বাংলাদেশ ০২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কাউখালীতে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকরা বাছুর বিতরণ। নবান্নের উৎসবে মেতেছে কিশোরগঞ্জ। হাওরে ধানকাটা শেষ, ফলনে খুঁশি কৃষক। দেশীয় তৈরী ০২টি পাইপগানসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। কুবি ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ যিনি একের মধ্যে তিন, তিনিই বিজয় সরকার। নওগাঁর বদলগাছীতে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষ- সভাপতির বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার বেলালের বিজয়ী উল্লাসের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে গোদাগাড়ী উপজেলা বাসি মাদক মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। ধনবাড়ী‌তে (সিএজি) কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। হিজলা উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ এ কে আজাদ প্রতারণার নতুন কৌশল মসজিদ, মাদরাসা সহ পাকা বসতবাড়ী নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা শিক্ষার্থীদের ‘যাতায়াত’ সুবিধার্থে বন্ধ ক্যাম্পাসে বাস দিলো কুবি রাবি সফরে আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল জগন্নাথপুরে ডিবির অভিযানে ৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২

ফেনী ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • ১৫৯৫ বার পড়া হয়েছে

ফেনী ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন 

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফেনী ইউনিভার্সিটি। সকাল ৯.৩০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.এম জামালউদ্দীন আহমদ।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে ফেনী ইউনিভার্সিটির ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ ফেনী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে “মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ” ও জাতির পিতা “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের” প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ফিরে এসে আলোচনা সভায় যোগ দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.মো.মোস্তফা কামাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.এম.জামালউদ্দীন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি পাকিস্তানি শাসকদের ভয়াবহ জুলুম এবং অত্যাচারের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশগড়ার স্বপ্নে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তারা এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা থাকবে,সবার কর্মসংস্থান হবে,সমাজে শোষণ ও বৈষম্য থাকবেনা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এখনো অসংখ্য মানুষ অশিক্ষা ও দরিদ্রতার মধ্যে ডুবে রয়েছে। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বেকারত্ব,মাদকের নেশা ও কিশোরগ্যাংয়ের মত ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি আমরা অতিক্রম করছি।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাই যাতে সংশ্লিষ্ট মহলের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়। যাতে করে পবিত্র রমজানের বাকি দিনগুলো মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে।
বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় সততা, নিষ্ঠা এবং স্বচ্ছতার সাথেই দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.মো.মোস্তফা কামাল বলেন, ধর্মীয় রাজনীতি দেশকে বিভাজনের দিকে নিয়ে যায়। বর্তমান পাকিস্তানের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। তারা একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পুথিবীতে টিকে আছে, বাংলাদেশ সে হিসেবে অনেকগুণ ভালো আছে। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসপাঠ ও গবেষনা কাজে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বুশরা জেসমিন তৃশা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম, সহকারী অধ্যাপক জনাব আব্দুল্লাহ আল ইউনুস সহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক- শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

কাউখালীতে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকরা বাছুর বিতরণ।

ফেনী ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন 

আপডেট সময় ০৪:২১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
ক্যাম্পাস প্রতিবেদক:

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফেনী ইউনিভার্সিটি। সকাল ৯.৩০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.এম জামালউদ্দীন আহমদ।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে ফেনী ইউনিভার্সিটির ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ ফেনী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে “মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ” ও জাতির পিতা “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের” প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ফিরে এসে আলোচনা সভায় যোগ দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.মো.মোস্তফা কামাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.এম.জামালউদ্দীন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি পাকিস্তানি শাসকদের ভয়াবহ জুলুম এবং অত্যাচারের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশগড়ার স্বপ্নে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তারা এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা থাকবে,সবার কর্মসংস্থান হবে,সমাজে শোষণ ও বৈষম্য থাকবেনা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এখনো অসংখ্য মানুষ অশিক্ষা ও দরিদ্রতার মধ্যে ডুবে রয়েছে। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বেকারত্ব,মাদকের নেশা ও কিশোরগ্যাংয়ের মত ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি আমরা অতিক্রম করছি।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাই যাতে সংশ্লিষ্ট মহলের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়। যাতে করে পবিত্র রমজানের বাকি দিনগুলো মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে।
বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় সততা, নিষ্ঠা এবং স্বচ্ছতার সাথেই দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.মো.মোস্তফা কামাল বলেন, ধর্মীয় রাজনীতি দেশকে বিভাজনের দিকে নিয়ে যায়। বর্তমান পাকিস্তানের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। তারা একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পুথিবীতে টিকে আছে, বাংলাদেশ সে হিসেবে অনেকগুণ ভালো আছে। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসপাঠ ও গবেষনা কাজে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বুশরা জেসমিন তৃশা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম, সহকারী অধ্যাপক জনাব আব্দুল্লাহ আল ইউনুস সহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক- শিক্ষার্থীবৃন্দ।