বাংলাদেশ ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ফের খাবারের দাম বৃদ্ধি, রাবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দোকানিদের রাবিতে গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফির উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইউপি সদস্য রিপন হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধ-কোন্দলে লড়াই হবে ত্রিমুখী ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ইরি বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন  বিআরটিসি লাইসেন্স ও সরকারি অনুমোদন ব্যতীত জিপিএস ট্র্যাকার, ট্রেসলক জিপিএস ট্র্যাকার, মোটোলক রিমোর্ট ও ফ্রিকোয়েন্সী যন্ত্র সামগ্রীসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গোদাগাড়ীতে নামের মিলে মাদক মামলায় কলেজছাত্র কারাগারে, পরে জামিন অনুমোদনহীন নকল বিদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ও নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা। কাউখালীতে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকরা বাছুর বিতরণ। নবান্নের উৎসবে মেতেছে কিশোরগঞ্জ। হাওরে ধানকাটা শেষ, ফলনে খুঁশি কৃষক। দেশীয় তৈরী ০২টি পাইপগানসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। কুবি ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ যিনি একের মধ্যে তিন, তিনিই বিজয় সরকার। নওগাঁর বদলগাছীতে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষ- সভাপতির বিরুদ্ধে

বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারী হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সাথে জড়িত বিপুল সংখ্যক দালাল চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০২ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারী হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সাথে জড়িত বিপুল সংখ্যক দালাল চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সদা সচেষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

চিকিৎসা সেবায় দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দেশের অন্য যে কোন হাসপাতালে যেসব রোগের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়না, সেসব রোগের চিকিৎসা করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এমনকি বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা যখন সঙ্কটাপন্ন, তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালই রোগী ও রোগীর স্বজনদের শেষ ভরসার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সারাদেশ থেকে আসা রোগীদের সব ধরনের রোগের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বছরের ৩৬৫ দিন এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সবার জন্য খোলা থাকে।

সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি বা জটিল যে কোনো রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সারাদেশ থেকে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে আসেন। সাধারণ রোগীরা এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এসে প্রথমেই দালালদের খপ্পরে পড়ে। এতে চিকিৎসা নেয়ার আগেই রোগী এবং রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়-স্বজনরা আর্থিক ক্ষতিসহ নানা হয়রানির শিকার হয়।

ভূক্তভোগীদের বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন শাখায় গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব-৩।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৪ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, বহির্বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড, কেবিন, বাগান গেটের প্রশাসনিক ব্লক, প্যাথোলজী সেকশনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ অভিযান পরিচালনা করে রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সাথে জড়িত দালাল চক্রের সক্রিয় ৫৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং ভুক্তভোগী হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক অসাধু চক্র।

এ চক্রের সদস্যদের প্রথম লক্ষ্য থাকে গ্রাম ও মফস্বল শহর থেকে আসা নতুন রোগী এবং রোগীদের আত্মীয়-স্বজন। দালাল চক্রের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত রোগীদের ভর্তি, সিট বরাদ্দ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ, ট্রলি সেবা, হুইল চেয়ার সেবাসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায়, কমিশন লাভের জন্য রোগীদেরকে ভুল বুঝিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়াও তারা রোগীদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার সঠিক রিপোর্টের কথা বলে বিভিন্ন ডায়াগোনস্টিক সেন্টারে নিয়ে অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেয়।

ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, হুইল চেয়ার ও ট্রলি কেন্দ্রিক দালাল চক্রটি হাসপাতালের বিধি-বহির্ভূতভাবে মুমূর্ষু রোগীদেরকে সেবা দেওয়ার নামে রোগীর আত্মীয়স্বজনের নিকট হতে জোরপূর্বক অধিক পরিমাণ টাকা দাবী করতো। টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত মুমূর্ষু রোগী এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনকে তারা জিম্মি করে রাখতো।

এছাড়াও দালাল চক্রটি হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনের সীট পাইয়ে দেওয়ার জন্য অসহায় রোগী ও রোগীর আত্মাীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো।

এসকল দালালেরা হাসপাতালের প্রধান ফটক হতে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, ওটি, ওয়ার্ড এবং কেবিনের আশে পাশে সর্বত্র প্রকাশ্যে বিচরণ করতো।

দালাল চক্রটি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা-গ্রহীতা রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনদেরকে দ্রুত ও অপেক্ষাকৃত ভাল সেবা প্রদান করার মিথ্যা আশ্বাস দেয়া ছাড়াও অতি অল্প সময়ে ডাক্তারী সেবা দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো।

এছাড়াও তারা রাতের বেলা রাস্তার টোকাই ও নেশাখোরদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সেই রক্ত অসহায় রোগীর আত্মীয়-স্বজনের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতো। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে রোগী ও রোগীর স্বজনদের আক্রমণাত্মক আচরণের শিকার হতে হতো।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মোঃ আরিফুর রহমান, পিপিএম
উপ-পরিচালক
স্টাফ অফিসার (মিডিয়া)
পক্ষে পরিচালক

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ফের খাবারের দাম বৃদ্ধি, রাবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দোকানিদের

বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারী হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সাথে জড়িত বিপুল সংখ্যক দালাল চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

আপডেট সময় ০৭:০০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

 

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারী হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সাথে জড়িত বিপুল সংখ্যক দালাল চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সদা সচেষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

চিকিৎসা সেবায় দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দেশের অন্য যে কোন হাসপাতালে যেসব রোগের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়না, সেসব রোগের চিকিৎসা করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এমনকি বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা যখন সঙ্কটাপন্ন, তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালই রোগী ও রোগীর স্বজনদের শেষ ভরসার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সারাদেশ থেকে আসা রোগীদের সব ধরনের রোগের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বছরের ৩৬৫ দিন এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সবার জন্য খোলা থাকে।

সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি বা জটিল যে কোনো রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সারাদেশ থেকে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে আসেন। সাধারণ রোগীরা এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এসে প্রথমেই দালালদের খপ্পরে পড়ে। এতে চিকিৎসা নেয়ার আগেই রোগী এবং রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়-স্বজনরা আর্থিক ক্ষতিসহ নানা হয়রানির শিকার হয়।

ভূক্তভোগীদের বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন শাখায় গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব-৩।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৪ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, বহির্বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড, কেবিন, বাগান গেটের প্রশাসনিক ব্লক, প্যাথোলজী সেকশনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ অভিযান পরিচালনা করে রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সাথে জড়িত দালাল চক্রের সক্রিয় ৫৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং ভুক্তভোগী হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক অসাধু চক্র।

এ চক্রের সদস্যদের প্রথম লক্ষ্য থাকে গ্রাম ও মফস্বল শহর থেকে আসা নতুন রোগী এবং রোগীদের আত্মীয়-স্বজন। দালাল চক্রের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত রোগীদের ভর্তি, সিট বরাদ্দ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ, ট্রলি সেবা, হুইল চেয়ার সেবাসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায়, কমিশন লাভের জন্য রোগীদেরকে ভুল বুঝিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়াও তারা রোগীদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার সঠিক রিপোর্টের কথা বলে বিভিন্ন ডায়াগোনস্টিক সেন্টারে নিয়ে অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেয়।

ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, হুইল চেয়ার ও ট্রলি কেন্দ্রিক দালাল চক্রটি হাসপাতালের বিধি-বহির্ভূতভাবে মুমূর্ষু রোগীদেরকে সেবা দেওয়ার নামে রোগীর আত্মীয়স্বজনের নিকট হতে জোরপূর্বক অধিক পরিমাণ টাকা দাবী করতো। টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত মুমূর্ষু রোগী এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনকে তারা জিম্মি করে রাখতো।

এছাড়াও দালাল চক্রটি হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনের সীট পাইয়ে দেওয়ার জন্য অসহায় রোগী ও রোগীর আত্মাীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো।

এসকল দালালেরা হাসপাতালের প্রধান ফটক হতে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, ওটি, ওয়ার্ড এবং কেবিনের আশে পাশে সর্বত্র প্রকাশ্যে বিচরণ করতো।

দালাল চক্রটি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা-গ্রহীতা রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনদেরকে দ্রুত ও অপেক্ষাকৃত ভাল সেবা প্রদান করার মিথ্যা আশ্বাস দেয়া ছাড়াও অতি অল্প সময়ে ডাক্তারী সেবা দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো।

এছাড়াও তারা রাতের বেলা রাস্তার টোকাই ও নেশাখোরদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সেই রক্ত অসহায় রোগীর আত্মীয়-স্বজনের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতো। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে রোগী ও রোগীর স্বজনদের আক্রমণাত্মক আচরণের শিকার হতে হতো।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মোঃ আরিফুর রহমান, পিপিএম
উপ-পরিচালক
স্টাফ অফিসার (মিডিয়া)
পক্ষে পরিচালক