মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীকে টিকটক ভিডিও থেকে ফেরাতে না পেরে এবং জমি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করায় বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করলেন খোকন নামে এক প্রবাসী। অতঃপর স্ত্রী আসমা বেগম মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে স্বামী খোকনকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনায় এলকায় তোলপাড় চলছে।
আসমা বেগম উপজেলার হোগলপাতি গ্রামের আবু জাফর তালুকদারের মেয়ে এবং প্রবাসী খোকন ওরফে রহমান ভাইজোড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান ফকির এর ছেলে। আসমা বেগমের মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেন যৌতুকের দাবীতে স্বামী নিজ বসত ঘরে তাকে মারধর করেছেন। এ মামলায় খোকন বর্তমানে জেল-হাজতে রয়েছেন।
শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা মুন্নি বেগম (৩০), শাহিদা (৪০), আলতাফ খন্দকার (৫০), মুনসুর আলী (৭০) জানান, আসমা বেগম এ বাড়ি থেকে ১ বছর আগে গিয়ে পিত্রালয় আশ্রয় নিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর সাথে দেখাই হয়নি। মারামারির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রধান শিক্ষক সাইদুল করিম ফারুক (৫৬), জাহানারা বেগম (৫০), ভুক্তভোগী খোকনের মা তহমিনা বেগম (৫৫) জানান, প্রবাসি খোকনের স্ত্রী আসমা বেগম যৌথ ঘরে বসবাস করতে অপারকতা প্রকাশ করায় তাকে নতুন আলাদা ঘর করে দেয় খোকন।
সে ওই ঘরেও বসবাস না করে খোকনের অমতে সাপলেজা বাজারে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। এরপর খোকনের কাছে উল্টো যৌতুক দাবী করলে স্ত্রী আসমার নামে ওই বাজাবে যৌথ নামে জমি ক্রয় করে। যা পরবর্তিতে বিক্রি করে আসমা ও তার বাবা আবু জাফর টাকা আত্মসাৎ করেন। এদিকে বিদেশে থাকা কালীন সময় খোকনের ‘আকামা’ করে দেয়ার ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে শ্যালক আলামীন। অপরদিকে আসমা বেগম অব্যাহত ‘টিকটক ভিডিও’ বন্ধ না করায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মোবাইলে ঝগড়া লেগেই থাকে। একপর্যায় আসমা বেগম স্বামীর ঘর সংসার করবেনা মর্মে জানিয়ে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে সম্প্রতি খোকন দ্বিতীয় বিয়ে করে। আসমা ও তার বাবা আবু জাফর জমি বিক্রির টাকা নেয়ার বিষয়টি ওই জমির ক্রেতা শহীদুল ইসলামের স্ত্রী রিনা বেগম নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন খোকন কেন দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং আধৌ মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা ? এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সরেজমিনে গেলে অভিযুক্ত আসমা বেগম কথা বলতে রাজি হননি।