বাংলাদেশ ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ  হাইকোর্টের নির্দেশে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ। দুই স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাবির জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে ঢাবির দুই দল ঝালকাঠীর দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতি-সড়ক অবকাঠামো দায়ী। সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  নাগরপুরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।  স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০০০ রিকশাচালকের মাঝে শোভনের ক্যাপ বিতরণ রাঙ্গাবালী খালে পাওয়া টর্পেডো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে নৌবাহিনী। পঞ্চগড়ে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যেগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ উপাচার্য-ট্রেজারের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ক্লিন,গ্রীন ও স্মার্ট সি‌লেট গড়ার ল‌ক্ষ্যে সিসিক মেয়র এর সা‌থে আন্তর্জা‌তিক ব্যবসায়ীদের বৈঠক ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

কাউখালীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আশোয়া নামের গ্রামটি।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৫৯২ বার পড়া হয়েছে

কাউখালীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আশোয়া নামের গ্রামটি।

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত সব ঋতুতেই এখন সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর কড়াল গ্রাস কেড়ে নিয়েছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আশোয়া গ্রামের অধিকাংশ ঘর বাড়ি। উপজেলার মানচিত্র বৃহৎ আশোয় গ্রামের ভাঙতে ভাঙতে নদীর কড়াল গ্রাস থাবায় মানচিত্র এখন ছোট হয়ে গেছে।
স্থানীয় মেম্বার আলামিন হোসেন জানান, একযুগ আগেও ৩ হাজার খানা ছিল এই গ্রামে ভাঙতে ভাঙতে এখন এক হাজার দুইশটি খানায় পড়ে রয়েছে। সন্ধ্যা ও গাবখান কেড়ে নিয়েছে বেশ কিছু মসজিদ, মক্তব, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এলাকার বৃহৎ খেলার মাঠসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এসব ভাঙন কবলিত এলাকার লোকজন যারা অবস্থাপন্ন তারা অন্যত্র বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে।
আর যারা অপেক্ষাকৃত গরীব শ্রেণির তাদের পূর্ব পুরুষের ভিটা বাড়ি ছিল মূল সম্পদ, যা হারিয়ে তারা নিস্ব অসহায় যাযাবরের মত জীবন যাপন করছে। কেউ কেউ আবার সরকারি ভাবে আবাসনে ভূমিহীনদের মাঝে সরকারিভাবে ঠাই পেয়েছে। এখনও অনেকের ঠাই হয়নি মৌলিক চাহিদার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান বাসস্থানের। আশোয়া গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যজীবি হানিফ, রুস্তুম, মোজাম্মেল শরীফ, আবুল বাশারসহ অনেকেরই জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
এলাকার সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার আকলিমা বেগম জানান, ভাঙনের ঝুকিতে বর্তমানে প্রায় শতাধিক পরিবার রয়েছে। তাদেরকে দ্রæত সরিয়ে না নিলে তারাও জমি-জমা, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ভাঙন রোধকল্পে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকার অনেকেই জানান।
তারা ক্ষোভের সহিত জানান, শত শত বাড়ি-ঘর স্থাপনা ভেঙে গেলেও সরকারি বা বেসরকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধকল্পে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ 

কাউখালীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আশোয়া নামের গ্রামটি।

আপডেট সময় ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত সব ঋতুতেই এখন সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর কড়াল গ্রাস কেড়ে নিয়েছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আশোয়া গ্রামের অধিকাংশ ঘর বাড়ি। উপজেলার মানচিত্র বৃহৎ আশোয় গ্রামের ভাঙতে ভাঙতে নদীর কড়াল গ্রাস থাবায় মানচিত্র এখন ছোট হয়ে গেছে।
স্থানীয় মেম্বার আলামিন হোসেন জানান, একযুগ আগেও ৩ হাজার খানা ছিল এই গ্রামে ভাঙতে ভাঙতে এখন এক হাজার দুইশটি খানায় পড়ে রয়েছে। সন্ধ্যা ও গাবখান কেড়ে নিয়েছে বেশ কিছু মসজিদ, মক্তব, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এলাকার বৃহৎ খেলার মাঠসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এসব ভাঙন কবলিত এলাকার লোকজন যারা অবস্থাপন্ন তারা অন্যত্র বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে।
আর যারা অপেক্ষাকৃত গরীব শ্রেণির তাদের পূর্ব পুরুষের ভিটা বাড়ি ছিল মূল সম্পদ, যা হারিয়ে তারা নিস্ব অসহায় যাযাবরের মত জীবন যাপন করছে। কেউ কেউ আবার সরকারি ভাবে আবাসনে ভূমিহীনদের মাঝে সরকারিভাবে ঠাই পেয়েছে। এখনও অনেকের ঠাই হয়নি মৌলিক চাহিদার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান বাসস্থানের। আশোয়া গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যজীবি হানিফ, রুস্তুম, মোজাম্মেল শরীফ, আবুল বাশারসহ অনেকেরই জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
এলাকার সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার আকলিমা বেগম জানান, ভাঙনের ঝুকিতে বর্তমানে প্রায় শতাধিক পরিবার রয়েছে। তাদেরকে দ্রæত সরিয়ে না নিলে তারাও জমি-জমা, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ভাঙন রোধকল্পে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকার অনেকেই জানান।
তারা ক্ষোভের সহিত জানান, শত শত বাড়ি-ঘর স্থাপনা ভেঙে গেলেও সরকারি বা বেসরকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধকল্পে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।