বাংলাদেশ ১১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা কি শ্রমের মূল্য আদৌ পাবে?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
  • ১৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা কি শ্রমের মূল্য আদৌ পাবে?

(শংকর চৌধুরী, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট)
আজ বিশ্ব শ্রমিক দিবস। সারা বিশ্বে শ্রমিকরা আজ সম্মানিত হচ্ছেন, ছুটি উপভোগ করছেন। ১৯৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের আন্দোলন ও আত্মাহুতিতে বিশ্বের শ্রমিক রা এই সুবিধা আজ পাচ্ছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় যা আসলে মমান্তিক ও নির্যাতনের শামিল সেটা হলো বাংলাদেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বিরতিহীন কর্মযজ্ঞ দেখে।
করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বের মানুষ যখন গৃহবন্দী তখন হাসপাতালে, মাঠে লোকালয়ে করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।বাংলাদেশের অনেকেই চিনতো না প্রথম সারির এ করোনা যোদ্ধা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের। অনেকেই বলেছে এটা ডাক্তার, নার্সদের অবদান।দোষ তাদের নয়, অনেক সিনয়র মেডিকেল পার্সনই যেখানে জানে না মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কারা সেখানে সাধারণ মানুষ তো জানার কথাই না। বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হচ্ছে প্রাইভেট হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেণ্টার গুলোতে।শ্রম আইনে ৮ ঘণ্টা ডিউটি একজন সাধারণ শ্রমিকের পর্যন্ত।
সাপ্তাহিক কর্মদিবস ৬ দিন। ৮ ঘণ্টার পর ওভার টাইম করলে দ্বিগুন পারিশ্রমিক দিতে হবে। তাও সর্বোচ্চ ২ঘণ্টার বেশি ওভার টাইম করা যাবে না, অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি করা যাবে একজন শ্রমিককে দিয়ে। আর এখানে সম্পূর্ণ বিপরীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সহ অন্য স্টাফদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতাল, ল্যাব। ১২/১৪ ঘণ্টা ডিউটি করায়, ছুটির কোন বালাই নাই। বেতন-ভাতা প্রদানের কোন সুনির্দিষ্ট সময় নেই। অথচ এ শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থে মালিকপক্ষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা করোনাকালীন রোগীর সেবা দিতে গিয়ে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করলো।
পাইনি কোন অনুদান এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের পরিবার। এমনকি অনেক টেকনোলজিস্ট অসুস্থকালীন ছুটি পর্যন্ত পায়নি। এটা শুধু জুলুম নয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জাতির সাথে সরাসরি নির্যাতন। প্রতি বছর শ্রমিক দিবস আসে যায়, তবুও দেশের সম্পদ এই টেকনোলজিস্টদের খবর কেউ রাখে না। শ্রমিক দিবসেও তারা কাজ করছে ল্যাবে রোগীর রোগ নির্ণয়ে।অনেক মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে এবার ঈদের বোনাস পর্যন্ত দেয়নি মালিক কতৃপক্ষ। ডাক্তার, নাস দিয়ে হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক চালাতে পারবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ছাড়া? প্রশ্ন রইলো মানবাধিকার কমিশন ও সংগঠনগুলোর কাছে? প্রশ্ন রইলো প্রতিটা বিবেকবান মানুষের প্রতি?
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা কি শ্রমের মূল্য আদৌ পাবে?

আপডেট সময় ০৩:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
(শংকর চৌধুরী, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট)
আজ বিশ্ব শ্রমিক দিবস। সারা বিশ্বে শ্রমিকরা আজ সম্মানিত হচ্ছেন, ছুটি উপভোগ করছেন। ১৯৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের আন্দোলন ও আত্মাহুতিতে বিশ্বের শ্রমিক রা এই সুবিধা আজ পাচ্ছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় যা আসলে মমান্তিক ও নির্যাতনের শামিল সেটা হলো বাংলাদেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বিরতিহীন কর্মযজ্ঞ দেখে।
করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বের মানুষ যখন গৃহবন্দী তখন হাসপাতালে, মাঠে লোকালয়ে করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।বাংলাদেশের অনেকেই চিনতো না প্রথম সারির এ করোনা যোদ্ধা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের। অনেকেই বলেছে এটা ডাক্তার, নার্সদের অবদান।দোষ তাদের নয়, অনেক সিনয়র মেডিকেল পার্সনই যেখানে জানে না মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কারা সেখানে সাধারণ মানুষ তো জানার কথাই না। বাংলাদেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হচ্ছে প্রাইভেট হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেণ্টার গুলোতে।শ্রম আইনে ৮ ঘণ্টা ডিউটি একজন সাধারণ শ্রমিকের পর্যন্ত।
সাপ্তাহিক কর্মদিবস ৬ দিন। ৮ ঘণ্টার পর ওভার টাইম করলে দ্বিগুন পারিশ্রমিক দিতে হবে। তাও সর্বোচ্চ ২ঘণ্টার বেশি ওভার টাইম করা যাবে না, অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি করা যাবে একজন শ্রমিককে দিয়ে। আর এখানে সম্পূর্ণ বিপরীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সহ অন্য স্টাফদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতাল, ল্যাব। ১২/১৪ ঘণ্টা ডিউটি করায়, ছুটির কোন বালাই নাই। বেতন-ভাতা প্রদানের কোন সুনির্দিষ্ট সময় নেই। অথচ এ শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থে মালিকপক্ষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা করোনাকালীন রোগীর সেবা দিতে গিয়ে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করলো।
পাইনি কোন অনুদান এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের পরিবার। এমনকি অনেক টেকনোলজিস্ট অসুস্থকালীন ছুটি পর্যন্ত পায়নি। এটা শুধু জুলুম নয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জাতির সাথে সরাসরি নির্যাতন। প্রতি বছর শ্রমিক দিবস আসে যায়, তবুও দেশের সম্পদ এই টেকনোলজিস্টদের খবর কেউ রাখে না। শ্রমিক দিবসেও তারা কাজ করছে ল্যাবে রোগীর রোগ নির্ণয়ে।অনেক মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে এবার ঈদের বোনাস পর্যন্ত দেয়নি মালিক কতৃপক্ষ। ডাক্তার, নাস দিয়ে হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক চালাতে পারবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ছাড়া? প্রশ্ন রইলো মানবাধিকার কমিশন ও সংগঠনগুলোর কাছে? প্রশ্ন রইলো প্রতিটা বিবেকবান মানুষের প্রতি?