বাংলাদেশ ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

খানসামায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, শয্যা শঙ্কট হাসপাতালে

খানসামায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, শয্যা শঙ্কট হাসপাতালে

মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে অন্তত ২২ জন রোগী। এদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। ৫১ শয্যার এ হাসপাতালে মোট ৮৫ জন রোগী ভর্তি থাকায় শয্যা শঙ্কট দেখা যাওয়ায় অধিকাংশ রোগীদের হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি আউটডোরে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় শতাধিক রোগী ডায়রিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৬ জন রোগী নির্ধারিত বেড ছাড়াও মেঝে ও করিডোরে শুয়ে বসে রয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

খামারপাড়ার আবু মুসা নামে এক ব্যক্তি তার ভাগ্নেকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। তিনি জানান, হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি ও কাশি হওয়ার পর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালে আসতে হয়েছে।

আঙ্গারপাড়া গ্রাম থেকে আসা আয়েশা বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার স্বামীকে বাড়িতে রেখে দু’দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর কোনো কাজ না হওয়ায় অবশেষে হাসপাতালে তারা এসেছেন। এখানেই তিনদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার।

চকসাকোয়া গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে যাই। সকালে উঠে দেখি দুই তিনবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। মনে করেছি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সুস্থ না হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসিফ জাহান পিয়াস খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারনেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুস্থ থাকতে বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাওয়ার পূর্বে ও টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর ভাল ভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন খেতে হবে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, শীতের শেষে গরম আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে একটু সতর্কতার সঙ্গে শিশুদের খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়লেও তাদের সেবা দিতে রয়েছে পর্যাপ্ত ঔষধ ও স্যালাইন।

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

খানসামায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, শয্যা শঙ্কট হাসপাতালে

আপডেট সময় ১২:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে অন্তত ২২ জন রোগী। এদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। ৫১ শয্যার এ হাসপাতালে মোট ৮৫ জন রোগী ভর্তি থাকায় শয্যা শঙ্কট দেখা যাওয়ায় অধিকাংশ রোগীদের হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি আউটডোরে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় শতাধিক রোগী ডায়রিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৬ জন রোগী নির্ধারিত বেড ছাড়াও মেঝে ও করিডোরে শুয়ে বসে রয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

খামারপাড়ার আবু মুসা নামে এক ব্যক্তি তার ভাগ্নেকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। তিনি জানান, হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি ও কাশি হওয়ার পর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালে আসতে হয়েছে।

আঙ্গারপাড়া গ্রাম থেকে আসা আয়েশা বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার স্বামীকে বাড়িতে রেখে দু’দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর কোনো কাজ না হওয়ায় অবশেষে হাসপাতালে তারা এসেছেন। এখানেই তিনদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার।

চকসাকোয়া গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে যাই। সকালে উঠে দেখি দুই তিনবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। মনে করেছি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সুস্থ না হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসিফ জাহান পিয়াস খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারনেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুস্থ থাকতে বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাওয়ার পূর্বে ও টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর ভাল ভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন খেতে হবে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, শীতের শেষে গরম আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে একটু সতর্কতার সঙ্গে শিশুদের খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়লেও তাদের সেবা দিতে রয়েছে পর্যাপ্ত ঔষধ ও স্যালাইন।