লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, বাস মিনিবাস ও ম্যাক্সি সহ সকল শ্রমিকগণ সম্মিলিত ভাবে স্মারকলিপি প্রদান করছেন যে, মাধবপুরের সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলোতে লিমিট ভাবে গ্যাস দেওয়া প্রত্যাহার করে আনলিমিটেড গ্যাস হউক, কারণ মাধবপুর উপজেলায় ৩টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে যা যথাক্রমে (১) সুশান সিএনজি ফিলিং স্টেশন (২) সেমকো এনার্জি লিমিটেড ও (৩) আল-আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন, উক্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলি প্রতি মাসের আনুমানিক ২৩ তারিখ হইতে ৩০/৩১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। যার কারণ হিসেবে গ্যাসের লিমিট কথাটি উঠে এসেছে গ্যাস সেবা দেওয়ার জন্য উক্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলিতে লিমিট থাকার ফলে পরিবহন সেবা চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে যার প্রভাব আমরা সাধারণ পরিবহন শ্রমিকদগনের উপর পরে।
তাই এমতাবস্থায় পরিবহন সেবা চালু রাখা এবং আমরা সাধারণ পরিবহন শ্রমিকদগনের ও কয়েকটি উপজেলার জনসাধারণের দূর্ভোগ ও যাতায়াতের কথা চিন্তা করে লিমিট গ্যাস দেওয়া প্রত্যাহার, আনলিমিটেড গ্যাস দেওয়ার জন্য আজ মঙ্গলবার (২৯.অক্টোবর) সকাল ১১-টায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাধবপুর উপজেলা সামনে সকল শ্রমিকগন মিলে, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে, বক্তব্য রাখেন, শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন, এ সময় উপস্থিত সকল শ্রমিক নেতারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলিতে গেলে, আল আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ম্যানাজার মোঃ কাজল, সেমকো সিএনজি ফিলিং স্টেশন ম্যানাজার মোঃ রোমান চৌধুরী, ও সুশান সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোঃ রাহুল চোধুরী বলেন, আমাদের, ২ লাখ ৩১ হাজার লোক আছে।
যদি সাড়ে তিন লাখ, রাখা যায় তাহলে আমরা সারা মাস গ্যাস দিতে পারব, এসময় বক্তব্য রাখেন, ম্যাক্সি মালিক সমিতির পরিচালক মোঃ লিটন পাঠান, মাধবপুর উপজেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জসিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আছান মিয়া, সমবায় লিঃ সমতি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান মিয়া সহ সভাপতি মোঃ আমিদ আলী, রুবেল, আউশ, সহ সভাপতি সেলিম মিয়া, মোম্বার আঃ খালেক মিয়াসহ আরও অনেক শ্রমিকগন।
সরেজমিনে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, প্রতি মাসের শেষ দিকে এসে মাধবপুর উপজেলার সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলিতে গ্যাসে সংকট হয়। গাড়ির চালকসহ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। তারা বলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে হয় রোজগারের সময় চলে যায়, আমাদের মালিকের জমা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের পরিবার চালাতে খুব কষ্ট হয়।