বাংলাদেশ ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ চেয়ারম্যান ও ৮ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ কলাপাড়ায় কৃষক সমিতির মানববন্ধন এসএসসি পরীক্ষা ভালো ফলাফল না পাওয়া আত্মহত্যা করে জবিতে ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ফয়সাল-আরাবি পৃথক অভিযানে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল এবং বোতল স্ক্যাফসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায় গ্রেফতার। রুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে  খানসামায় গানের সুরে মাইকে বাজছে প্রার্থীদের প্রচারণা ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ কর্তৃক মাদক সহ আটক -৭ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন এসোসিয়েশন নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শাহাবুদ্দিন সিকদার হবিগঞ্জে ৩ মার্ডার মামলার প্রধান আসামী বদির গ্রেপ্তার বদলগাছীর কেশাইলে কাঠের দোকানের আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম জমে উঠছে পিরোজপুরে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা হবিগঞ্জে এসএসসিতে ফেল করায় ৩ জনের বিষপান কিশোরী নিহত

ফরিদগঞ্জে প্রাইভেট ক্লিনিকের দালালদের উৎপাতে সরকারি হাসপাতালের সেবাবঞ্চিত রোগীরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • ১৭০২ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জে প্রাইভেট ক্লিনিকের দালালদের উৎপাতে সরকারি হাসপাতালের সেবাবঞ্চিত রোগীরা

 

গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:

ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৫০শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে দিন দিন দালালের উৎপাত বেড়েই চলছে। এ সব দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেবা নিতে আসা সাধারন রোগীরা। উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা কেন্দ্র সরকারী হাসপাতালটি পৌর এলাকায়। হাসপাতালটির আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা নামসর্বস্ব পাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

 

 

আবার ওইসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োগকৃত দালালরা সরকারি হাসপাতালের বিতরে প্রবেশ করে প্রাইভেট ক্লিনিকের ভিজিটিং কার্ড বিতরণের অভিযোগও রয়েছে। ক্লিনিকের পোষা দালালদের প্ররোচনায় নিঃস্ব হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারী হাসপাতালের সামনে প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত ক্লিনিক মালিকদের পৃষ্ঠপোষকতার কারনে এদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেয়না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

 

উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি ৩১ শয্যা হলে ও পরবর্তীতে বর্তমান সরকার আরো একটি আধুনিক ভবন দেওয়ায় ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয়। বর্তমানে জরুরী বিভাগ ছাড়া ও গাইনী- প্রসূতি, শিশু মেডিসিন,সার্জারী,ডায়রিয়া ও রেডিওলজি,প্যাথলজি বিভাগসহ অস্ত্রোপচার কক্ষ রয়েছে হাসপাতালটিতে। অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বাড়া হাসপাতালটিতে অস্ত্রোপাচারের স্বনাম রয়েছে। এত কিছু থাকা পরও দালাল, ঔষধকোম্পানীর প্রতিনিধিদের উৎপাতে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। হাসপাতালকে ঘিরে ১ ডজনেরও বেশি দালাল সক্রিয়।

 

 

 

এ দালাল চক্রের পাশাপাশি ফার্মেসীর মালিকরাও এ কাজে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশন ভিত্তিক কাজ করা এ সব দালাল চক্রের হোতারা উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে অসচেতন-নিরিহ রোগীদের বাগিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি ফি হতে শুরু করে রোগ নির্নয়ের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ফি থেকে কমিশন পান দালালরা। তবে এসব প্রাইভেট ক্লিলিনিকের একটি কমিশন কিছু লোভী ডাক্তাররাও পান বলে নিশ্চিত করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা।

 

 

 

উপজেলার গাজীপুর এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা প্রবাসী আবুল কালাম, পৌর এলাকার তসলিম আহমেদ ও ৭নং পাইকপাড়া থেকে সেবা নিতে আসা কেএম হাসান বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন হলে ডাক্তাররাই রহস্য জনক কারনে প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিত করেন।

 

 

এ ছাড়া হাসপাতালের বিতর থেকে প্রাইভেট ক্লিনিকের ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করে বলা হচ্ছে ভালো চিকিৎসা পেতে হলে প্রাইভেট ক্লিনিকে যান। এতে আপনি ভালো চিকিৎসা পাবেন, সরকারি হাসপাতালে নামে চিকিৎসা ভালো কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা। এভাবেই রোগীদের সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা বেসাবঞ্চিত করছে দালাল চক্র।

 

 

 

উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়নের পশ্চিম পোঁয়া গ্রাম থেকে হাসপাতালে সেবা নিতে রোগী জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী জানান, শুনেছি সরকারি হাসপাতাল উন্নত হয়েছে, তাই চিকিৎসা নিতে আসছি। কিন্তু হাসপাতালের সামনে আসলে একজন মহিলা প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য বলেন। তার কথায় আমরা রাজি না হলে ওই মহিলা বলে ভালো কথা কইছি ভালো লাগেনা, সরকারি হাসপাতালে সেবার নামে কি হয় আমরা মনে হয় জানিনা।

 

 

এ ভাবেই সরকারি হাসপাতালের রোগীদের সেবাবঞ্চিত করে ওই সব দালালরা। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে সরকারের রুটিন অনুযায়ী কর্তব্য পালন না করে, কয়েকজন চিকিৎসক প্রাইভেট ক্লিনিকে ২শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে আন্তরিকতার সহিত রোগী দেখছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী জানান, দালালদের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমাদের নজরে আসছে, আমরা প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোকে চিঠি দিয়েছি এসব বন্ধ করার জন্যে। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকারপর দালালরা আবার চক্রিয় হয়ে উঠেছে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দালালদের দৌরাত্ব নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমুন নেছা জানান, সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা থেকে রোগীদের বঞ্চিতকারী দালালদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ চেয়ারম্যান ও ৮ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ

ফরিদগঞ্জে প্রাইভেট ক্লিনিকের দালালদের উৎপাতে সরকারি হাসপাতালের সেবাবঞ্চিত রোগীরা

আপডেট সময় ০৬:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

 

গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:

ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৫০শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে দিন দিন দালালের উৎপাত বেড়েই চলছে। এ সব দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেবা নিতে আসা সাধারন রোগীরা। উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা কেন্দ্র সরকারী হাসপাতালটি পৌর এলাকায়। হাসপাতালটির আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা নামসর্বস্ব পাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

 

 

আবার ওইসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োগকৃত দালালরা সরকারি হাসপাতালের বিতরে প্রবেশ করে প্রাইভেট ক্লিনিকের ভিজিটিং কার্ড বিতরণের অভিযোগও রয়েছে। ক্লিনিকের পোষা দালালদের প্ররোচনায় নিঃস্ব হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারী হাসপাতালের সামনে প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত ক্লিনিক মালিকদের পৃষ্ঠপোষকতার কারনে এদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেয়না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

 

উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি ৩১ শয্যা হলে ও পরবর্তীতে বর্তমান সরকার আরো একটি আধুনিক ভবন দেওয়ায় ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয়। বর্তমানে জরুরী বিভাগ ছাড়া ও গাইনী- প্রসূতি, শিশু মেডিসিন,সার্জারী,ডায়রিয়া ও রেডিওলজি,প্যাথলজি বিভাগসহ অস্ত্রোপচার কক্ষ রয়েছে হাসপাতালটিতে। অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বাড়া হাসপাতালটিতে অস্ত্রোপাচারের স্বনাম রয়েছে। এত কিছু থাকা পরও দালাল, ঔষধকোম্পানীর প্রতিনিধিদের উৎপাতে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। হাসপাতালকে ঘিরে ১ ডজনেরও বেশি দালাল সক্রিয়।

 

 

 

এ দালাল চক্রের পাশাপাশি ফার্মেসীর মালিকরাও এ কাজে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশন ভিত্তিক কাজ করা এ সব দালাল চক্রের হোতারা উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে অসচেতন-নিরিহ রোগীদের বাগিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি ফি হতে শুরু করে রোগ নির্নয়ের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ফি থেকে কমিশন পান দালালরা। তবে এসব প্রাইভেট ক্লিলিনিকের একটি কমিশন কিছু লোভী ডাক্তাররাও পান বলে নিশ্চিত করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা।

 

 

 

উপজেলার গাজীপুর এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা প্রবাসী আবুল কালাম, পৌর এলাকার তসলিম আহমেদ ও ৭নং পাইকপাড়া থেকে সেবা নিতে আসা কেএম হাসান বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন হলে ডাক্তাররাই রহস্য জনক কারনে প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিত করেন।

 

 

এ ছাড়া হাসপাতালের বিতর থেকে প্রাইভেট ক্লিনিকের ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করে বলা হচ্ছে ভালো চিকিৎসা পেতে হলে প্রাইভেট ক্লিনিকে যান। এতে আপনি ভালো চিকিৎসা পাবেন, সরকারি হাসপাতালে নামে চিকিৎসা ভালো কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছেনা। এভাবেই রোগীদের সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা বেসাবঞ্চিত করছে দালাল চক্র।

 

 

 

উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়নের পশ্চিম পোঁয়া গ্রাম থেকে হাসপাতালে সেবা নিতে রোগী জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী জানান, শুনেছি সরকারি হাসপাতাল উন্নত হয়েছে, তাই চিকিৎসা নিতে আসছি। কিন্তু হাসপাতালের সামনে আসলে একজন মহিলা প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য বলেন। তার কথায় আমরা রাজি না হলে ওই মহিলা বলে ভালো কথা কইছি ভালো লাগেনা, সরকারি হাসপাতালে সেবার নামে কি হয় আমরা মনে হয় জানিনা।

 

 

এ ভাবেই সরকারি হাসপাতালের রোগীদের সেবাবঞ্চিত করে ওই সব দালালরা। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে সরকারের রুটিন অনুযায়ী কর্তব্য পালন না করে, কয়েকজন চিকিৎসক প্রাইভেট ক্লিনিকে ২শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে আন্তরিকতার সহিত রোগী দেখছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী জানান, দালালদের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমাদের নজরে আসছে, আমরা প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোকে চিঠি দিয়েছি এসব বন্ধ করার জন্যে। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকারপর দালালরা আবার চক্রিয় হয়ে উঠেছে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দালালদের দৌরাত্ব নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমুন নেছা জানান, সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা থেকে রোগীদের বঞ্চিতকারী দালালদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।