বাংলাদেশ ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
দৌলতপুরে ক্রসফায়ারে নিহতের ৬ বছর পর মামলা নিষিদ্ধ Buprenorphine Injection সহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ভারতে হিন্দু পুরোহিতের মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ধনবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল মুন্সীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানববন্ধন বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটের বিশাল চালানসহ ০১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাঙ্গাবালীতে স্লুইজগেট দখল নিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০ গৌরীপুরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তদল ঠাকুরগাঁওয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন। নরসিংদীতে পিকআপ ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু ব্রাহ্মণপাড়া সাজ্জাদ হত্যার প্রধান আসামী সুজন গ্রেপ্তার বদলগাছীতে জাতীয় কন্যা দিবস পালিত। শহীদ কাইয়ুমের পরিবারের পাশে কুবি শিক্ষক সমিতি সলঙ্গায় বৃষ্টির অজুহাতে বাড়ছে সকল সবজির দাম ইবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি সালাউদ্দিন, সম্পাদক গালিব জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণপাড়ায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা

মা অঞ্জনা রানী একমাত্র ছেলে তুষারকে হারিয়ে বাকরুদ্র হয়ে পড়েছে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০৩ বার পড়া হয়েছে

মা অঞ্জনা রানী একমাত্র ছেলে তুষারকে হারিয়ে বাকরুদ্র হয়ে পড়েছে

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রীন কজি কটেজ ৭ তলা একটি বাণিজ্যিক ভবনের কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টের অগ্নিকান্ডে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার হাওলাদার (২৩) নামে একজন নিহত হয়।

শুক্রবার (১মার্চ) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল মর্গ থেকে তুষারের লাশ এম্বুলেন্সে বিকালে ৫টার দিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের তালগাছিয়া গ্রামে তুষারের পিতা দিনেশ হাওলাদার একমাত্র ছেলের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আসতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মরদেহ এক নজর দেখার জন্য গ্রামের শত শত লোক বাড়িতে ভিড় জমায়। মা অঞ্জনা রানী হাওলাদার একমাত্র ছেলে তুষারকে হারিয়ে বাকরুদ্র হয়ে পড়েছে। ছেলেকে হারিয়ে আর্তচিৎকার আর মাটিতে লুটিয়ে পরে এ সময় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলামোটরে অবস্থিত তার কর্মস্থল থেকে বের হয়ে বেইলি রোডে সাত তলা ওই ভবনে অবস্থিত কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাবার খেতে গিয়েছিলেন তিনি। ঠিক আগুন লাগার কিছু আগ মুহুর্তে তারা ওই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন। আগুন লাগলে তারা আর বের হতে পারেননি ওই ভবন থেকে। আর সেখানেই অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান। নিহত তুষার হালদার ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের তালগাছিয়া গ্রামের দীনেশ হাওলাদারের ছেলে। তুষারের পিতা দিনেশ হালদার ঢাকা বার্ডেম হাসপাতালে চাকুরী করেন। তারা স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করত। দিনেশের দুই সন্তানের মধ্যে তুষার বড় ও অদিতি ছোট। তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন এবং সমাবর্তনের অপেক্ষায় ছিলেন। এছাড়া তুষার হালদার স্টার টেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়াতে ভিডিও জার্নালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে দ্যা রিপোর্ট মাল্টিমিডিয়ায় কাজ করতেন তিনি।

 

শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, দীনেশ হাওলাদারের একমাত্র ছেলে তুষার। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক কষ্টের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উদ্ধার করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে রেফার করেছেন। তারপরেও আমি মনে করি এই বিল্ডিংয়ে যদি কোন অবহেলার কারণে এই দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

 

নিহত তুষারের বাবা দীনেশ হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন রাতে আমরা দুজনে কাজ শেষ করে একসঙ্গে বাসায় যাই। গতকাল রাত ৮টার দিকে আমি তুষারকে কল দিয়ে বাসায় যাওয়ার কথা বললে তখন আমাকে জানায় রাতে অফিসে খাবারের আয়োজন থাকবে। এবং আগামীকাল ১মার্চ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আছে তাই যেতে দেরি হবে। পরে আমি বাসায় গিয়ে আবার ওরে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কল দিলে নাম্বার বন্ধ পাই৷ মনে করছি অফিসে আছে কাজ করতাছে। এরপর সকালে আমি ডিউটিতে হসপিটালে চলে আসি। ওর নাম্বারে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কল দিছিলাম তখন কল ডুকছে কিন্তু রিসিভ করে নায়। তখন আমি মনে করছি অনেক রাতে ঘুমাইছে তাই হয় তো ঘুমে আছে।

 

তিনি আরও বলেন, সকাল পৌনে ৭টার দিকে আমার নাম্বারে একজনে কল দিছে তিনি সম্ভবত একজন এসআই হবেন। আমাকে বলে আপনি কি তুষারের বাবা আপনি ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে চলে আসেন আপনার ছেলের লাশ এখানে এসে নিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশ গ্রহণ করে বাড়িতে নিয়ে আসি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তুষারের লাশ দাফন করা হয়েছে।

দৌলতপুরে ক্রসফায়ারে নিহতের ৬ বছর পর মামলা

মা অঞ্জনা রানী একমাত্র ছেলে তুষারকে হারিয়ে বাকরুদ্র হয়ে পড়েছে

আপডেট সময় ০৭:১৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রীন কজি কটেজ ৭ তলা একটি বাণিজ্যিক ভবনের কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টের অগ্নিকান্ডে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার হাওলাদার (২৩) নামে একজন নিহত হয়।

শুক্রবার (১মার্চ) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল মর্গ থেকে তুষারের লাশ এম্বুলেন্সে বিকালে ৫টার দিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের তালগাছিয়া গ্রামে তুষারের পিতা দিনেশ হাওলাদার একমাত্র ছেলের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আসতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মরদেহ এক নজর দেখার জন্য গ্রামের শত শত লোক বাড়িতে ভিড় জমায়। মা অঞ্জনা রানী হাওলাদার একমাত্র ছেলে তুষারকে হারিয়ে বাকরুদ্র হয়ে পড়েছে। ছেলেকে হারিয়ে আর্তচিৎকার আর মাটিতে লুটিয়ে পরে এ সময় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলামোটরে অবস্থিত তার কর্মস্থল থেকে বের হয়ে বেইলি রোডে সাত তলা ওই ভবনে অবস্থিত কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাবার খেতে গিয়েছিলেন তিনি। ঠিক আগুন লাগার কিছু আগ মুহুর্তে তারা ওই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন। আগুন লাগলে তারা আর বের হতে পারেননি ওই ভবন থেকে। আর সেখানেই অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান। নিহত তুষার হালদার ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের তালগাছিয়া গ্রামের দীনেশ হাওলাদারের ছেলে। তুষারের পিতা দিনেশ হালদার ঢাকা বার্ডেম হাসপাতালে চাকুরী করেন। তারা স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করত। দিনেশের দুই সন্তানের মধ্যে তুষার বড় ও অদিতি ছোট। তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন এবং সমাবর্তনের অপেক্ষায় ছিলেন। এছাড়া তুষার হালদার স্টার টেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়াতে ভিডিও জার্নালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে দ্যা রিপোর্ট মাল্টিমিডিয়ায় কাজ করতেন তিনি।

 

শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, দীনেশ হাওলাদারের একমাত্র ছেলে তুষার। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক কষ্টের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উদ্ধার করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে রেফার করেছেন। তারপরেও আমি মনে করি এই বিল্ডিংয়ে যদি কোন অবহেলার কারণে এই দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

 

নিহত তুষারের বাবা দীনেশ হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন রাতে আমরা দুজনে কাজ শেষ করে একসঙ্গে বাসায় যাই। গতকাল রাত ৮টার দিকে আমি তুষারকে কল দিয়ে বাসায় যাওয়ার কথা বললে তখন আমাকে জানায় রাতে অফিসে খাবারের আয়োজন থাকবে। এবং আগামীকাল ১মার্চ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আছে তাই যেতে দেরি হবে। পরে আমি বাসায় গিয়ে আবার ওরে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কল দিলে নাম্বার বন্ধ পাই৷ মনে করছি অফিসে আছে কাজ করতাছে। এরপর সকালে আমি ডিউটিতে হসপিটালে চলে আসি। ওর নাম্বারে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কল দিছিলাম তখন কল ডুকছে কিন্তু রিসিভ করে নায়। তখন আমি মনে করছি অনেক রাতে ঘুমাইছে তাই হয় তো ঘুমে আছে।

 

তিনি আরও বলেন, সকাল পৌনে ৭টার দিকে আমার নাম্বারে একজনে কল দিছে তিনি সম্ভবত একজন এসআই হবেন। আমাকে বলে আপনি কি তুষারের বাবা আপনি ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে চলে আসেন আপনার ছেলের লাশ এখানে এসে নিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশ গ্রহণ করে বাড়িতে নিয়ে আসি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তুষারের লাশ দাফন করা হয়েছে।