মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকারসহ ৪১ জনের নামে দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ আগষ্ট) দুপুরে ঝালকাঠির দ্রুত বিচার আদালতে মিনার মাহমুদ জুয়েল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। মামলার বাদী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের ছোট ভাই।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার অসৎ উদ্দেশে আমির হোসেন আমুর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী ২০২২ সালের ৭ আগস্ট ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলা করে। সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি ভাঙচুর ও তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার সময় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য আসামিরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীসহ স্থানীয় পথচারীরাও বোমার স্পিন্টারের আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় আমির হোসেন আমুসহ ৪১ জনের নামে মামলা করা হয়।
এ মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ছাত্রদলের সহ-সভাপতিকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ঝালকাঠি ও রাজাপুরের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ মোট ৪১ জনের নাম রয়েছে।
জামালের ছোট ভাই জুয়েল বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় এত দিন মামলা করতে পারিনি। আসামিরা আমার ভাইসহ বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলায় আমার ভাইসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি বিত্তয় কুমার সরকার বলেন, দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। নিজ দলেয় কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলার ঘটনায় আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এই ঘটনার বিচার চাই।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খান বলেন, মামলাটি পারিবারিকভাবে করা হয়েছে। এটি কোনো দলীয় মামলা নয়। তারপরেও একজন ছাত্রদলের নেতা হিসেবে পটপরিবর্তনের পরেও মামলার আসামি হওয়া দুঃখজনক ঘটনা। আমরা দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার কাগজ এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।