বাংলাদেশ ১২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান মির্জাগঞ্জে বিনাদোষে দুই নারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যে নারী। নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক

ত্রিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • ১৬৪৩ বার পড়া হয়েছে
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ইউনিয়ন পরিষদে দরবার করে পক্ষপাত অবলম্বন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোর পূর্বক স্বাক্ষরসহ চেক বহির দুটি পাতা এবং তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ত্রিশাল উপজেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছে উপজেলার ধানীখোল ইউনিয়নের এক নারী। 
মামলার বিবরনে জানায়, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন নাহার (৩২) এর সাথে প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার পর পারিবারিক ভাবে ২০১৭ সালে মোকসেদুল হাসানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সৌদি আরব চলে যায়। করোনা মহামারীর সময় স্বামী মোকসেদুল হাসান প্রবাসে মৃত্যু বরণ করলে স্বামীর পরিবারের লোকজন ওয়ারিশী সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয় জেসমিনকে। পরে তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইলে পরিচয়ের এক পর্যায়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ তারা। মিজান যখন জানতে পারে জেসমিনের একাউন্ডে টাকা রয়েছে তখন পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। দাবীকৃত টাকা না দিলে মেলামেশার তথ্য ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি প্রদর্শন করে।
মামলার বাদী জেসমিন নাহার জানান, দাবীকৃত টাকা পাওনা টাকা হিসেবে দাবী করে তা আদায় করতে ধানীখোলা ইউপি চেয়াম্যানের কাছে নালিশ করে মিজান। ধানীখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল ৬ এপ্রিল দরবার আহবান করে। এসময় চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল মিজানুর রহমানের পক্ষাবলম্বন করে কথিত হাওলাত টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন বলে দাবী করেন বাদী। চেয়ারম্যানের নির্দেশে জেসমিনের বাড়ী থেকে সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ কর্পোরেট শাখায় জেসমিনের নামীয় একাউন্ড নম্বর ৩৩১৬৭০১০৪৭৬৪২ চেক বই নিয়ে এসে চেয়ারম্যান ভয়ভীতি দেখিয়ে চেকের পাতা যাহার নং- যথাক্রমে ৫৬২৩৮৮৫, ৫৬২৩৮৮৬ তে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। এসময় একশত টাকার নন জুডিশিয়াল তিনটি ষ্ট্যম্পের সাদা পাতায়ও জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তিতে গত ১০ এপ্রিল চেকের দুটি পাতা ও ষ্ট্যাম্প চাইলে চেয়ারম্যান বলে ওইগুলো মিজানকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে চেক ও ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ত্রিশাল উপজেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যাহার নং-৩০৮/২০২৩।
তবে মামলার ১নং বিবাদী ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে দরবারের মাধ্যমে সবকিছুরই সমাধান করা হয়েছে। জোর পূর্বক এখানে কিছু করা হয়নি।
জনপ্রিয় সংবাদ

শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান

ত্রিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপডেট সময় ০১:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ইউনিয়ন পরিষদে দরবার করে পক্ষপাত অবলম্বন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোর পূর্বক স্বাক্ষরসহ চেক বহির দুটি পাতা এবং তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ত্রিশাল উপজেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছে উপজেলার ধানীখোল ইউনিয়নের এক নারী। 
মামলার বিবরনে জানায়, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন নাহার (৩২) এর সাথে প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার পর পারিবারিক ভাবে ২০১৭ সালে মোকসেদুল হাসানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সৌদি আরব চলে যায়। করোনা মহামারীর সময় স্বামী মোকসেদুল হাসান প্রবাসে মৃত্যু বরণ করলে স্বামীর পরিবারের লোকজন ওয়ারিশী সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয় জেসমিনকে। পরে তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইলে পরিচয়ের এক পর্যায়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ তারা। মিজান যখন জানতে পারে জেসমিনের একাউন্ডে টাকা রয়েছে তখন পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। দাবীকৃত টাকা না দিলে মেলামেশার তথ্য ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি প্রদর্শন করে।
মামলার বাদী জেসমিন নাহার জানান, দাবীকৃত টাকা পাওনা টাকা হিসেবে দাবী করে তা আদায় করতে ধানীখোলা ইউপি চেয়াম্যানের কাছে নালিশ করে মিজান। ধানীখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল ৬ এপ্রিল দরবার আহবান করে। এসময় চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল মিজানুর রহমানের পক্ষাবলম্বন করে কথিত হাওলাত টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন বলে দাবী করেন বাদী। চেয়ারম্যানের নির্দেশে জেসমিনের বাড়ী থেকে সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ কর্পোরেট শাখায় জেসমিনের নামীয় একাউন্ড নম্বর ৩৩১৬৭০১০৪৭৬৪২ চেক বই নিয়ে এসে চেয়ারম্যান ভয়ভীতি দেখিয়ে চেকের পাতা যাহার নং- যথাক্রমে ৫৬২৩৮৮৫, ৫৬২৩৮৮৬ তে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। এসময় একশত টাকার নন জুডিশিয়াল তিনটি ষ্ট্যম্পের সাদা পাতায়ও জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তিতে গত ১০ এপ্রিল চেকের দুটি পাতা ও ষ্ট্যাম্প চাইলে চেয়ারম্যান বলে ওইগুলো মিজানকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে চেক ও ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ত্রিশাল উপজেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যাহার নং-৩০৮/২০২৩।
তবে মামলার ১নং বিবাদী ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে দরবারের মাধ্যমে সবকিছুরই সমাধান করা হয়েছে। জোর পূর্বক এখানে কিছু করা হয়নি।