সুজন ফরাজী বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের লালদিঘির পাড় এলাকায় জসিম মাতাব্বরের বসত ঘরে রাতের আধাঁরে আগুন দেওয়ার অভিযােগ পাওয়া গেছে। জসিম মাতাব্বরের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার এ অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে আমার বাচ্চারা সহ খেয়ে ঘুমিয়ে পরি। রাত আনুমানিক ১ টার সময় হঠাৎ ফিস ফিস আওয়াজ শুনে আমার ঘুম ভেঙে যায়।
মনে হয় কে জেনো আমার বাসার আশেপাশে ঘুরতেছে এমনটাই অনুভব হলে শোয়া থেকে উঠে বসি। পাশের জানালার দিক তাকালেই আগুনের ধুয়ার মত দেখতে পাই সাথে সাথে আমি চিৎকার করে উঠি এবং আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাহির হওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু দরজা খুলতেছেনা, কারা জানি আমার মেইন দরজার ছিটকানি বাহির থেকে বন্ধ করে রেখেছে যাতে আমি বাসা থেকে যাতে করে বের না হতে পারি। আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের স্হানীয় লোকজন এসে বাহির থেকে দরজা খুলে আমাদেরকে উদ্ধার করে। স্হানীয়রা আগুন জ্বলতে দেখে আগুন নিভানোর জন্য চেষ্টা করে একপর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এবং আমাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে মেরে ফেলার জন্য আমার বাসায় আগুন দেয়। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার আনামিয়া ওরফে গেদু মিয়া, রহিম, মায়ানুর ও ময়না বেগমের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলমান আছে। তারা আমাকে বিভিন্ন সময় আমার ঘরে আগুন দেওয়াসহ মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে আসছে। তারা আমার বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
তাদের প্রতিবন্ধি মেয়ে তাদের বাসায় পিঠা বানাতে গিয়ে গরম তৈল ওই প্রতিবন্ধি মেয়ের গায়ে লাগে । পরে তারা প্রতিবন্ধি মেয়েকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে আমার স্বামী জসিম মাতাব্বরের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ এসিড নিক্ষেপের অপবাদ দেয়। পরে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দেয় তারা। আমার স্বামী ওই মামলায় জেল হাজতে রয়েছে। আমাকে একা পেয়ে আমার ঘরে উল্লেখিতরা আগুন দেয়। অন্যদিকে
অভিযুক্ত আনামিয়া গংদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযােগ করেছে তারা। আগুন লাগার ঘটনায় মৌসুমী আক্তার বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন ফকির (বিপিএম) জানান, অনুসন্ধান পূর্বক তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।