প্রেস রিলিজ:
ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর “ভ্রুণ হত্যা” মামলার আসামী র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ গত ২০ মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন তল্লা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর “ভ্রুণ হত্যা” মামলার এজাহারনামীয় আসামী ইমান আলী @ আমিনুল (৫০), পিতা- মৃত আনিছুল হক, সাং- পশ্চিম তল্লা, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বাদী ফুলমতির স্বামী মনতাজ মিয়া পশ্চিম তল্লা জামাই বাজার এলাকায় কাচাঁ তরকারীর ব্যবসা করে। গত ০৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামী ইমান আলী @ আমিনুলসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা বাদীর স্বামী মনতাজ মিয়ার দোকানে পাওনা ৯৫০/- টাকা আদায়ের জন্য হাজির হয়। মনতাজ মিয়া তাদেরকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে বললে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে যায় এবং বাদী ফুলমতি ও তার স্বামীকে তাদের দোকানের সামনে হত্যার অভিপ্রায়ে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। ঘটনার এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগীরা বাদীর স্বামীকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টাকালে বাদী আসামীদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। এতে গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগীরা আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ০৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বাদীর পেটে স্ব-জোরে আঘাত করে। এতে বাদীর পেটে থাকা ০৭ মাসের ভ্রুণ সন্তানটি মারা যায়। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম ফুলমতি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৪৬, তারিখ ১৮ মার্চ ২০২৩। উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় আসামীরা কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ভ্রুণ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং ইমান আলী @ আমিনুল’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
—–স্বাক্ষরিত—–
নিশাত তাবাসসুম
সিনিয়র এএসপি
সহকারী পরিচালক
মিডিয়া অফিসার
র্যাব-১১,আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ।