বাংলাদেশ ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
রাজশাহীতে সক্রিয় আমের সিন্ডিকেট, দাম হবে দ্বিগুন আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকাজ। সরকারী সফরে আসছেন পুলিশ প্রধান বৃহত্তর সি‌লে‌টের কৃতি সন্তান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ইসলাম অবমাননায় সাময়িক বহিষ্কার কুবি শিক্ষার্থী স্বপ্নীল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় তার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল নাইক্ষংছড়িতে নির্বাচন হবে স্বচ্ছ-সুষ্ঠ-অবাধ-নিরপেক্ষ ব্যতায় ঘটলে দায়ী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রাঙ্গাবালী থানার কর্মকর্তার সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ড. সজীবকে সমর্থন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন গিয়াস উদ্দিন  ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর পক্ষে নাইঘর বাসীর একাত্মতা প্রকাশ প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে পরিবেশ বান্ধব গাছ উপহার দিলো ঐক্য-বন্ধন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবন নিয়ে মারামারি সালথার তরুণ কবি নাইমের কবিতা, আমিও মানুষ। রাজশাহীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার শীর্ষক অ্যাডভোকেসী সম্মেলন রাঙ্গাবালীতে চেয়াম্যান প্রার্থীর ভাইয়ের মৃতুতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে নির্বাচনী প্রচারণা রাজশাহীতে ১৫ দিনব্যাপী গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন

পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, তবুও জরিমানা!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৬৯৫ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, তবুও জরিমানা!

মো:সুমন হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও 
অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানে যাওয়ার পথে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্টের মুখে পড়েন এক মোটরসাইকেল চালক। এ সময় হাত-পা ধরে মাফ চাইলেও জরিমানা থেকে রক্ষা পাননি তিনি। তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। আর এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা।
মামলা না দিতে পুলিশের পায়ে ধরে কাঁদছেন মোটরসাইকেল আরোহী। রোববার (৩১ মার্চ) ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী এলাকার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 
এরইমধ্যে ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বস্তরে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া মোটরসাইকেল আরোহীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের গেটের পাশে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে দুই হাত জোড় করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করছেন জরিমানা ও মামলা না দিতে।
এ সময় পুলিশ সদস্য পাশে থাকা ট্রাফিকের শহর ও যানবাহন পুলিশের ইনচার্জ আমজাদ হোসেনকে দেখিয়ে দেন। এরপর ভুক্তভোগী হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন স্যার আমার ভুল হয়েছে, আমার মা অসুস্থ, ওষুধ কেনার জন্য এসেছি, আমার মা মরে যাবে, এবারের মতো মাফ করে দেন। একপর্যায়ে যুবক ওই পুলিশ কর্মকর্তার দুই পা ধরে ক্ষমা চান।
এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এবারের মতো ক্ষমা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাকে। কিন্তু তবুও যেন তার শেষ রক্ষা হয়নি।
মোটরসাইকেল আরোহীর কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এরইমধ্যে সুষ্ঠু বিচার ও আইন প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। আর যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো গাড়ি চালকের ওপর এমন অমানবিক আচরণ করতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান পুলিশ সুপারকে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপকর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসাইন পাপন ফেসবুকে লিখেছেন, আইন মানুষের কল্যাণে তৈরি হয়েছে। সেই আইনকে পুঁজি করে যদি কেউ মানুষের অকল্যাণে ব্যবহার করে তাহলে সেটা কখনই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই সুশাসনে মেনে নেয়া যায় না। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের চোখ কখনোই এ ব্যাপারটি এড়িয়ে যাবে না।
ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন মন্তব্য করেন, এখন সময়ের দাবি, ট্রাফিক ও পুলিশের গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে হয়রানি বন্ধ করা। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেকজন লিখেছেন, শক্তের ভক্ত নরমের জম। হাজার হাজার বাস-ট্রাক আছে, যাদের কোনো ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন নাই, গাড়ি ভাঙাচোরা, অথচ রাস্তায় চলছে। ট্রাফিক সার্জেন্ট দেখেও না দেখার ভান করে। কারণ বাসের মালিক অনেক প্রতাপশালী। একটা মানুষ কতটুকু অসহায়বোধ করলে সার্জেন্টের পা ধরে।
মোটরসাইকেল আরোহীর বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমজাদ হোসেন জানান, আইন সবার জন্য সমান। হাত পা ধরে মাফ চাইলে কি সমাধান পাওয়া যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ৮ মাসে জেলায় সড়ক পরিবহন আইনে ৫১৫২টি মামলা হয়েছে। এ সব মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৫০ টাকা।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে সক্রিয় আমের সিন্ডিকেট, দাম হবে দ্বিগুন

পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, তবুও জরিমানা!

আপডেট সময় ০৪:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
মো:সুমন হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও 
অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানে যাওয়ার পথে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্টের মুখে পড়েন এক মোটরসাইকেল চালক। এ সময় হাত-পা ধরে মাফ চাইলেও জরিমানা থেকে রক্ষা পাননি তিনি। তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। আর এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা।
মামলা না দিতে পুলিশের পায়ে ধরে কাঁদছেন মোটরসাইকেল আরোহী। রোববার (৩১ মার্চ) ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী এলাকার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 
এরইমধ্যে ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বস্তরে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া মোটরসাইকেল আরোহীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের গেটের পাশে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে দুই হাত জোড় করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করছেন জরিমানা ও মামলা না দিতে।
এ সময় পুলিশ সদস্য পাশে থাকা ট্রাফিকের শহর ও যানবাহন পুলিশের ইনচার্জ আমজাদ হোসেনকে দেখিয়ে দেন। এরপর ভুক্তভোগী হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন স্যার আমার ভুল হয়েছে, আমার মা অসুস্থ, ওষুধ কেনার জন্য এসেছি, আমার মা মরে যাবে, এবারের মতো মাফ করে দেন। একপর্যায়ে যুবক ওই পুলিশ কর্মকর্তার দুই পা ধরে ক্ষমা চান।
এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এবারের মতো ক্ষমা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাকে। কিন্তু তবুও যেন তার শেষ রক্ষা হয়নি।
মোটরসাইকেল আরোহীর কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এরইমধ্যে সুষ্ঠু বিচার ও আইন প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। আর যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো গাড়ি চালকের ওপর এমন অমানবিক আচরণ করতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান পুলিশ সুপারকে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপকর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসাইন পাপন ফেসবুকে লিখেছেন, আইন মানুষের কল্যাণে তৈরি হয়েছে। সেই আইনকে পুঁজি করে যদি কেউ মানুষের অকল্যাণে ব্যবহার করে তাহলে সেটা কখনই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই সুশাসনে মেনে নেয়া যায় না। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের চোখ কখনোই এ ব্যাপারটি এড়িয়ে যাবে না।
ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন মন্তব্য করেন, এখন সময়ের দাবি, ট্রাফিক ও পুলিশের গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে হয়রানি বন্ধ করা। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেকজন লিখেছেন, শক্তের ভক্ত নরমের জম। হাজার হাজার বাস-ট্রাক আছে, যাদের কোনো ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন নাই, গাড়ি ভাঙাচোরা, অথচ রাস্তায় চলছে। ট্রাফিক সার্জেন্ট দেখেও না দেখার ভান করে। কারণ বাসের মালিক অনেক প্রতাপশালী। একটা মানুষ কতটুকু অসহায়বোধ করলে সার্জেন্টের পা ধরে।
মোটরসাইকেল আরোহীর বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমজাদ হোসেন জানান, আইন সবার জন্য সমান। হাত পা ধরে মাফ চাইলে কি সমাধান পাওয়া যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ৮ মাসে জেলায় সড়ক পরিবহন আইনে ৫১৫২টি মামলা হয়েছে। এ সব মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৫০ টাকা।