বাংলাদেশ ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বুড়িচংয়ে পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘর করতে বাধা তালা ভেঙে জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ  পেকুয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা পেকুয়ায় আদর্শ মহিলা মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ নলছিটি ভেরনবাড়িয়া প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি হলেন সিনিয়র শিক্ষক মাহবুবুর রহমান উলিপুরে প্রধান শিক্ষক সমিতির কমিটি বিলুপ্তির গুজব ছড়ানোয় দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ মাদারীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতার কবর জিয়ারত করেন সাবেক এমপি গোলাপ শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে গোদাগাড়ীর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলার শ্রদ্ধা ইয়াবা ও ফেন্সিডিসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। খুলনা সিটি মেয়রের সুপারিশেও ধর্ষণ ও হামলার মামলা নেয়নি ওসি ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত আটক নাটোরের লালপুরে নিজের দোকানে আগুন দিয়ে প্রতিবেশী কে ফাঁসানোর চেষ্টা। তানোরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রনোদনা ও শিক্ষার্থীর মাঝে সাইকেল বিতরণ  মুলাদীর গাছুয়ায় জোর পূর্বক শহিদ খানের জমির ফসল কেটে নেয়ার অভিযোগ কচুয়ার রাধামাধব মন্দিরে শ্রীশ্রী অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন  মণিরামপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাভলুর বিজয়ে আনন্দ সমাবেশ 

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ১৫৯৯ বার পড়া হয়েছে

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন!

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল একবেলা খাবারের আয়োজন করেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শর্তের বেড়াজালে এ খাবার সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয় অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় আবাসিকতা ও অনাবাসিকতার উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রীয় উদযাপন পালন ‘শেণি বৈষম্য’ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে উদযাপনের সুযোগ দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। ভবিষ্যতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সংগঠনটির প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ফাহির আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, দেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এখানে ত্রিশ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ বিদ্যাপীঠে ১৭টি আবাসিক হল থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হলের আবাসিকতা প্রাপ্তির অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে আসছে। যা শিক্ষার্থীদের জীবনমানের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই একবেলা খাবারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উক্ত রাষ্ট্রীয় উদযাপন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার ঘটনা শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও উক্ত আয়োজনে অংশ নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেই খাবার হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এর দায় কি শিক্ষার্থীদের না কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের? নিঃসন্দেহে এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে।

একই বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ. আর. এম. ফাহিম রেজা বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এ উৎসবে অংশীদারিত্বের মানদণ্ড কখনোই একজন শিক্ষার্থীর আবাসিকতা কিংবা অনাবাসিকতার উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এখানে স্পষ্টতই অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়। যা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ সাম্য ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।

লিখিত বার্তায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ উদযাপনে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে উদযাপনের সুযোগ দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একইসাথে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

এর আগে, দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই বিশেষ খাবার সর্বজনীন না করায় তা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সাতটি ছাত্রসংগঠন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বুড়িচংয়ে পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘর করতে বাধা তালা ভেঙে জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ 

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন!

আপডেট সময় ০৩:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল একবেলা খাবারের আয়োজন করেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শর্তের বেড়াজালে এ খাবার সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয় অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় আবাসিকতা ও অনাবাসিকতার উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রীয় উদযাপন পালন ‘শেণি বৈষম্য’ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে উদযাপনের সুযোগ দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। ভবিষ্যতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সংগঠনটির প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ফাহির আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, দেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এখানে ত্রিশ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ বিদ্যাপীঠে ১৭টি আবাসিক হল থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হলের আবাসিকতা প্রাপ্তির অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে আসছে। যা শিক্ষার্থীদের জীবনমানের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই একবেলা খাবারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উক্ত রাষ্ট্রীয় উদযাপন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার ঘটনা শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও উক্ত আয়োজনে অংশ নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেই খাবার হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এর দায় কি শিক্ষার্থীদের না কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের? নিঃসন্দেহে এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে।

একই বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ. আর. এম. ফাহিম রেজা বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এ উৎসবে অংশীদারিত্বের মানদণ্ড কখনোই একজন শিক্ষার্থীর আবাসিকতা কিংবা অনাবাসিকতার উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এখানে স্পষ্টতই অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়। যা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ সাম্য ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।

লিখিত বার্তায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ উদযাপনে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে উদযাপনের সুযোগ দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একইসাথে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

এর আগে, দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই বিশেষ খাবার সর্বজনীন না করায় তা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সাতটি ছাত্রসংগঠন।