বাংলাদেশ ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার ! 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮১ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার ! 

নাদিম আহমেদ অনিক-  হবিগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলিয় উপজেলা আজমিরীগঞ্জ। এক দশক আগেও সারা বছরই এই উপজেলার সাথে সারাদেশর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। অথচ পানির ওপরে কচুরিপানার মতো ভেসে থাকা উপজেলাতেই এখন তীব্র পানির সংকট। এই উপজেলাতে ধানী জমিতে পানির চাহিদা এখনও নদী-বিল থেকে মেটানো হলেও খাবার পানির জন্য প্রতিটি গ্রামে চলছে হাহাকার।
হাওরের এই চিত্রই বলে দেয় জেলার অন্য সব উপজেলায় পানির কতটা সংকট।
বিশেষ করে উজান এলাকায় এই সংকটের তীব্রতা আরও বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জেলা সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, বাহুবল উপজেলার নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। এছাড়া পানি উঠছে না গভীর নলকুপেও। এমনকি কোন কোন প্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় পাম্পের
মাধ্যমেও পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমীতি থেকে জানা যায়, নদী ও বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে সেচের জন্য তোলা হচ্ছে ভুগর্ভস্থ পানি। জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ৩৬৮টি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যার মধ্যেই ৩ হাজারের অধিক প্রকল্পে পানি উঠছে মাটির নিচ থেকে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিভিন্ন হাওরে বসানো শক্তিশালী সেচ প্রকল্পগুলো ভ‚গর্ভস্থ পানি টেনে নিচ্ছে। যে কারণে গ্রামের নলকুপগুলোতে পানি ওঠছে না।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর এলাকার ষাটোর্ধ আতাউর মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কোন নদী না থাকায় জমিতে সেচ নিয়া সমস্যা হয়। ১০ বছর আগে শৈলজুড়া খাল খনন করে সুতাং নদী থেকে পানি সেচ দেয়া হতো। কিন্তু এখন সেই খাল দিয়ে কোম্পানির ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে আমরা সেচ দিতে পারি না। যে কারণে গ্রামের চারপাশে অনেকগুলো সেচপ্রকল্প বসানো হয়ে। এগুলো মাটির নিচ থেকে পানি টেনে নেয়ায় গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠে না।
বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের প্রবিন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামের কোন টিউবওয়েলেই পানি ওঠে না। মাঠের মধ্যে একটা টিউবওয়েল আছে সেখানে কিছুটা পানি ওঠে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফ নগর গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কখনো পানির অভাব পড়ব চিন্তাও করিনি। অথচ এখন টিউবওয়েলে পানি উঠে না। নদীও শুকিয়ে গেছে। কয়েক বছর পর হয়তো আর পানিই মিলত না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, চারপাশের নদী-খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মাটির ওপরে পানি না থাকার কারণে মাটি নিচে পানি ধরে রাখতে পারছে না। যে কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এছাড়া নদী-খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় জমিতে সেচের জন্য ভ‚গর্ভ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে মটর বসিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। যে কারণে পানির এই সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিপর্যয় কয়েক বছর পর আরও ভয়াবহ হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার ! 

আপডেট সময় ০৪:৩০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
নাদিম আহমেদ অনিক-  হবিগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলিয় উপজেলা আজমিরীগঞ্জ। এক দশক আগেও সারা বছরই এই উপজেলার সাথে সারাদেশর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। অথচ পানির ওপরে কচুরিপানার মতো ভেসে থাকা উপজেলাতেই এখন তীব্র পানির সংকট। এই উপজেলাতে ধানী জমিতে পানির চাহিদা এখনও নদী-বিল থেকে মেটানো হলেও খাবার পানির জন্য প্রতিটি গ্রামে চলছে হাহাকার।
হাওরের এই চিত্রই বলে দেয় জেলার অন্য সব উপজেলায় পানির কতটা সংকট।
বিশেষ করে উজান এলাকায় এই সংকটের তীব্রতা আরও বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জেলা সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, বাহুবল উপজেলার নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। এছাড়া পানি উঠছে না গভীর নলকুপেও। এমনকি কোন কোন প্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় পাম্পের
মাধ্যমেও পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমীতি থেকে জানা যায়, নদী ও বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে সেচের জন্য তোলা হচ্ছে ভুগর্ভস্থ পানি। জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ৩৬৮টি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যার মধ্যেই ৩ হাজারের অধিক প্রকল্পে পানি উঠছে মাটির নিচ থেকে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিভিন্ন হাওরে বসানো শক্তিশালী সেচ প্রকল্পগুলো ভ‚গর্ভস্থ পানি টেনে নিচ্ছে। যে কারণে গ্রামের নলকুপগুলোতে পানি ওঠছে না।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর এলাকার ষাটোর্ধ আতাউর মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কোন নদী না থাকায় জমিতে সেচ নিয়া সমস্যা হয়। ১০ বছর আগে শৈলজুড়া খাল খনন করে সুতাং নদী থেকে পানি সেচ দেয়া হতো। কিন্তু এখন সেই খাল দিয়ে কোম্পানির ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে আমরা সেচ দিতে পারি না। যে কারণে গ্রামের চারপাশে অনেকগুলো সেচপ্রকল্প বসানো হয়ে। এগুলো মাটির নিচ থেকে পানি টেনে নেয়ায় গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠে না।
বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের প্রবিন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামের কোন টিউবওয়েলেই পানি ওঠে না। মাঠের মধ্যে একটা টিউবওয়েল আছে সেখানে কিছুটা পানি ওঠে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফ নগর গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কখনো পানির অভাব পড়ব চিন্তাও করিনি। অথচ এখন টিউবওয়েলে পানি উঠে না। নদীও শুকিয়ে গেছে। কয়েক বছর পর হয়তো আর পানিই মিলত না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, চারপাশের নদী-খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মাটির ওপরে পানি না থাকার কারণে মাটি নিচে পানি ধরে রাখতে পারছে না। যে কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এছাড়া নদী-খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় জমিতে সেচের জন্য ভ‚গর্ভ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে মটর বসিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। যে কারণে পানির এই সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিপর্যয় কয়েক বছর পর আরও ভয়াবহ হবে।