মোঃমিজানুর রহমান, কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছের মোঃ ফয়জুল করিম বাবুল এর পুত্র সায়েফ বীন করিম।
কাতার প্রবাসে থাকা অবস্থায় রিলেশনশিপ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় গুলমাকাপন ৪ নং ওয়ার্ড এর মৃত আব্দুল কালাম আহমেদ এর মেয়ে তাসমিনস আহমেদ এর সাথে। পারিবারিক ভাবে প্রথমে মেনে না নিলেও পরে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নিকাহনামা সম্পাদন করা হয়।
এর পর থেকে কনের মা, বোন ও ভাই আশা যাওয়া করেন সায়েফ বীন করিমের বাড়িতে। চলিত মাসে লন্ডন থেকে সায়েফ এর শাশুড়ী, শালা, শালী ও মামা শশুর আসেন। এরপর থেকে সায়েফ বেশীরভাগ সময়ই তার, শাশুড়ির সাথে শশুর বাড়িতে ছিলেন।
গতকাল ২৬ জুন বিকাল ৪ টার সময় ও সায়েফ তার বাড়িতে ফোনে কথা বলেছে। অতঃপর রাত ১২ টায় সায়েফের শাশুড়ী ফোন করে বলেন সায়েফ রুমের ভিতরে দরজা বন্ধ করে রয়েছে ডাকলেও সাড়া দিচ্ছে না।
এই খবর শুনেই রাত ২ ঘটিকায় রওয়ানা দেয় সায়েফের বাবা – মা, ও ছোট বোন ছোটে যায় ঘটনাস্থলে, ততক্ষণে সায়েফের শাশুড়ী স্থানীয় থানার পুলিশ দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে সায়েফের জুলন্ত লাশ নামিয়ে রাখে। পরে সায়েফের বাবা মা গিয়ে ওসমানীনগর পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
সায়েফের মা-বাবা ও বোনসহ আত্নীয়দের বক্তব্য হচ্ছে- সায়েফ আত্মহত্যা করার প্রশ্নই ওঠে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে তার শাশুড়ী, শালা ও মামা শশুর মিলে হত্যা করেছে কারণ তারা তাকে মেয়ের জামাই হিসেবে মেনে নিতে পারে নি।
ময়নাতদন্তের পর বাবা বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।