মোঃ আজিজার রহমান, জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটারবিহীন সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনেই দেশ পরিচালিত হবে।
আজ শনিবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে দিনাজপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনার বদলে কেয়ারটেকার, ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপারে ভোট নিতে হবে। এ দাবিতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে একটি মিথ্যা বায়োবিও মামলায় কারারুদ্ধ ৩ বারের সাবেক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশনেতা তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে প্রত্যাবর্তন করাতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যে নেতারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে পাচার করেছেন, তাদের আওয়ামী লীগে জায়গা হবে না– আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ মন্তব্যই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ লুটেরা দুর্নীতিবাজের দল। আজ তাদের দুর্নীতির সীমা এতটাই বেড়ে গেছে যে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মতো একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র স্থগিতাদেশ দিতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশের গণতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আসবে। এ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একইসাথে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে হবে। দেশের সাধারণ জনগণ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। এজন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রেজিনা ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আব্দুল খালেক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ আখতারুজ্জামান মিয়া ও এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান প্রমুখ।
দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা বিএনপির ২০টি ইউনিটের এক হাজার ৯১৯ জন কাউন্সিলর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি পদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচিত করবেন।