মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় ৯ সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত ৬ আগস্ট থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সেবা বিঘ্নিত হওয়া লাঘব করতে নিবন্ধকের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড তৈরি করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে এ ৯ কর্মকর্তাকে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জারি করা ০৫.১০.৪২৪০.০০২.০৪.০১৮.২৪ নম্বর স্মারকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ দেয়া হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী ককর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ‘ঝালকাঠি সদর উপজেলার আওতাধীন ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বিনয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান ব্যতীত অন্য সকল চেয়ারম্যানগণ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ স্মারক নং ৪৬.০০.০০০০.০৩৯.০১৮.০০৯.২০২৪-
জারিকৃত আদেশ অনুয়ায়ী, গাভারামচন্দ্রপুর ইউপিতে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রাসেল মনির, নবগ্রাম ইউপিতে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিথুন মিস্ত্রী, কেওড়া ইউপিতে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অমিত কর্মকার, কীর্তিপাশা ইউপিতে উপজেলা সমবার কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল কাইয়ুম, বাসন্ডা ইউপিতে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইয়্যেদা, পোনাবালিয়া ইউপিতে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহামুল আলম জোমাদ্দার, গাবখান-ধানসিড়ি ইউপিতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান পলাশ, শেখেরহাট ইউপিতে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার, নথুল্লাবাদ ইউপিতে উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জিয়া উদ্দিন দায়িত্ব পালন করবেন। শুধু বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনউদ্দিন পলাশের স্থানে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, ‘বিনয়কাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইনউদ্দিন পলাশ তার ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত উপস্থিত থাকায় তাকে বহাল রাখা হয়েছে।’
গত ৬ আগস্ট থেকে ইউপি চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় নাগরিক সেবায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল ইউনিয়নবাসীর। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে কাজে পিছিয়ে পড়ছিলেন সেবাগ্রহীতারা।