রুবেল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের নদীগুলো থেকে যত্রতত্র অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। নিয়মিত বালু উত্তোলন করলেও জানেন না বলছেন প্রশাসন।
জেলা শহরের আটগ্যালারী টাঙন নদীর ব্রীজের নিচ থেকে কিংবা সেনুয়া ব্রীজের নিচ থেকে দিন-দুপুরে অবাধে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। ফলে নদীর উপড়ে ব্রীজসহ হুমকির মুখে বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন একটি প্রভাবশালী চক্র হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রিজের সন্নিকট থেকেও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে অবৈধ ভাবে। দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডোগায় এমন কর্মকান্ড চলমান থাকলেও প্রশাসন বলছেন জানেন না কিছুই। তবে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান প্রশাসন।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহরের আট গ্যালারী টাঙন নদীর ব্রিজের নিচে প্রায় দশটির বেশি ট্রাক্টর লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছে শ্রমিকরা। এছাড়া পাশেই ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একব্যক্তি তার বাড়ির কাজের জন্য বালু উত্তোলন করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাশে সরকারি দপ্তর গুলোর পাশাপাশি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রিজ হুমকির মুখে পড়েছে। লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন ভূয়া তথ্য দিয়ে দিনের পর দিন একটি প্রভাবশালী চক্র বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলেও দেয়া হয় হুমকি। বালু উত্তোলনের সরকারি নীতিমালা থাকলেও কোন তোয়াক্কা করেন না তারা। গায়ের জোরে এমন কর্মকান্ড যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। বরং ইজারা না নিয়েই চলছে এই হরিলুট। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর বাইরে কোন কথা বলতে রাজি নন তিনি।