বাংলাদেশ ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি কুষ্টিয়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় জরায়ু মুখে ক্যানসার (এইচপিভি) টিকা নিয়ে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রম্য বির্তক ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে বাস চাপায় নিহত ববি শিক্ষার্থী উত্তপ্ত ববি! ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসে অচল ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক ছাদ ভেঙে শ্রেণিকক্ষে খসে পড়ছে পলেস্তারা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মহিলালীগ নেত্রী ভূমিদস্যু আলেয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পংকজ কুমার হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত, আহত ১ রামুর কচ্ছপিয়ায় সরকারি রিজার্ভের জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগ গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম

ঈদের তিনদিনে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আয় ১২লাখ টাকা”নতুন করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • ১৭২৩ বার পড়া হয়েছে

ঈদের তিনদিনে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আয় ১২লাখ টাকা"নতুন করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত

 

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু নওগাঁ বদলগাছী প্রতিনীধিঃ-

 

ঈদের তিনদিনে নওগাঁর বিশ্ব ঐতিহ্য দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (সোমপুর বিহার) থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১২লাখ টাকা। আর লক্ষাধিক পর্যটকরা ভ্রমণ করেছে এই পাহাড়পুর। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকট কেটে প্রায় দীর্ঘ দুই বছর পর আবারো নতুন করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গন।

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ দেশের বিশিষ্টজনরা এই ঈদে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চালু হওয়া ট্যুরিস্ট বাস ‘ভ্রমণ বিলাস’ নওগাঁর ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের মাঝে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিহার এই পাহাড়পুর। এর আদি নাম সোমপুর বিহার। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত এটি। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি মূলত পাল রাজ্যের রাজধানী ও সেই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। এখানে সে সময় ভিক্ষুরা পড়ালেখা করতো।

 

 

নওগাঁ শহর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের দূরত্ব মাত্র ২৯ কিলোমিটার। এখানে সারা বছর দেশ ও বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। তবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ঘরে বন্দি থাকায় এই ঈদে খোলা পেয়ে লক্ষাধিক দর্শনার্থী পাহাড়পুরে আসছেন। বিগত সময়ের তুলনায় এই ঈদে দর্শানার্থীদের আগমন রের্কড পরিমান। আগের চেয়ে অনেক আধুনিকায়ন হওয়ায় পাহাড়পুরের পরিবেশ নিয়েও সন্তোষ দর্শনার্থীরা। আগামী শনিবার সরকারি ছুটির দিন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের আগমন বেশি হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।

 

 

বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, সত্যিই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও তার পরিবেশ খুবই সুন্দর। তবে এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের খুবই সমস্যা। কিন্তু আজকের দিনে এমন ঐতিহাসিক স্থানে এমন সমস্যা সত্যি খুবই দুঃখজনক। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আমি এখানে এই প্রথম আসলাম। হাজার বছর আগের কীর্ত্তি দর্শন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আর এখানে এতো পর্যটকের সমাগম এর আগে আমি দেখিনি।

 

 

 

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম আরজু বলেন, পাহাড়পুরের ইতিহাসে এতো রেকর্ড পরিমাণ দর্শক কখনোই হয়নি। আমরা সীমিত লোকজন নিয়ে আগত দর্শনার্থীদের মানসম্মত সেবা প্রদানের চেষ্টা করে আসছি। এতো দর্শনাথী সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বিহারের প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করছে। আমি আশাবাদি আগামী শনিবার পর্যন্ত দর্শকদের উপস্থিতি থাকবে।

 

 

 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আতাউর রহমান বলেন, দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগের পাহাড়পুর কি ছিলো আর এখন কেমন পরিবর্তন করা হয়েছে। অতিদ্রুত পাহাড়পুরের জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা সমাধান করে এটাকে পর্যটকদের কাছে আরো আর্কষনীয় করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। দেশের সকল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আরো আধুনিকায়ন করতে সরকারের অচিরেই সেই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঈদের তিনদিনে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আয় ১২লাখ টাকা”নতুন করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

 

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু নওগাঁ বদলগাছী প্রতিনীধিঃ-

 

ঈদের তিনদিনে নওগাঁর বিশ্ব ঐতিহ্য দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (সোমপুর বিহার) থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১২লাখ টাকা। আর লক্ষাধিক পর্যটকরা ভ্রমণ করেছে এই পাহাড়পুর। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকট কেটে প্রায় দীর্ঘ দুই বছর পর আবারো নতুন করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গন।

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ দেশের বিশিষ্টজনরা এই ঈদে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চালু হওয়া ট্যুরিস্ট বাস ‘ভ্রমণ বিলাস’ নওগাঁর ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের মাঝে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিহার এই পাহাড়পুর। এর আদি নাম সোমপুর বিহার। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত এটি। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি মূলত পাল রাজ্যের রাজধানী ও সেই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। এখানে সে সময় ভিক্ষুরা পড়ালেখা করতো।

 

 

নওগাঁ শহর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের দূরত্ব মাত্র ২৯ কিলোমিটার। এখানে সারা বছর দেশ ও বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। তবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ঘরে বন্দি থাকায় এই ঈদে খোলা পেয়ে লক্ষাধিক দর্শনার্থী পাহাড়পুরে আসছেন। বিগত সময়ের তুলনায় এই ঈদে দর্শানার্থীদের আগমন রের্কড পরিমান। আগের চেয়ে অনেক আধুনিকায়ন হওয়ায় পাহাড়পুরের পরিবেশ নিয়েও সন্তোষ দর্শনার্থীরা। আগামী শনিবার সরকারি ছুটির দিন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের আগমন বেশি হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।

 

 

বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, সত্যিই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও তার পরিবেশ খুবই সুন্দর। তবে এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের খুবই সমস্যা। কিন্তু আজকের দিনে এমন ঐতিহাসিক স্থানে এমন সমস্যা সত্যি খুবই দুঃখজনক। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আমি এখানে এই প্রথম আসলাম। হাজার বছর আগের কীর্ত্তি দর্শন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আর এখানে এতো পর্যটকের সমাগম এর আগে আমি দেখিনি।

 

 

 

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম আরজু বলেন, পাহাড়পুরের ইতিহাসে এতো রেকর্ড পরিমাণ দর্শক কখনোই হয়নি। আমরা সীমিত লোকজন নিয়ে আগত দর্শনার্থীদের মানসম্মত সেবা প্রদানের চেষ্টা করে আসছি। এতো দর্শনাথী সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বিহারের প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করছে। আমি আশাবাদি আগামী শনিবার পর্যন্ত দর্শকদের উপস্থিতি থাকবে।

 

 

 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আতাউর রহমান বলেন, দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগের পাহাড়পুর কি ছিলো আর এখন কেমন পরিবর্তন করা হয়েছে। অতিদ্রুত পাহাড়পুরের জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা সমাধান করে এটাকে পর্যটকদের কাছে আরো আর্কষনীয় করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। দেশের সকল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আরো আধুনিকায়ন করতে সরকারের অচিরেই সেই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।