বাংলাদেশ ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার ! 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • ১৬৯২ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার ! 

নাদিম আহমেদ অনিক-  হবিগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলিয় উপজেলা আজমিরীগঞ্জ। এক দশক আগেও সারা বছরই এই উপজেলার সাথে সারাদেশর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। অথচ পানির ওপরে কচুরিপানার মতো ভেসে থাকা উপজেলাতেই এখন তীব্র পানির সংকট। এই উপজেলাতে ধানী জমিতে পানির চাহিদা এখনও নদী-বিল থেকে মেটানো হলেও খাবার পানির জন্য প্রতিটি গ্রামে চলছে হাহাকার।
হাওরের এই চিত্রই বলে দেয় জেলার অন্য সব উপজেলায় পানির কতটা সংকট।
বিশেষ করে উজান এলাকায় এই সংকটের তীব্রতা আরও বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জেলা সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, বাহুবল উপজেলার নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। এছাড়া পানি উঠছে না গভীর নলকুপেও। এমনকি কোন কোন প্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় পাম্পের
মাধ্যমেও পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমীতি থেকে জানা যায়, নদী ও বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে সেচের জন্য তোলা হচ্ছে ভুগর্ভস্থ পানি। জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ৩৬৮টি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যার মধ্যেই ৩ হাজারের অধিক প্রকল্পে পানি উঠছে মাটির নিচ থেকে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিভিন্ন হাওরে বসানো শক্তিশালী সেচ প্রকল্পগুলো ভ‚গর্ভস্থ পানি টেনে নিচ্ছে। যে কারণে গ্রামের নলকুপগুলোতে পানি ওঠছে না।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর এলাকার ষাটোর্ধ আতাউর মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কোন নদী না থাকায় জমিতে সেচ নিয়া সমস্যা হয়। ১০ বছর আগে শৈলজুড়া খাল খনন করে সুতাং নদী থেকে পানি সেচ দেয়া হতো। কিন্তু এখন সেই খাল দিয়ে কোম্পানির ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে আমরা সেচ দিতে পারি না। যে কারণে গ্রামের চারপাশে অনেকগুলো সেচপ্রকল্প বসানো হয়ে। এগুলো মাটির নিচ থেকে পানি টেনে নেয়ায় গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠে না।
বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের প্রবিন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামের কোন টিউবওয়েলেই পানি ওঠে না। মাঠের মধ্যে একটা টিউবওয়েল আছে সেখানে কিছুটা পানি ওঠে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফ নগর গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কখনো পানির অভাব পড়ব চিন্তাও করিনি। অথচ এখন টিউবওয়েলে পানি উঠে না। নদীও শুকিয়ে গেছে। কয়েক বছর পর হয়তো আর পানিই মিলত না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, চারপাশের নদী-খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মাটির ওপরে পানি না থাকার কারণে মাটি নিচে পানি ধরে রাখতে পারছে না। যে কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এছাড়া নদী-খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় জমিতে সেচের জন্য ভ‚গর্ভ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে মটর বসিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। যে কারণে পানির এই সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিপর্যয় কয়েক বছর পর আরও ভয়াবহ হবে।

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার ! 

আপডেট সময় ০৪:৩০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
নাদিম আহমেদ অনিক-  হবিগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলিয় উপজেলা আজমিরীগঞ্জ। এক দশক আগেও সারা বছরই এই উপজেলার সাথে সারাদেশর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। অথচ পানির ওপরে কচুরিপানার মতো ভেসে থাকা উপজেলাতেই এখন তীব্র পানির সংকট। এই উপজেলাতে ধানী জমিতে পানির চাহিদা এখনও নদী-বিল থেকে মেটানো হলেও খাবার পানির জন্য প্রতিটি গ্রামে চলছে হাহাকার।
হাওরের এই চিত্রই বলে দেয় জেলার অন্য সব উপজেলায় পানির কতটা সংকট।
বিশেষ করে উজান এলাকায় এই সংকটের তীব্রতা আরও বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জেলা সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, বাহুবল উপজেলার নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। এছাড়া পানি উঠছে না গভীর নলকুপেও। এমনকি কোন কোন প্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় পাম্পের
মাধ্যমেও পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমীতি থেকে জানা যায়, নদী ও বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে সেচের জন্য তোলা হচ্ছে ভুগর্ভস্থ পানি। জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ৩৬৮টি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যার মধ্যেই ৩ হাজারের অধিক প্রকল্পে পানি উঠছে মাটির নিচ থেকে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিভিন্ন হাওরে বসানো শক্তিশালী সেচ প্রকল্পগুলো ভ‚গর্ভস্থ পানি টেনে নিচ্ছে। যে কারণে গ্রামের নলকুপগুলোতে পানি ওঠছে না।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর এলাকার ষাটোর্ধ আতাউর মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কোন নদী না থাকায় জমিতে সেচ নিয়া সমস্যা হয়। ১০ বছর আগে শৈলজুড়া খাল খনন করে সুতাং নদী থেকে পানি সেচ দেয়া হতো। কিন্তু এখন সেই খাল দিয়ে কোম্পানির ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে আমরা সেচ দিতে পারি না। যে কারণে গ্রামের চারপাশে অনেকগুলো সেচপ্রকল্প বসানো হয়ে। এগুলো মাটির নিচ থেকে পানি টেনে নেয়ায় গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠে না।
বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের প্রবিন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামের কোন টিউবওয়েলেই পানি ওঠে না। মাঠের মধ্যে একটা টিউবওয়েল আছে সেখানে কিছুটা পানি ওঠে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফ নগর গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কখনো পানির অভাব পড়ব চিন্তাও করিনি। অথচ এখন টিউবওয়েলে পানি উঠে না। নদীও শুকিয়ে গেছে। কয়েক বছর পর হয়তো আর পানিই মিলত না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, চারপাশের নদী-খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মাটির ওপরে পানি না থাকার কারণে মাটি নিচে পানি ধরে রাখতে পারছে না। যে কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এছাড়া নদী-খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় জমিতে সেচের জন্য ভ‚গর্ভ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে মটর বসিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। যে কারণে পানির এই সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিপর্যয় কয়েক বছর পর আরও ভয়াবহ হবে।