মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৭০টি নিম্ন আয়ের পরিবার পাবে টিসিবির পণ্য। যার ফলে ১২ থেকে ১৩ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ। সরবরাহ বাড়লে সিন্ডিকেট থাকে না। পবিত্র রমজানে যেন কোন মানুষ কৃত্রিম সংকটে না পড়ে সে কারণে সরকারের এ সিদ্ধান্ত। শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এসব কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, জেলায় প্রথম দিনে ৩২টি স্পটে ১৭ হাজার ৫০০টি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে। টিসিবির তালিকাভূক্ত ডিলারদের মাধ্যমে এ পণ্য বিক্রয় করা হবে। উপকারভোগী পরিবার ফ্যামিলি কার্ড প্রদর্শন করে নির্ধারিত স্থান ও সময়ে ডিলারদের নিকট থেকে পণ্য গ্রহণ করবেন।
তিনি আরও জানান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের গুদামে পণ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। পণ্য সরবরাহসহ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপারকে পত্র দেয়া হয়েছে। অনিয়ম প্রতিরোধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট টিম মাঠে থাকবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, টিসিবির পণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা। এর মধ্যে চিনি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল ১১০ টাকা ও ছোলা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্ডধারীরা না আসলে উপস্থিত জনগণের কাছে তা বিক্রি করে দিয়ে আসতে হবে ডিলারদের। জেলায় ৮৩ জন ডিলারের মাধ্যমে আগামী ২০ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক পরিবারকে ২ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি সয়াবিল তেল বিক্রয় করা হবে এবং ৩ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল ৩টি পণ্যের সাথে ছোলাও বিক্রয় করা হবে। জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভায় এ পণ্য বিক্রয় করা হবে।