বাংলাদেশ ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল ধনবাড়ীতে উপ‌জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি পরিদর্শন করলেন বাগেরহাটের নবাগত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জে জিংক ধান সম্প্রসারণে উপ-সহকারী কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নয় ইউনিয়নে ইচ্ছামতো নেওয়া হচ্ছে ওয়ারিশ সনদের মূল্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১৩টি গ্রামবাসীর ক্ষতিপুরনের দাবীতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চ্যালেঞ্জে ফেনী’র ছোট নদীর নাব্য মান্দায় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন উত্তরবঙ্গে মৌ-চাষী সমিতির সভাপতি রশিদ সম্পাদক শিশির সাহা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ময়মনসিংহে সিপিবি’র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা

চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫৭৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বেশ কিছুদিন ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমের মধ্যেই ঘন ঘন লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাবাসী। এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল। এই দুই মিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর হাজার হাজার গ্রাহক।

গত দুই মাসের বিল, চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশেই। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

জানা যায়, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় খানসামা সাব জোনাল অফিসের গ্রাহক সংখ্যা ৪০ হাজার। এ উপজেলায় সাড়ে ছয় মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বরাদ্দ পাচ্ছে সাড়ে তিন মেগাওয়াট।

গ্রাহকদের অভিযোগ মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, সিস্টেম লসসহ নানা বাহানায় নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুন বিল। এমনকি তীব্র গরমে বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং থাকলেও মাস শেষে দিতে হচ্ছে মাত্রারিক্ত বিল। দিনে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ঠিক মতো বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম। বেশি বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ গ্রাহকদের।

হাবিবুর রহমান নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, একে তো ‘লোডশেডিং‘ তার উপরে ‘ভুতুড়ে’ বিল। আমি কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছি। এবার এত বেশি বিল আসছে বলার বাইরে। এমনিতেই যে পরিমাণ লোডশেডিং এর উপর আবার বাড়তি বিল।

কেহ বলছেন, এ মাসে খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর আগের মাস গুলোতো বিল আসে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবার আসছে ১৯০০ টাকা। এছাড়াও আমার এক প্রতিবেশীর বিল আসতো সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা এবার আসছে ৪২০০ টাকা। এত বাড়তি বিল নিয়ে আমরা যাব কোথায়? বিলিং শাখায় গেলে বলে আপনারা ঠিকই ব্যবহার করছেন। আমরা বর্তমানে জন ভোগান্তিতে আছি।

মিলন রায় নামে এক কৃষক বলেন, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সে পরিমাণ পাচ্ছি না। আগস্ট মাসে বিল দিলাম ৪৪৫ টাকা, জুলাই মাসে দিলাম ২০১ টাকা এবার আসছে ৭৬০ টাকা। প্রতিনিয়ত যদি এভাবে বিল বাড়তেই থাকে তাহলে আমরা বিপাকে পড়ে যাবো।

এ বিষয়ে খানসামা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদ বলেন, লোডশেডিং তো জাতীয় সমস্যা ছিল, এখনো আছে। লোডশেডিং এর মূল কারণ ছিল বড়পুকুরিয়া তাপ কেন্দ্র বন্ধ ছিল, এখন তা ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। চালু হওয়ায় অনেকটাই লোডশেডিং কমে গেছে। মিটার রিডারদের কোন কারনে মিটার রিডিং করতে ভুল হয় সেক্ষেত্রে বিল কম বেশি হয়ে থাকে। মিটার নিয়ে একটা জটিলতা তো আছেই। বর্তমানে মিটারের মান খারাপ। মিটারের সমস্যার কারনে বিল বেশি আসতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে আমরা মিটার টেস্ট করি। মিটার টেস্ট করে বিল সমন্বয় করি। এছাড়া মিটার রিডার যদি ভুল করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বেশ কিছুদিন ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমের মধ্যেই ঘন ঘন লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাবাসী। এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল। এই দুই মিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর হাজার হাজার গ্রাহক।

গত দুই মাসের বিল, চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশেই। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেয়েও কয়েকগুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

জানা যায়, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় খানসামা সাব জোনাল অফিসের গ্রাহক সংখ্যা ৪০ হাজার। এ উপজেলায় সাড়ে ছয় মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বরাদ্দ পাচ্ছে সাড়ে তিন মেগাওয়াট।

গ্রাহকদের অভিযোগ মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, সিস্টেম লসসহ নানা বাহানায় নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুন বিল। এমনকি তীব্র গরমে বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং থাকলেও মাস শেষে দিতে হচ্ছে মাত্রারিক্ত বিল। দিনে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ঠিক মতো বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম। বেশি বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ গ্রাহকদের।

হাবিবুর রহমান নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, একে তো ‘লোডশেডিং‘ তার উপরে ‘ভুতুড়ে’ বিল। আমি কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছি। এবার এত বেশি বিল আসছে বলার বাইরে। এমনিতেই যে পরিমাণ লোডশেডিং এর উপর আবার বাড়তি বিল।

কেহ বলছেন, এ মাসে খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এর আগের মাস গুলোতো বিল আসে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবার আসছে ১৯০০ টাকা। এছাড়াও আমার এক প্রতিবেশীর বিল আসতো সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা এবার আসছে ৪২০০ টাকা। এত বাড়তি বিল নিয়ে আমরা যাব কোথায়? বিলিং শাখায় গেলে বলে আপনারা ঠিকই ব্যবহার করছেন। আমরা বর্তমানে জন ভোগান্তিতে আছি।

মিলন রায় নামে এক কৃষক বলেন, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা সে পরিমাণ পাচ্ছি না। আগস্ট মাসে বিল দিলাম ৪৪৫ টাকা, জুলাই মাসে দিলাম ২০১ টাকা এবার আসছে ৭৬০ টাকা। প্রতিনিয়ত যদি এভাবে বিল বাড়তেই থাকে তাহলে আমরা বিপাকে পড়ে যাবো।

এ বিষয়ে খানসামা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদ বলেন, লোডশেডিং তো জাতীয় সমস্যা ছিল, এখনো আছে। লোডশেডিং এর মূল কারণ ছিল বড়পুকুরিয়া তাপ কেন্দ্র বন্ধ ছিল, এখন তা ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। চালু হওয়ায় অনেকটাই লোডশেডিং কমে গেছে। মিটার রিডারদের কোন কারনে মিটার রিডিং করতে ভুল হয় সেক্ষেত্রে বিল কম বেশি হয়ে থাকে। মিটার নিয়ে একটা জটিলতা তো আছেই। বর্তমানে মিটারের মান খারাপ। মিটারের সমস্যার কারনে বিল বেশি আসতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে আমরা মিটার টেস্ট করি। মিটার টেস্ট করে বিল সমন্বয় করি। এছাড়া মিটার রিডার যদি ভুল করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।