বাংলাদেশ ১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি কুষ্টিয়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় জরায়ু মুখে ক্যানসার (এইচপিভি) টিকা নিয়ে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রম্য বির্তক ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে বাস চাপায় নিহত ববি শিক্ষার্থী উত্তপ্ত ববি! ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসে অচল ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক ছাদ ভেঙে শ্রেণিকক্ষে খসে পড়ছে পলেস্তারা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মহিলালীগ নেত্রী ভূমিদস্যু আলেয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পংকজ কুমার হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত, আহত ১ রামুর কচ্ছপিয়ায় সরকারি রিজার্ভের জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগ গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম

ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক’শ বসতবাড়ী স্কুল মসজিদ ও ফসলী জমি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫৯২ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক'শ বসতবাড়ী স্কুল মসজিদ ও ফসলী জমি

 

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বহরমপুর গ্রাম। ইতিপূর্বে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক শত বসতবাড়ী ও শত শত বিঘা ফসলী জমি, বহরমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরমপুরের কয়েকটি জামে মসজিদ, লক্ষ টাকার গাছের বাগান, পুকুরের মাছসহ নানান স্থাপনা। এতে গত কয়েক বছরে নি:স্ব হয়েছেন কয়েক হাজার নদীর তীরের বাসিন্দা। বাপের ভিটামাটি ও বাপ দাদার কবরের চিহ্নটুকো হারিয়ে নি:স্ব হয়েগেছে।

 

নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বারবার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দারস্থ হলেও এখনো মেলেনি কোনো টেকসই সমাধান। গত ২০২৩ সালে ৫ অক্টোবার জয়নাল আবেদীন মৃধার বাড়ী ঘর ভেঙে নদীতে চলে যায়, তখন তার বাড়ীর সামনে জরুরি ভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা ভাঙন রোধে তেমন কোনো কাজে আসেনি।

নদীর তীরের বাসিন্দা বহরমপুর গ্রামের রহমান মৃধা বলেন, আমার বাপ দাদার কবরের শেষ চিহ্নটুকোও মুছে যাওয়ার পথে। সব সম্পদ হারিয়েও এখন এই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়েও হেরে যাচ্ছি আমরা। তিনি আরও বলেন, বহরমপুর মৌজায় বাপ দাদার নামে  ১০০বিঘার বেশি জমি ছিলো যার প্রায় পুরোটাই নদীর গর্ভে চলে গেছে। এখন আমাদের থাকার যায়গা নাই সব সুগন্ধা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে,  আমরা দ্রুত এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

 

ভাঙন ঝুকিতে দিন কাটানো নদী তীরের আরেক বাসিন্দা মতলেব লস্কর বলেন, আমার বাপ দাদার সব কিছু নদীর পেটে চলে গেছে। বৃদ্ধা মায়ের শেষ ইচ্ছার কারনে আমরা এখনো ঝুকি নিয়ে এখানে বসবাস করছি। যেকোনো সময় এই শেষ চিহ্নটিও ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার শংকায় আছি। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

 

বহরমপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুম লস্কর শাহাজাদা বলেন, এ পর্যন্ত অনেকবার পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে কিন্তু সরকারি কোন সংস্থা ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে, এখন বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আকুল আবেদন অতি দ্রুত বহরমপুর জয়নাল মৃধার বাড়ী, লস্কর বাড়ি, এবং বহরমপুর খান বাড়ী মসজিদ রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হবে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

 

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল বারি জানান, এই স্থানটিতে ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের মাধ্যমে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো।ওই স্থানে টেকসই প্রকল্পের কাজও প্রকৃয়াধীন রয়েছে যা শিঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক’শ বসতবাড়ী স্কুল মসজিদ ও ফসলী জমি

আপডেট সময় ০৫:০৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

 

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বহরমপুর গ্রাম। ইতিপূর্বে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক শত বসতবাড়ী ও শত শত বিঘা ফসলী জমি, বহরমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরমপুরের কয়েকটি জামে মসজিদ, লক্ষ টাকার গাছের বাগান, পুকুরের মাছসহ নানান স্থাপনা। এতে গত কয়েক বছরে নি:স্ব হয়েছেন কয়েক হাজার নদীর তীরের বাসিন্দা। বাপের ভিটামাটি ও বাপ দাদার কবরের চিহ্নটুকো হারিয়ে নি:স্ব হয়েগেছে।

 

নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বারবার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দারস্থ হলেও এখনো মেলেনি কোনো টেকসই সমাধান। গত ২০২৩ সালে ৫ অক্টোবার জয়নাল আবেদীন মৃধার বাড়ী ঘর ভেঙে নদীতে চলে যায়, তখন তার বাড়ীর সামনে জরুরি ভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা ভাঙন রোধে তেমন কোনো কাজে আসেনি।

নদীর তীরের বাসিন্দা বহরমপুর গ্রামের রহমান মৃধা বলেন, আমার বাপ দাদার কবরের শেষ চিহ্নটুকোও মুছে যাওয়ার পথে। সব সম্পদ হারিয়েও এখন এই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়েও হেরে যাচ্ছি আমরা। তিনি আরও বলেন, বহরমপুর মৌজায় বাপ দাদার নামে  ১০০বিঘার বেশি জমি ছিলো যার প্রায় পুরোটাই নদীর গর্ভে চলে গেছে। এখন আমাদের থাকার যায়গা নাই সব সুগন্ধা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে,  আমরা দ্রুত এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

 

ভাঙন ঝুকিতে দিন কাটানো নদী তীরের আরেক বাসিন্দা মতলেব লস্কর বলেন, আমার বাপ দাদার সব কিছু নদীর পেটে চলে গেছে। বৃদ্ধা মায়ের শেষ ইচ্ছার কারনে আমরা এখনো ঝুকি নিয়ে এখানে বসবাস করছি। যেকোনো সময় এই শেষ চিহ্নটিও ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার শংকায় আছি। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

 

বহরমপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুম লস্কর শাহাজাদা বলেন, এ পর্যন্ত অনেকবার পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে কিন্তু সরকারি কোন সংস্থা ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে, এখন বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আকুল আবেদন অতি দ্রুত বহরমপুর জয়নাল মৃধার বাড়ী, লস্কর বাড়ি, এবং বহরমপুর খান বাড়ী মসজিদ রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হবে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

 

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল বারি জানান, এই স্থানটিতে ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের মাধ্যমে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো।ওই স্থানে টেকসই প্রকল্পের কাজও প্রকৃয়াধীন রয়েছে যা শিঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করছি।