সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
মানবতার এক অনন্য উদাহরণ ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ দবিরুল ইসলাম এমপি’র বড় ছেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিয়াডাঙ্গী সমির উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাজহারুল ইসলাম সুজন। বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুরসহ ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, এতিমখানা ও গরিব-দুখি মানুষের সহযোগিতায় ব্যয় করেছেন প্রচুর অর্থ।
অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সুনাম। দলমত নির্বিশেষে ঠাকুরগাঁওয়ের যে কেউ তার কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসেনি। তার আদর্শ ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে এ জেলার মানুষ তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পিতার হাত ধরেই ছাত্রাবস্থায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৫ সালে নির্বাচিত হন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। ১৯৯৮ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৪ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত থাকাবস্থায় ২০২০ সালে পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সুজন ১৯৭৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাত বারের নির্বাচিত এবং বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. দবিরুল ইসলাম। তার শৈশব কেটেছে বড়বাড়ি গ্রামে। লেখাপড়া তিনি যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি দুরন্তপনায় মাতিয়েছেন গ্রামও। বড়বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ শেষ করে বালিয়াডাঙ্গী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাবস্থায় অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতে যান। ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও কলকাতা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসেন। দলকে সুসংগঠিত করতে কলকাতায় অধ্যয়নরত অবস্থায় ছুটিতে ঠাকুরগাঁও এসে দলের জন্য কাজ করে গেছেন।
এ ব্যাপারে মাজহারুল ইসলাম সুজন মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছি, বিএনপি’র শাসনামলে দুটি জননিরাপত্তা মামলায় ৫১ দিন কারাবরণ করেছি। দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুরসহ এ জেলার গরিব, দুস্থ, অসহায় নির্যাতিত, নিষ্পেসিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।