বাংলাদেশ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শিক্ষক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলো কুবি প্রশাসন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ  হাইকোর্টের নির্দেশে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ। দুই স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাবির জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে ঢাবির দুই দল ঝালকাঠীর দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতি-সড়ক অবকাঠামো দায়ী। সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  নাগরপুরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।  স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০০০ রিকশাচালকের মাঝে শোভনের ক্যাপ বিতরণ রাঙ্গাবালী খালে পাওয়া টর্পেডো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে নৌবাহিনী। পঞ্চগড়ে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যেগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ উপাচার্য-ট্রেজারের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ক্লিন,গ্রীন ও স্মার্ট সি‌লেট গড়ার ল‌ক্ষ্যে সিসিক মেয়র এর সা‌থে আন্তর্জা‌তিক ব্যবসায়ীদের বৈঠক

রাজস্থলীতে বেড়েছে কলা আর লেবুর দাম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০২ বার পড়া হয়েছে

রাজস্থলীতে বেড়েছে কলা আর লেবুর দাম

মো: আইয়ুব চৌধুরী, রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
কলা আর লেবুর বাজার এখন সরগরম। বাজার ভর্তি কলা আর লেবু। রমজান মাসে চাহিদা থাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরও ছড়াছড়ি। তারপরও কেন অন্যান্য খাদ্যপণ্যের মতো দাম বাড়ছে লেবু ও কলার। এখানেও সিন্ডিকেট নয়তো? এমন প্রশ্ন ক্রেতাদের।
বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলার কোনো ঘাটতি নেই। রমজান মাসে ব্যাপক চাহিদা থাকায় স্থানীয় উৎপাদিত কলা সাপ্তাহিক তিনদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা জাতের কলা আসছে রাজস্থলীর ইসলামপুর, বাঙ্গালহালিয়া ও রাজস্থলী বাজারে। তবে এই সময়ে লেবুর উৎপাদন কিছুটা কম হলেও চাহিদানুযায়ী ছোট-বড় নানা জাতের পর্যাপ্ত লেবু মিলছে বাজারে। কিন্তু হঠাৎ করে রমজানের শুরুতেই কলা ও লেবুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ- থেকে তিনগুণের চেয়েও বেশি। বিক্রেতারা যে যার মতো দরে তা বিক্রি করছেন।
উপজেলার হাট-বাজারে চওড়া দাম নিয়ে প্রায়ই ক্রেতা-বিক্রেতার বাক- বিতণ্ডা লক্ষণীয়। ভৌগোলিক কারণে পাহাড়ি উচু উচু টিলাবেষ্টিত রাজস্থলী উপজেলাজুড়ে কলা ও নানা জাতের লেবু উৎপাদন হয়। কলা ব্যাপক পরিসরে উৎপাদন হলেও পাশা পাশি এ রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলীর পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের লেবু দেশের চাহিদার যোগান দিয়ে দেশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
বিক্রেতারা জানালেন, রমজান মাস এলেই লেবুর চাহিদা বাড়ে। এ কারণে লোকসানে থাকা অনেক চাষি বছরের এই সময়টার অপেক্ষায় থাকেন। তারা লেবু গাছের বাড়তি খরচ দিয়ে পরিচর্যা করেন। কারণ এই সময়টাতে গাছে কম ফলন আসে। তাই রমজানের শুরু থেকেই লেবুর দাম এক লাফেই দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়ে যায়। তারা জানালেন বেশি দর দিয়ে কিনতে হয় তাই দরদিয়েই তা বিক্রি করেন। রবিবার দেখা গেল প্রতি হালি কাগজী লেবু ৬০ টাকা।
কৃষক রা জানালেন, এখন লেবুর মৌসুম না থাকায় উৎপাদন কম। তাছাড়া যে বাগানগুলোতে লেবু মিলছে তারা বেশি ব্যয়ে পরিচর্যা করছেন। তাই কম দামে বিক্রি হলে তাদের চরম লোকসান গুনতে হবে। এই কৃষি পণ্যের উৎপাদন রক্ষায় চাষিদের দাবি যদি মৌসুমে (বর্ষায়) সারা বছরের জন্য লেবু প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করা যায় তাহলে হঠাৎ বেশি দামে লেবু ক্রয় করতে হবে না।
এদিকে বাজার ঘুরে খুচরা কলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কলার উৎপাদনের ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদিত কলা জেলার ঘিলাছড়ি, গাইন্দ্যা বাঙালহালিয়া থেকে আসা আধা কাঁচা ও পাকা কলার যথেষ্ট যোগান রয়েছে। তবে চাহিদানুযায়ী পাকা কলার যোগান দিতে কেবল বিশেষ পদ্ধতিতে পাকানোতে কিছুটা সমস্যা পোহাতে হয়। বিক্রেতারা রমজান উপলক্ষে হঠাৎ কলার দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি। পরিবহন ও শ্রমিক ব্যয় বাড়ার অজুহাতে কলার দাম রমজানে দুই থেকে তিনগুণের বেশি বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের খরচ কম থাকলেও তারাও স্থায়ী দোকানিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশি দরে বিক্রি করছেন। কলাতেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ ক্রেতাদের।
এ বিষয়ে ক্রেতারা ক্ষোভের সঙ্গে বলছেন, সবমিলিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। কারণে অকারণে নানা অজুহাতে তারা অধিক মুনাফার আশায় দাম বাড়াচ্ছে। আর রমজান এলেই বাড়ে দাম বাড়ানোর প্রবণতা। তারা অভিযোগ করে বলছেন বাজার মনিটরিং না থাকায় যে যার মতো করে মুনাফা লুটছেন। এখন সবকিছুতেই সিন্ডিকেট। দিন দিন সবই ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। আমাদের নিয়ে কেউ ভাবে না। বলা চলে এই সময়টাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা খেয়ে না খেয়ে কোনোরকম জীবন বাঁচাচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা উপজেলা জুড়ে প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছি, অভিযান হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসবে। ক্রেতারা দামের তারতম্য ও অনিয়ম দেখলে প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ জানান। তিনি এ বিষয়ে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলো কুবি প্রশাসন

রাজস্থলীতে বেড়েছে কলা আর লেবুর দাম

আপডেট সময় ০৭:০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
মো: আইয়ুব চৌধুরী, রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
কলা আর লেবুর বাজার এখন সরগরম। বাজার ভর্তি কলা আর লেবু। রমজান মাসে চাহিদা থাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরও ছড়াছড়ি। তারপরও কেন অন্যান্য খাদ্যপণ্যের মতো দাম বাড়ছে লেবু ও কলার। এখানেও সিন্ডিকেট নয়তো? এমন প্রশ্ন ক্রেতাদের।
বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলার কোনো ঘাটতি নেই। রমজান মাসে ব্যাপক চাহিদা থাকায় স্থানীয় উৎপাদিত কলা সাপ্তাহিক তিনদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা জাতের কলা আসছে রাজস্থলীর ইসলামপুর, বাঙ্গালহালিয়া ও রাজস্থলী বাজারে। তবে এই সময়ে লেবুর উৎপাদন কিছুটা কম হলেও চাহিদানুযায়ী ছোট-বড় নানা জাতের পর্যাপ্ত লেবু মিলছে বাজারে। কিন্তু হঠাৎ করে রমজানের শুরুতেই কলা ও লেবুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ- থেকে তিনগুণের চেয়েও বেশি। বিক্রেতারা যে যার মতো দরে তা বিক্রি করছেন।
উপজেলার হাট-বাজারে চওড়া দাম নিয়ে প্রায়ই ক্রেতা-বিক্রেতার বাক- বিতণ্ডা লক্ষণীয়। ভৌগোলিক কারণে পাহাড়ি উচু উচু টিলাবেষ্টিত রাজস্থলী উপজেলাজুড়ে কলা ও নানা জাতের লেবু উৎপাদন হয়। কলা ব্যাপক পরিসরে উৎপাদন হলেও পাশা পাশি এ রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলীর পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের লেবু দেশের চাহিদার যোগান দিয়ে দেশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
বিক্রেতারা জানালেন, রমজান মাস এলেই লেবুর চাহিদা বাড়ে। এ কারণে লোকসানে থাকা অনেক চাষি বছরের এই সময়টার অপেক্ষায় থাকেন। তারা লেবু গাছের বাড়তি খরচ দিয়ে পরিচর্যা করেন। কারণ এই সময়টাতে গাছে কম ফলন আসে। তাই রমজানের শুরু থেকেই লেবুর দাম এক লাফেই দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়ে যায়। তারা জানালেন বেশি দর দিয়ে কিনতে হয় তাই দরদিয়েই তা বিক্রি করেন। রবিবার দেখা গেল প্রতি হালি কাগজী লেবু ৬০ টাকা।
কৃষক রা জানালেন, এখন লেবুর মৌসুম না থাকায় উৎপাদন কম। তাছাড়া যে বাগানগুলোতে লেবু মিলছে তারা বেশি ব্যয়ে পরিচর্যা করছেন। তাই কম দামে বিক্রি হলে তাদের চরম লোকসান গুনতে হবে। এই কৃষি পণ্যের উৎপাদন রক্ষায় চাষিদের দাবি যদি মৌসুমে (বর্ষায়) সারা বছরের জন্য লেবু প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করা যায় তাহলে হঠাৎ বেশি দামে লেবু ক্রয় করতে হবে না।
এদিকে বাজার ঘুরে খুচরা কলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কলার উৎপাদনের ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদিত কলা জেলার ঘিলাছড়ি, গাইন্দ্যা বাঙালহালিয়া থেকে আসা আধা কাঁচা ও পাকা কলার যথেষ্ট যোগান রয়েছে। তবে চাহিদানুযায়ী পাকা কলার যোগান দিতে কেবল বিশেষ পদ্ধতিতে পাকানোতে কিছুটা সমস্যা পোহাতে হয়। বিক্রেতারা রমজান উপলক্ষে হঠাৎ কলার দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি। পরিবহন ও শ্রমিক ব্যয় বাড়ার অজুহাতে কলার দাম রমজানে দুই থেকে তিনগুণের বেশি বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের খরচ কম থাকলেও তারাও স্থায়ী দোকানিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশি দরে বিক্রি করছেন। কলাতেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ ক্রেতাদের।
এ বিষয়ে ক্রেতারা ক্ষোভের সঙ্গে বলছেন, সবমিলিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। কারণে অকারণে নানা অজুহাতে তারা অধিক মুনাফার আশায় দাম বাড়াচ্ছে। আর রমজান এলেই বাড়ে দাম বাড়ানোর প্রবণতা। তারা অভিযোগ করে বলছেন বাজার মনিটরিং না থাকায় যে যার মতো করে মুনাফা লুটছেন। এখন সবকিছুতেই সিন্ডিকেট। দিন দিন সবই ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। আমাদের নিয়ে কেউ ভাবে না। বলা চলে এই সময়টাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা খেয়ে না খেয়ে কোনোরকম জীবন বাঁচাচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা উপজেলা জুড়ে প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছি, অভিযান হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসবে। ক্রেতারা দামের তারতম্য ও অনিয়ম দেখলে প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ জানান। তিনি এ বিষয়ে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।