বাংলাদেশ ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল ধনবাড়ীতে উপ‌জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি পরিদর্শন করলেন বাগেরহাটের নবাগত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জে জিংক ধান সম্প্রসারণে উপ-সহকারী কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নয় ইউনিয়নে ইচ্ছামতো নেওয়া হচ্ছে ওয়ারিশ সনদের মূল্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১৩টি গ্রামবাসীর ক্ষতিপুরনের দাবীতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চ্যালেঞ্জে ফেনী’র ছোট নদীর নাব্য মান্দায় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন উত্তরবঙ্গে মৌ-চাষী সমিতির সভাপতি রশিদ সম্পাদক শিশির সাহা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ময়মনসিংহে সিপিবি’র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা

একুশে পদক প্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাট প্রতিবেদকঃ 
একুশে পদক প্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে রবিবার (০৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এর আগে, কবির গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলীতে অবস্থানকালে রবিবার সকালে হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন প্রথমে বাগেরহাট এবং পরে বরিশাল নেওয়া হয় কবিকে। বরিশালের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিভিন্ন পরীক্ষার পর কবির হার্টের সমস্যাসহ বেশি কিছু শারীরিক জটিতলা ধরা পড়লে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা কবিকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রওনা হওয়ার পর পথেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও কবির চাচাতো ভাই মো. শিবলী হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। মোহাম্মদ রফিক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ শরীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
ষাটেরদশকে ছাত্র আন্দোলন ও কবিতায়, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ যুগিয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন কবি মোহাম্মদ রফিক।
কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন  জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সামছুদ্দীন আহমদ এবং মাতার নাম রেশাতুন নাহারের আট সন্তানের মধ্যে মোহাম্মদ রফিক সবার বড়। মোহাম্মদ রফিকের  শৈশব কাটে বাগেরহাটে। মেট্রিক পাশ করে ঢাকার নটরডেম কলেজে  বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে  ভর্তি হন, কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগে চলে যান।১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন মোহাম্মদ রফিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি পাকিস্তানের  সামরিক শাসন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন। পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়, কিন্তু এম. এ. পরীক্ষার জন্য তিনি ছাড়া পান। ১৯৭১ সালে তিনি প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের  ১ নং সেক্টরের কর্মকর্তা হিসেবে এবং পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে  কাজ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করার পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন। তিনি ২৯ জুন ২০০৯ পর্যন্ত দীর্ঘকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০০৯ সালে অবসরের পর ঢাকায় থাকতেন। গেল সপ্তাহে তাঁর ছোট ছেলে শুদ্ধসত্ত্ব রফিকের সাথে গ্রামে বাড়ি আসেন তিনি। কবির মরদেহ ঢাকায় না নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার জানাজা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছেন।
১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বৈশাখী পূর্ণিমা প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ধুলার সংসারে এই মাটি।
মোহাম্মদ রফিক একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কার সহ বিভিন্ন স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে  কপিলা, খোলা কবিতা, গাওদিয়া, মানব পদাবলী, ‘আত্নরক্ষার প্রতিবেদন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
জনপ্রিয় সংবাদ

শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

একুশে পদক প্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই

আপডেট সময় ১২:০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
বাগেরহাট প্রতিবেদকঃ 
একুশে পদক প্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে রবিবার (০৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এর আগে, কবির গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলীতে অবস্থানকালে রবিবার সকালে হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন প্রথমে বাগেরহাট এবং পরে বরিশাল নেওয়া হয় কবিকে। বরিশালের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিভিন্ন পরীক্ষার পর কবির হার্টের সমস্যাসহ বেশি কিছু শারীরিক জটিতলা ধরা পড়লে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা কবিকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রওনা হওয়ার পর পথেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও কবির চাচাতো ভাই মো. শিবলী হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। মোহাম্মদ রফিক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ শরীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
ষাটেরদশকে ছাত্র আন্দোলন ও কবিতায়, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ যুগিয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন কবি মোহাম্মদ রফিক।
কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন  জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সামছুদ্দীন আহমদ এবং মাতার নাম রেশাতুন নাহারের আট সন্তানের মধ্যে মোহাম্মদ রফিক সবার বড়। মোহাম্মদ রফিকের  শৈশব কাটে বাগেরহাটে। মেট্রিক পাশ করে ঢাকার নটরডেম কলেজে  বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে  ভর্তি হন, কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগে চলে যান।১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন মোহাম্মদ রফিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি পাকিস্তানের  সামরিক শাসন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন। পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়, কিন্তু এম. এ. পরীক্ষার জন্য তিনি ছাড়া পান। ১৯৭১ সালে তিনি প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের  ১ নং সেক্টরের কর্মকর্তা হিসেবে এবং পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে  কাজ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করার পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন। তিনি ২৯ জুন ২০০৯ পর্যন্ত দীর্ঘকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০০৯ সালে অবসরের পর ঢাকায় থাকতেন। গেল সপ্তাহে তাঁর ছোট ছেলে শুদ্ধসত্ত্ব রফিকের সাথে গ্রামে বাড়ি আসেন তিনি। কবির মরদেহ ঢাকায় না নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার জানাজা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছেন।
১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বৈশাখী পূর্ণিমা প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ধুলার সংসারে এই মাটি।
মোহাম্মদ রফিক একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কার সহ বিভিন্ন স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে  কপিলা, খোলা কবিতা, গাওদিয়া, মানব পদাবলী, ‘আত্নরক্ষার প্রতিবেদন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।