বাংলাদেশ ০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি’র সতর্কতা জারি মান্দায় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালুমহালের সরঞ্জামে হামলা রিয়াজ নকিব এর উপর হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ দৌলতপুরে ক্রসফায়ারে নিহতের ৬ বছর পর মামলা নিষিদ্ধ Buprenorphine Injection সহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মুলাদীতে শারদীয় দুর্গা পুজা উৎযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা বুড়িচং সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা, ৩ জন আটক ভারতে হিন্দু পুরোহিতের মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ধনবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল মুলাদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা মুন্সীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানববন্ধন বুড়িচং উপজেলার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন কবির হোসেন মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার  দুর্গাপূজা চলাকালীন মাদক দ্রব্য ও জুয়ার নিষিদ্ধ রাজস্থলীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটের বিশাল চালানসহ ০১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ চারু বালা করের নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
  • ১৬১৪ বার পড়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ চারু বালা করের নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন 

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ যশোরের প্রথম শহীদ যশোরের গৃহবধূ চারুবালা কর।আজ মহান মুক্তিযুদ্ধে যশোরের প্রথম শহীদ চারুবালা কর-এর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
 শহীদ চারুবালার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও নীলগঞ্জ মহাশশ্মান কর্তৃপক্ষের আজ ৩রা মার্চ ( রবিবার)সকাল ১০টায় নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শহীদ চারু বালা করের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নব নির্মিত সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখা ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন,  দৈনিক স্পন্দনের নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলু, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী প্রণব দাস,  শরিফুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন মঞ্জু,  অদিত প্রমুখ।
 উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে সারা দেশের মত স্বাধীনতার স্বাদ নিতে উত্তাল ছিল যশোরের জনতা। ২ রা মার্চ ঢাকায় প্রথম স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ৩রা মার্চ সকালেই মুক্তিকামী জনতা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিছিল বের করে যশোর শহরে। হাজারো মানুষের এই মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি রেলরোডে পৌঁছালে খাদ্য গুদামের সামনে পাক বাহিনীর অবস্থান দেখে বিক্ষুব্ধ জনতা সার্কিট হাউজ অভিমুখে রওনা হয়। সার্কিট হাউজেও পাক আর্মিদের দেখে সেখানে আক্রমনের প্রস্তুতি নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তখন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ মশিউর রহমান সবাইকে শান্ত করে ঈদগাহ ময়দানে অবস্থান নেন। মধ্য দুপুরের দিকে খবর আসে পাক বাহিনী টেলিফোন ভবন দখল নিতে যাচ্ছে। তখন সাথে সাথে সংগ্রামী জনতা তা প্রতিহত করতে অগ্রসর হয়। বিক্ষোভকারী দল টেলিফোন ভবনের সামনে পৌঁছালে ভবনের ছাদ থেকে পাক বাহিনী আতর্কিতভাবে গুলি চালায়। গুলিতে টেলিফোন ভবনের পাশেই স্বামীর সাথে বসবাস করা নিঃসন্তান চারুবালা কর নিহত হন। নিহত চারুবালার লাশ নিয়ে রাখা হয় যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে এবং লাশ হস্তান্তরে বাঁধ সাধে পাক আর্মি।
তখন মশিউর রহমান পাক আর্মিদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে বলেন, আমার মায়ের লাশ আমি নিয়ে যাব। জনতার বিক্ষোভের মুখে পাক বাহিনী লাশ হস্তান্তর করতেবাধ্য হয়।কমপক্ষে ২৫ হাজার মুক্তিকামী মানুষ চারুবালার মৃতদেহ নিয়ে নীলগঞ্জ শ্মশানে শেষকৃত্য করেন। দূর্ভাগ্যজনক সত্য যে,যশোরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রথম শহীদ চারুবালা কর আজও অজানা এক ইতিহাস। পালন করা হয়না তার মৃত্যু দিবস। তবে চারুবালার মৃত্যু ছিল যশোরের স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা।
জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি’র সতর্কতা জারি

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ চারু বালা করের নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন 

আপডেট সময় ১০:২০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ যশোরের প্রথম শহীদ যশোরের গৃহবধূ চারুবালা কর।আজ মহান মুক্তিযুদ্ধে যশোরের প্রথম শহীদ চারুবালা কর-এর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
 শহীদ চারুবালার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও নীলগঞ্জ মহাশশ্মান কর্তৃপক্ষের আজ ৩রা মার্চ ( রবিবার)সকাল ১০টায় নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শহীদ চারু বালা করের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নব নির্মিত সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখা ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন,  দৈনিক স্পন্দনের নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলু, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী প্রণব দাস,  শরিফুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন মঞ্জু,  অদিত প্রমুখ।
 উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে সারা দেশের মত স্বাধীনতার স্বাদ নিতে উত্তাল ছিল যশোরের জনতা। ২ রা মার্চ ঢাকায় প্রথম স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ৩রা মার্চ সকালেই মুক্তিকামী জনতা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিছিল বের করে যশোর শহরে। হাজারো মানুষের এই মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি রেলরোডে পৌঁছালে খাদ্য গুদামের সামনে পাক বাহিনীর অবস্থান দেখে বিক্ষুব্ধ জনতা সার্কিট হাউজ অভিমুখে রওনা হয়। সার্কিট হাউজেও পাক আর্মিদের দেখে সেখানে আক্রমনের প্রস্তুতি নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তখন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ মশিউর রহমান সবাইকে শান্ত করে ঈদগাহ ময়দানে অবস্থান নেন। মধ্য দুপুরের দিকে খবর আসে পাক বাহিনী টেলিফোন ভবন দখল নিতে যাচ্ছে। তখন সাথে সাথে সংগ্রামী জনতা তা প্রতিহত করতে অগ্রসর হয়। বিক্ষোভকারী দল টেলিফোন ভবনের সামনে পৌঁছালে ভবনের ছাদ থেকে পাক বাহিনী আতর্কিতভাবে গুলি চালায়। গুলিতে টেলিফোন ভবনের পাশেই স্বামীর সাথে বসবাস করা নিঃসন্তান চারুবালা কর নিহত হন। নিহত চারুবালার লাশ নিয়ে রাখা হয় যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে এবং লাশ হস্তান্তরে বাঁধ সাধে পাক আর্মি।
তখন মশিউর রহমান পাক আর্মিদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে বলেন, আমার মায়ের লাশ আমি নিয়ে যাব। জনতার বিক্ষোভের মুখে পাক বাহিনী লাশ হস্তান্তর করতেবাধ্য হয়।কমপক্ষে ২৫ হাজার মুক্তিকামী মানুষ চারুবালার মৃতদেহ নিয়ে নীলগঞ্জ শ্মশানে শেষকৃত্য করেন। দূর্ভাগ্যজনক সত্য যে,যশোরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রথম শহীদ চারুবালা কর আজও অজানা এক ইতিহাস। পালন করা হয়না তার মৃত্যু দিবস। তবে চারুবালার মৃত্যু ছিল যশোরের স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা।