বাংলাদেশ ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের। নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ জামালপুরে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন দুইদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ঘোড়াঘাটে ক্যাপিটেশন ভুক্ত মাদ্রাসা গুলোতে চলছে লাখ লাখ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই

নলছিটিতে বিএনপি নেতা রিমনের চাদাঁবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ:বহিস্কার দাবী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬০০ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঁদাবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী দুঃশাষনে ক্ষতিগ্রস্থ বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মী ও জনসাধারণ রিমনের বহিস্কার দাবী করেছে। তাকে বহিস্কার করা না হলে কঠোর কর্মসুচী দিবে বলে জানান স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

গত ৫ আগষ্ট দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিপা, তার স্বামী সোহাগ মীর ও স্থানীয় সাইফুল আকন ও হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে রিমনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা হামলা চালায়। এর তিনদিন পরে প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঐ তিনজনকে রাস্তায় চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয় রিমন এমন একটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর নজরুলের কাঠের ব্যবসা রয়েছে। কাঠ ট্রাকে তুলতে বাঁধা প্রদান করেন রিমন। নির্দিষ্ট অংকের চাদাঁ পরিশোধ করার পরে নজরুল মেম্বারকে ট্রাকে কাঠ তোলার অনুমতি প্রদান করেন রিমন। কাঠের ঘর এলাকার রিনা বেগমের মেয়ের জামাইকে গরু চোর নাটক মন্তস্থ করেন রিমন নিজের গরু লুকিয়ে রেখে। পরে রিনা বেগমের মেয়ের জামাই থেকে এক লাখ টাকা আদায় করে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ৫ আগষ্টের পরে গরু চোরকে রক্ষা করার জন্য নলছিটি থানায় গরু চোরদের ব্যাপারে তদবির, জমি দখল, হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। রিমনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বিএনপির সুনাম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। রিমনের দখল বানিজ্য ও চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ ইউনিয়ন বিএনপির খোদ সভাপতি। তিনি রিমনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ শুনে রিমনের ব্যাপারে বিরক্ত ও অতিষ্ঠ। রিমন গত পনের বছর আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে আয় বানিজ্য করেছেন। ২০০১ সালে রিমন ও তার পিতার বিরুদ্ধে বিএনপির মিছিলে হামলা করার অভিযোগে দপদপিয়া সভাপতি নান্টু মল্লিক ঝালকাঠি আদালতে মামলা দায়ের করেছিল। যার মামলা নং ১।

রিমনের পরিবার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। রিমনের ভাই সুমন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। রিমনের চাচা মহিউদ্দিন আকন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, চাচাতো ভাই সাদ্দাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা, আরেক চাচাতো ভাই আলম আকন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, তানজিল যুবলীগের সদস্য। ফরিদ আকন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।

রিমনকে মটরসাইকেল চুরি ও হামলার অভিযোগে নলছিটির থানা পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছিল বলে নলছিটি থানার তৎকালীন এস আই মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দপদপিয়ায় রিমনের ত্রাস, চাদাঁবাজি ও দখল বানিজ্যের কারনে অতি সত্ত্বর বহিস্কারের দাবী জানিয়েছে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ।

অভিযোগ অস্বীকার করে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এখন বিএনপির লোক অনেক, ৫ তারিখের আগে কোন লোক ছিলো না। আমরা অল্প কয়জন বিএনপির লোক ছিলাম।

দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক অভিযোগের এ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রিমন ৫ আগষ্টের পর যা করেছে তা মোটেও কাম্য নয়। আমাকে বিভিন্ন সময় মানুষ ফোন দিয়ে জানায় তার এসব কর্মকান্ডের কথা । তার বিষয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা উপজেলা বিএনপি নিতে পারে আমি তাদের কাছে বিষয়টি সব জানিয়েছি।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নলছিটিতে বিএনপি নেতা রিমনের চাদাঁবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ:বহিস্কার দাবী

আপডেট সময় ১২:৪২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঁদাবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী দুঃশাষনে ক্ষতিগ্রস্থ বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মী ও জনসাধারণ রিমনের বহিস্কার দাবী করেছে। তাকে বহিস্কার করা না হলে কঠোর কর্মসুচী দিবে বলে জানান স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

গত ৫ আগষ্ট দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিপা, তার স্বামী সোহাগ মীর ও স্থানীয় সাইফুল আকন ও হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে রিমনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা হামলা চালায়। এর তিনদিন পরে প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঐ তিনজনকে রাস্তায় চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয় রিমন এমন একটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর নজরুলের কাঠের ব্যবসা রয়েছে। কাঠ ট্রাকে তুলতে বাঁধা প্রদান করেন রিমন। নির্দিষ্ট অংকের চাদাঁ পরিশোধ করার পরে নজরুল মেম্বারকে ট্রাকে কাঠ তোলার অনুমতি প্রদান করেন রিমন। কাঠের ঘর এলাকার রিনা বেগমের মেয়ের জামাইকে গরু চোর নাটক মন্তস্থ করেন রিমন নিজের গরু লুকিয়ে রেখে। পরে রিনা বেগমের মেয়ের জামাই থেকে এক লাখ টাকা আদায় করে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ৫ আগষ্টের পরে গরু চোরকে রক্ষা করার জন্য নলছিটি থানায় গরু চোরদের ব্যাপারে তদবির, জমি দখল, হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। রিমনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বিএনপির সুনাম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। রিমনের দখল বানিজ্য ও চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ ইউনিয়ন বিএনপির খোদ সভাপতি। তিনি রিমনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ শুনে রিমনের ব্যাপারে বিরক্ত ও অতিষ্ঠ। রিমন গত পনের বছর আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে আয় বানিজ্য করেছেন। ২০০১ সালে রিমন ও তার পিতার বিরুদ্ধে বিএনপির মিছিলে হামলা করার অভিযোগে দপদপিয়া সভাপতি নান্টু মল্লিক ঝালকাঠি আদালতে মামলা দায়ের করেছিল। যার মামলা নং ১।

রিমনের পরিবার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। রিমনের ভাই সুমন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। রিমনের চাচা মহিউদ্দিন আকন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, চাচাতো ভাই সাদ্দাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা, আরেক চাচাতো ভাই আলম আকন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, তানজিল যুবলীগের সদস্য। ফরিদ আকন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।

রিমনকে মটরসাইকেল চুরি ও হামলার অভিযোগে নলছিটির থানা পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছিল বলে নলছিটি থানার তৎকালীন এস আই মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দপদপিয়ায় রিমনের ত্রাস, চাদাঁবাজি ও দখল বানিজ্যের কারনে অতি সত্ত্বর বহিস্কারের দাবী জানিয়েছে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ।

অভিযোগ অস্বীকার করে দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এখন বিএনপির লোক অনেক, ৫ তারিখের আগে কোন লোক ছিলো না। আমরা অল্প কয়জন বিএনপির লোক ছিলাম।

দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক অভিযোগের এ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রিমন ৫ আগষ্টের পর যা করেছে তা মোটেও কাম্য নয়। আমাকে বিভিন্ন সময় মানুষ ফোন দিয়ে জানায় তার এসব কর্মকান্ডের কথা । তার বিষয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা উপজেলা বিএনপি নিতে পারে আমি তাদের কাছে বিষয়টি সব জানিয়েছি।