে সেচ পাম্প থেকে পানি না পাওয়ায় প্রায় তিন থেকে চার বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপন করতে পারে নাই সেকেন্দার আলী নামে এক কৃষক।
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের মালদা খন্ড কোয়ালিম গ্রামের মোঃ সেকেন্দার আলী ৩ নং এলএলএলপি হতে কার্ড দিয়ে পানি সেচ না পাওয়ায় প্রায় তিন থেকে চার বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপণ করতে পারে নাই এমনই অভিযোগ করলেন ভুক্তভোগী কৃষক সেকেন্দার আলী।
তিনি জানান, আমি উক্ত সেচ পাম্পে আমার কার্ড দিয়ে পানি নিতে গেলে আমাকে বাধা প্রদান করেন এবং আমাকে হুমকি-ধমকি দেন শেচ পাম্পের অপারেটর মোঃ কফিল উদ্দিন।
এ অবস্থায় আমি হরিপুরের বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও আমি কোন সুবিচার পাই নাই। যার জন্য আমি তিন থেকে চার বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপণ পারি নাই। আমাকে বাধ্য হয়ে আমার জমিগুলো ফেলে রাখতে হয়েছে, এতে আমার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগী সেকান্দার আলীর।
এ বিষয়ে হরিপুরের বরেন্দ্র অফিসের পরিদর্শক মোঃ আবু তাহের এর কাছে জানতে গেলে তিনি বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আমি সেখানে গিয়েছিলাম । আমি বিষয়টি সমাধান করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি কিন্তু ভুক্তভোগী সেকান্দার আমার কোন কথাই শুনে নাই। এমনকি আমি তাকে ওই সেচ পাম্পের অপারেটর হিসাবেও নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম তিনি সেটাতোও রাজি হননি।
এদিকে অপারেটর কফিল উদ্দিন বলেন, আমরা কৃষকদের নিয়ে একটা সমিতি করেছি সে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বিঘা জমিতে ১০০০ করে টাকা নিচ্ছি।
সেকেন্দার আলীকে আমি পানি দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি নিজের কার্ড দিয়ে পানি নিবেন অথচ সকল কৃষক আমার কার্ড দিয়ে পানি নেই আমাকে বিঘা প্রতি ১০০০ করে টাকা দেয়। সেকেন্দার আলী সমিতির নিয়ম মেনে নেয়নি বিধায় তিনি পানি পায় নাই।