বুলবুল হাসান বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা জেলার বেড়া থানার অন্তর্ভুক্ত নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া কবরস্থানের পাশে যমুনা নদীতে বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে রেণু পোনা সংগ্রহের মহোৎসব। এর ফলে গড়ে প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে হাজার হাজার প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা।
বিষয় টি দেখার যেনো কেউ নেই। জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে এসব নদ-নদীর মাছের পোনা আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও কিছু অসাধু ব্যাক্তি রেনু পোনা সংগ্রহ করছে। মাছের প্রজনন মৌসুম বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে নদ-নদীগুলোতে সাধারণত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ডিম ছেড়ে থাকে। ফলে অবৈধ রেণুপোনা সংগ্রহকারীরা বেপরোয়া ভাবে নদ-নদীগুলো থেকে এই সময়টাতেই ডিম ও রেণুপোণা সংগ্রহে নেমে পড়ে।
তারা মশারির চেয়েও সূক্ষ পাতলা জাল, বেউচি জাল, সাবার জাল প্রভৃতি দিয়ে এই রেণুপোনা ও ডিম সংগ্রহ করে থাকে। পুকুরে চাষোপযোগী রুই, কাতলা, মৃগেল প্রভৃতি মাছের রেণুপোনা ও ডিম সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নদীতে জাল পাতা হলেও পাতা জালে এসব মাছের রেণুপোণা ও ডিমের সঙ্গে অন্যান্য প্রজাতি মাছের কমপক্ষে দশ গুণ রেণুপোণা ও ডিম ধার পড়ে।
সংগ্রহকারীরা কাংখিত মাছের রেণুপোণা ও ডিমগুলো সংগ্রহ করার পর বাকিগুলো অযত্ন ও অবহেলায় ডাঙায় অথবা অন্যত্র ফেলে দেয়। ফলে বাকি রেনু পোনা নষ্ট হয়ে যায় ফলশ্রুতিতে দেশি মাছের বংশ বৃদ্ধি মাছের চাহিদা মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। দেশিও প্রজাতির মাছের অভাব দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় বেড়া উপজেলার নগর বাড়ি বসন্ত পুর নতুন ভারেঙ্গা কৈটলা আওয়ায় বাঁধ নাকালিয়া মোহনগঞ্জ হুড়াসাগর সহ যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে রেনু পোনা সংগ্রহ করছে।
যমুনা নদীর তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মজনু মিয়া বলেন, এভাবে অবাধে মাছের রেনু পোনা সংগ্রহ করা হলে ভবিষ্যতে প্রজন্মের জন্য পরবর্তীতে নদীতে আর মাছ পাওয়া যাবেনা। তাই এগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতি বছর মাছের প্রজনন মৌসুমে মৎস্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে রেনু পোনা সংগ্রহ যাতে করতে না সে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। শীঘ্রই অবৈধ ভাবে রেনু পোনা সংগ্রহ কারীদের মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। জনবল সংকটের কারনে অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।