বাংলাদেশ ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেলো বেলাল উদ্দিন সোহেল শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব উদযাপন বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ প্রধান রাবিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত ক্যান্সারে আক্রান্ত রাবি শিক্ষার্থী হৃদয় বাঁচতে চায় জনতাকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন দাখিল করলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন শোভন তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না”ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর ও সোনিয়া নির্বাচিত বেকারীতে শিশু দিয়ে চালাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী পিরোজপুরের ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেন যারা ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের এক সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে মিথ্যা মামলার অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলন পবায় একাধীক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক নারী আসামী গ্রেফতার মতিহারে বান্ধবীর ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করায় তিন বন্ধুর মধ্যে মারামারীও ছুরিকাঘাত আহত-৩, গ্রেফতার-২ পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী যারা।

নোয়াখালীতে কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৪৬ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীতে কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

 

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।   
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ীতে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমানে দুটি কমিটি রয়েছে। তারা আলাদা আলাদা ভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। পুরনো কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল উদ্দিন।  গত বছর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেয়। ওই দিনই নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন একটি কমিটি ঘোষণা করে।
কমিটিতে আরিফ হোসেনকে সভাপতি ও রাসেল মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ছাত্রলীগের বিবদমান অপর গ্রুপ অভিযোগ করে, জেলা ছাত্রলীগ টাকা নিয়ে এই কমিটি দেয়। যেহেতু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেলা কমিটি ভেঙ্গে দিছে। সে ক্ষেত্রে জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটি দিতে পারেনা।
এরপর আরিফ-রাসেলের নতুন এই কমিটিকে কেন্দ্রীয় কমিটি বৈধ ঘোষণা করেছে বলে দাবি করে তারা। এই বৈধতার আলোকে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও সাধারণ সম্পাদক আফম বাবু ও জেলা পরিষদের সদস্য বাহার প্রমূখ।
সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে নতুন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা বৈধ ঘোষণা করে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এমন খবর পেয়ে সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের পুরনো কমিটির সভাপতি সুজন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল তাদের অনুসারীদের নিয়ে সভাস্থলে গিয়ে সভা পন্ড করে দেয়। ওই সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়।  তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের পুরনো কমিটির সাধারাণ শ্যামল উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।  তবে আমাদের ৩-৪জন নেতাকর্মি আহত আছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত শিবির থেকে আগত নেতারা আজকে ছাত্রলীগের নামে সভা করতে চেয়েছিল। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা বিষয়টি টের পেয়ে সভা বন্ধ করে দেয়। এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারাণ রাসেল মাহমুদ বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম করছি।  প্রতিপক্ষ নেতারা বিবাহিত ও বাচ্চা-কাচ্চা আছে। তারা ৮-১০ বছর আগের কমিটির নেতা ছিল। জেলা ছাত্রলীগ তাদের কমিটি বিলুপ্ত করে গত বছরের ১৫ মে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে, এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, বিএনপি জামায়াতের সাথে হাত করে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় আমাদের ৩-৪জন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সংঘর্ষের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এখানে কেন্দ্র একটি কমিটি দিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের পুরনো কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছিল। আজকের সভায় ভিডিও কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় কমিটি সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে বৈধ কমিটি হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। উপজেলা ছাত্রলীগের বিবদমান অপর গ্রুপ বলতেছে তারা এ সভা করতে দেবেনা।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেলো বেলাল উদ্দিন সোহেল

নোয়াখালীতে কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আপডেট সময় ১১:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

 

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।   
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ীতে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমানে দুটি কমিটি রয়েছে। তারা আলাদা আলাদা ভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। পুরনো কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল উদ্দিন।  গত বছর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেয়। ওই দিনই নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন একটি কমিটি ঘোষণা করে।
কমিটিতে আরিফ হোসেনকে সভাপতি ও রাসেল মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ছাত্রলীগের বিবদমান অপর গ্রুপ অভিযোগ করে, জেলা ছাত্রলীগ টাকা নিয়ে এই কমিটি দেয়। যেহেতু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেলা কমিটি ভেঙ্গে দিছে। সে ক্ষেত্রে জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটি দিতে পারেনা।
এরপর আরিফ-রাসেলের নতুন এই কমিটিকে কেন্দ্রীয় কমিটি বৈধ ঘোষণা করেছে বলে দাবি করে তারা। এই বৈধতার আলোকে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও সাধারণ সম্পাদক আফম বাবু ও জেলা পরিষদের সদস্য বাহার প্রমূখ।
সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে নতুন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা বৈধ ঘোষণা করে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এমন খবর পেয়ে সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের পুরনো কমিটির সভাপতি সুজন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল তাদের অনুসারীদের নিয়ে সভাস্থলে গিয়ে সভা পন্ড করে দেয়। ওই সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়।  তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের পুরনো কমিটির সাধারাণ শ্যামল উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।  তবে আমাদের ৩-৪জন নেতাকর্মি আহত আছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত শিবির থেকে আগত নেতারা আজকে ছাত্রলীগের নামে সভা করতে চেয়েছিল। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা বিষয়টি টের পেয়ে সভা বন্ধ করে দেয়। এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারাণ রাসেল মাহমুদ বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম করছি।  প্রতিপক্ষ নেতারা বিবাহিত ও বাচ্চা-কাচ্চা আছে। তারা ৮-১০ বছর আগের কমিটির নেতা ছিল। জেলা ছাত্রলীগ তাদের কমিটি বিলুপ্ত করে গত বছরের ১৫ মে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে, এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, বিএনপি জামায়াতের সাথে হাত করে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় আমাদের ৩-৪জন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সংঘর্ষের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এখানে কেন্দ্র একটি কমিটি দিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের পুরনো কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছিল। আজকের সভায় ভিডিও কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় কমিটি সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে বৈধ কমিটি হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। উপজেলা ছাত্রলীগের বিবদমান অপর গ্রুপ বলতেছে তারা এ সভা করতে দেবেনা।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।