বাংলাদেশ ০২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বিপুল পরিমাণে  জালটাকা সহ জালনোট চক্রের ০২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা ফজলে রাব্বিসহ ১৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। দেশীয় অস্ত্র ও বিদেশী মদসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মহানগরীতে এসআই এর উপস্থিতিতে গৃহবধূকে ইভটিজিং! প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট অভিযোগ   গাড়ি সহ কুবি কোষাধ্যক্ষকে পথরুদ্ধ, শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা,কাঁদলেন শতাধিক মুসলিম। জুয়া খেলার সময় ধরা, ইউপি সদস্যসহ ৮ জন আটক শিক্ষককে অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ মির্জাগঞ্জে কল্যাণ কামনায় তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্তন মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান মির্জাগঞ্জে বিনাদোষে দুই নারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যে নারী। নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’

ত্রিশালে সন্ত্রাসী মনিরে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করছে কিশোর গ্যাং

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০৪ বার পড়া হয়েছে

ত্রিশালে সন্ত্রাসী মনিরে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করছে কিশোর গ্যাং

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী দুর্গম এলাকা চর মাদাখালী গ্রাম। ওই এলাকার চুরি, ডাকাতি, মাদক, সন্ত্রাসী, খুনের মামলার একাধিক আসামী মনির বাহিনীতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এখন নতুন করে এলাকায় মানুষের ত্রাস সৃষ্টি করছে সন্ত্রাসী মনিরসহ  কিশোর গ্যাংয়ের একটি গ্রুপ।
জানাযায়, উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা চর মাদাখালী গ্রাম। নৌকা ছাড়া ওই এলাকায় যোগাযোগের আর কোন ব্যবস্থা নেই। তবে পাশ^বর্তী গফরগাও উপজেলার ১৪ কিলোমিটার ঘুরে সড়ক পথে যাওয়া যায় ওই এলাকায়। ওই এলাকার ত্রাস মনির বাহিনী। সে চুরি, ডাকাতি, মাদক, জমি দখল কারবারের সাথে জড়িত। মনির ত্রিশাল ও নান্দাইল থানায় একাধিক মামলার আসামী। গ্রামবাসী গত এক বছর আগে মনির বাহিনীতে অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভও করেছে। এতে মনির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তখন এলাকায় শান্তি বিরাজ করছিল। মনির জেলখেটে বের হয়ে আবারো গুন্ডা বাহিনী তৈরী করে জমি দখল, মানুষের বাড়ি-ঘর দখল করে ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। ওই এলাকার মনির বাহিনীকে ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল কিশোর গ্যাং পেছন থেকে সার্পোট দিচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছেন এলাকবাসী। মনির কিশোর গ্যাংয়ের সাপোর্ট নিয়ে বর্তমানে ওই এলাকায় জমি, দোকান, বাড়ি-ঘর দখল মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দিয়েছেন এলাকবাসী।
অভিযোগে জানাযায়, গত ১৬ মার্চ ওই এলাকার চর মাদাখালী নতুন চরে মকবুল মাকের্ট দখলে নেয় মনির বাহিনী। সে রাতের অন্ধকারে ২০-৩০ জন লোকনিয়ে তালা ভেঙে দখলে নেয়। ওই মার্কেটে থাকা শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের আসবাবপত্রও ভাংচুর করে মনির বাহিনী তালা লাগিয়ে দেয়। তাছাড়া মকবুল হোসেনের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে এমন অভিযোগ ত্রিশাল থানায় দেন মকবুল হোসেনের ছেলে শেখ মোঃ সানা উল্লাহ সোহাগ।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ মিয়া, হালিমা খাতুন, রেজিয়া আক্তার বলেন, সন্ত্রসী মনিরের অতিষ্ঠ তারা। মনিরের কারনে রাতে ঠিকমত ঘুমানোও যায়না। সে এলাকার চুরিসহ মাদক ব্যবসা করে। তাকে কেউ কিছু বললে তুলে নিয়ে মারধর করে। পুলিশ কয়দিন পরপর ধরে নিয়ে যায় জেল খেটে আবার বের হয়ে আসে। এখন তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে ধলা বাজারের প্রভাবশালী সামাল আকন্দের ছেলে ফাহাদ। ফাহাদ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান তার নিয়ন্ত্রনেই মনিরের অত্যাচার আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সে জমি দখল, মানুষের বাড়ি দখল করছে প্রতিনিয়তই। সে মকবুল মার্কেট রাতের অন্ধকারে গুন্ডা বাহিনী নিয়ে দখল নিয়েছে। মনিরের ত্রাসে এলাকায় কেউ মুখ খুলতেও চায়না। আমরা কার কাছে গেলে বিচার পাবো। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ওই ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, মনিরের অত্যাচারে আমার এলাকার লোক খুবই অতিষ্ঠ। তাকে একাধিক মামলার আসামি পুলিশ ধরে নিলেও কয়েকদিন জেল খেটে আবার বেড়িয়ে এসে মানুষের উপর অত্যাচার করে। এই এলাটি দুর্গম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারছেনা। বর্তমানে মনিরের গ্যাং অনেক বড়। সে স্থানীয় প্রভাবশালী সামাল আকন্দ ও তার ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান ফাহাদের নেতৃত্বে মানুষের জমি-বাড়ি দখল করছে। ফাহাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি  অস্ত্র, রড, চাপতি নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশ আসলে আমি আল্লাহর রহমতে বেচে যাই। আমাকে না মারতে পেরে সামালের ছেলে কিশোর গ্যাং প্রধান ফাহাদ আমার বাসায় দুই রাউন্ড গুলি করে।
এ নিয়ে আমি ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কোন প্রতিকার পাইনি। আমাকে মারার উদ্দেশ্য হলো আমি চরমাদাখালীতে তাদের কাজে বাধা প্রধান করি। আমি বাধা না দিয়ে মনির বাহিনীকে নিয়ে তারা মানুষের জমি বাড়িঘর দখল করতে পারবে। আমি তাদের সাথে পারছিনা। এই কিশোর গ্যাংয়ের সাপোর্ট হলো প্রভাবশালী সামাল আকন্দ। তার ছেলে ফাহাদ এই গ্যাংয়ের প্রধান তার সাথে রয়েছে খুনের মামলার আসামী সাব্বির, পল ও সন্ত্রাসী মনিরসহ দেড় দুইশ ছেলে পেলে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আমার নিরিহ এলাকবাসীকে এদের হাত থেকে বাচান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সামাল আকন্দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চুর- ডাকাতের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। চুর-ডাকাত আমার শত্রু । সন্ত্রাসী মনিরের সাথে আমাদেও কোন সম্পর্ক নেই। আমার ছেলে বা আমি কোন কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত নয়। কিছু মানুষ এগুলো ছড়াচ্ছে। আমরা ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। বাড়িতে কম যাওয়া হয়। ঐ এলাকায় কে প্রভাব বিস্তার করছে তা আমার জানা নাই। তবে অনেক বড় বড় লোক আছে ঐ এলাকায়। ইউপি সদস্য আনোয়ারের বাসায় আপনার ছেলে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে গুলি করেছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মেম্বার আনোয়ার তো কত কথায় বলবে সবই কি সত্য। আমার সাথে তার কোন শত্রুতা  নেই বলে এড়িয়ে যান।
স্থানীয় বালিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল বলেন, চরমাদাখালী আমার এলাকার দুর্গম একটি এলাকা। মনিরের সাথে ঐ এলাকায় জমি নিয়ে সমস্যা হয়েছে শুনেছি। তা নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। আমার কাছে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। সন্ত্রসী মনিরকে আপনি নিয়ন্ত্রন করেন এমন অভিযোগ করছে এলাকবাসী প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি মনিরকে শেল্টার দিবো কেন। আমি তো আওয়ামীলীগ করে নিজেই বেকায়দায় আছি। বর্তমান এমপি বা ক্ষমতায় যারা আছে তার শেল্টার দিবে। আমি প্রভাব খাটালে অন্যরা আমার বালুর ব্যবসা বন্ধ করে দিতো, বেকু পুড়ে ফেলতো।
ত্রিশাল সার্কেল এএসপি অরিত সরকার বলেন, বালিপাড়া ইউনিয়নের চর মাদাখালী নতুন চরে একটি ঘর দখলের অভিযোগ পেয়েছি। আমি আগামী শুক্রবার ওসি সাহেবকে নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবো। মনির বা কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিবো। যে কিশোর গ্যাংয়ের কথা বলছেন যদি তাদের কাছে সুনিদিষ্ট অস্ত্রের প্রমান পাই তাদের গ্রেফতার করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বিপুল পরিমাণে  জালটাকা সহ জালনোট চক্রের ০২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ত্রিশালে সন্ত্রাসী মনিরে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করছে কিশোর গ্যাং

আপডেট সময় ০৩:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী দুর্গম এলাকা চর মাদাখালী গ্রাম। ওই এলাকার চুরি, ডাকাতি, মাদক, সন্ত্রাসী, খুনের মামলার একাধিক আসামী মনির বাহিনীতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এখন নতুন করে এলাকায় মানুষের ত্রাস সৃষ্টি করছে সন্ত্রাসী মনিরসহ  কিশোর গ্যাংয়ের একটি গ্রুপ।
জানাযায়, উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা চর মাদাখালী গ্রাম। নৌকা ছাড়া ওই এলাকায় যোগাযোগের আর কোন ব্যবস্থা নেই। তবে পাশ^বর্তী গফরগাও উপজেলার ১৪ কিলোমিটার ঘুরে সড়ক পথে যাওয়া যায় ওই এলাকায়। ওই এলাকার ত্রাস মনির বাহিনী। সে চুরি, ডাকাতি, মাদক, জমি দখল কারবারের সাথে জড়িত। মনির ত্রিশাল ও নান্দাইল থানায় একাধিক মামলার আসামী। গ্রামবাসী গত এক বছর আগে মনির বাহিনীতে অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভও করেছে। এতে মনির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তখন এলাকায় শান্তি বিরাজ করছিল। মনির জেলখেটে বের হয়ে আবারো গুন্ডা বাহিনী তৈরী করে জমি দখল, মানুষের বাড়ি-ঘর দখল করে ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। ওই এলাকার মনির বাহিনীকে ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল কিশোর গ্যাং পেছন থেকে সার্পোট দিচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছেন এলাকবাসী। মনির কিশোর গ্যাংয়ের সাপোর্ট নিয়ে বর্তমানে ওই এলাকায় জমি, দোকান, বাড়ি-ঘর দখল মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দিয়েছেন এলাকবাসী।
অভিযোগে জানাযায়, গত ১৬ মার্চ ওই এলাকার চর মাদাখালী নতুন চরে মকবুল মাকের্ট দখলে নেয় মনির বাহিনী। সে রাতের অন্ধকারে ২০-৩০ জন লোকনিয়ে তালা ভেঙে দখলে নেয়। ওই মার্কেটে থাকা শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের আসবাবপত্রও ভাংচুর করে মনির বাহিনী তালা লাগিয়ে দেয়। তাছাড়া মকবুল হোসেনের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে এমন অভিযোগ ত্রিশাল থানায় দেন মকবুল হোসেনের ছেলে শেখ মোঃ সানা উল্লাহ সোহাগ।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ মিয়া, হালিমা খাতুন, রেজিয়া আক্তার বলেন, সন্ত্রসী মনিরের অতিষ্ঠ তারা। মনিরের কারনে রাতে ঠিকমত ঘুমানোও যায়না। সে এলাকার চুরিসহ মাদক ব্যবসা করে। তাকে কেউ কিছু বললে তুলে নিয়ে মারধর করে। পুলিশ কয়দিন পরপর ধরে নিয়ে যায় জেল খেটে আবার বের হয়ে আসে। এখন তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে ধলা বাজারের প্রভাবশালী সামাল আকন্দের ছেলে ফাহাদ। ফাহাদ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান তার নিয়ন্ত্রনেই মনিরের অত্যাচার আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সে জমি দখল, মানুষের বাড়ি দখল করছে প্রতিনিয়তই। সে মকবুল মার্কেট রাতের অন্ধকারে গুন্ডা বাহিনী নিয়ে দখল নিয়েছে। মনিরের ত্রাসে এলাকায় কেউ মুখ খুলতেও চায়না। আমরা কার কাছে গেলে বিচার পাবো। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ওই ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, মনিরের অত্যাচারে আমার এলাকার লোক খুবই অতিষ্ঠ। তাকে একাধিক মামলার আসামি পুলিশ ধরে নিলেও কয়েকদিন জেল খেটে আবার বেড়িয়ে এসে মানুষের উপর অত্যাচার করে। এই এলাটি দুর্গম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারছেনা। বর্তমানে মনিরের গ্যাং অনেক বড়। সে স্থানীয় প্রভাবশালী সামাল আকন্দ ও তার ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান ফাহাদের নেতৃত্বে মানুষের জমি-বাড়ি দখল করছে। ফাহাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি  অস্ত্র, রড, চাপতি নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশ আসলে আমি আল্লাহর রহমতে বেচে যাই। আমাকে না মারতে পেরে সামালের ছেলে কিশোর গ্যাং প্রধান ফাহাদ আমার বাসায় দুই রাউন্ড গুলি করে।
এ নিয়ে আমি ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কোন প্রতিকার পাইনি। আমাকে মারার উদ্দেশ্য হলো আমি চরমাদাখালীতে তাদের কাজে বাধা প্রধান করি। আমি বাধা না দিয়ে মনির বাহিনীকে নিয়ে তারা মানুষের জমি বাড়িঘর দখল করতে পারবে। আমি তাদের সাথে পারছিনা। এই কিশোর গ্যাংয়ের সাপোর্ট হলো প্রভাবশালী সামাল আকন্দ। তার ছেলে ফাহাদ এই গ্যাংয়ের প্রধান তার সাথে রয়েছে খুনের মামলার আসামী সাব্বির, পল ও সন্ত্রাসী মনিরসহ দেড় দুইশ ছেলে পেলে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আমার নিরিহ এলাকবাসীকে এদের হাত থেকে বাচান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সামাল আকন্দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চুর- ডাকাতের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। চুর-ডাকাত আমার শত্রু । সন্ত্রাসী মনিরের সাথে আমাদেও কোন সম্পর্ক নেই। আমার ছেলে বা আমি কোন কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত নয়। কিছু মানুষ এগুলো ছড়াচ্ছে। আমরা ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। বাড়িতে কম যাওয়া হয়। ঐ এলাকায় কে প্রভাব বিস্তার করছে তা আমার জানা নাই। তবে অনেক বড় বড় লোক আছে ঐ এলাকায়। ইউপি সদস্য আনোয়ারের বাসায় আপনার ছেলে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে গুলি করেছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মেম্বার আনোয়ার তো কত কথায় বলবে সবই কি সত্য। আমার সাথে তার কোন শত্রুতা  নেই বলে এড়িয়ে যান।
স্থানীয় বালিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল বলেন, চরমাদাখালী আমার এলাকার দুর্গম একটি এলাকা। মনিরের সাথে ঐ এলাকায় জমি নিয়ে সমস্যা হয়েছে শুনেছি। তা নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। আমার কাছে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। সন্ত্রসী মনিরকে আপনি নিয়ন্ত্রন করেন এমন অভিযোগ করছে এলাকবাসী প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি মনিরকে শেল্টার দিবো কেন। আমি তো আওয়ামীলীগ করে নিজেই বেকায়দায় আছি। বর্তমান এমপি বা ক্ষমতায় যারা আছে তার শেল্টার দিবে। আমি প্রভাব খাটালে অন্যরা আমার বালুর ব্যবসা বন্ধ করে দিতো, বেকু পুড়ে ফেলতো।
ত্রিশাল সার্কেল এএসপি অরিত সরকার বলেন, বালিপাড়া ইউনিয়নের চর মাদাখালী নতুন চরে একটি ঘর দখলের অভিযোগ পেয়েছি। আমি আগামী শুক্রবার ওসি সাহেবকে নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবো। মনির বা কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিবো। যে কিশোর গ্যাংয়ের কথা বলছেন যদি তাদের কাছে সুনিদিষ্ট অস্ত্রের প্রমান পাই তাদের গ্রেফতার করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।