আজ সোমবার বিকেলে ফেনী শহরের ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা আয়োজিত গন-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গন-ইফতারে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক শাইখুল হাদিস মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলার সভাপতি মুফতি সালাহুউদ্দিন আইয়ুবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা সভাপতি এইচ এম. নুরুজ্জামান।
প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম বলেন, মাহে রমজানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে ইফতার আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহরিতে গরুর গোশত নিয়ে বিদ্বেষ চর্চার সাম্প্রদায়িক ঘটনাসমূহ একই সুতোয় গাঁথা এবং ভিনদেশি সংস্কৃতির অংশ। এর ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। যা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে গভীর সঙ্কটে ফেলতে পারে।
মাওলানা এবিএম জাকারিয়া আরও বলেন, সরকারের শীর্ষ নেতারা নির্লজ্জভাবে ভারতের পক্ষে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে আমরা মর্যাদাপূর্ণ সুসম্পর্ক চাই। স্বাধীনতাযুদ্ধে তাদের অবদান আমরাই অবশ্যই কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতাকে কেউ অবজ্ঞা করলে, অমার্যাদা করলে আমরা তা মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ জাতীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে।
এ সময় বক্তারা সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী সরকারি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোজাদার ছাত্রদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, শিক্ষা কারিকুলামে ট্রান্সজেন্ডারকে প্রমোট করে শিক্ষার্থীদেরকে সমকামিতায় উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সরকার দেশে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে আঘাত করছে।