এস কে মিন্টু, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে এই দেশটাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে গেছে। আমাদের হাই কোর্ট, জজ কোর্ট, নিম্ন কোর্ট ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আমাদের শিক্ষাঙ্গন সব ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে হয়, শেখ হাসিনা তাই করেছে।
সোমবার ( ২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও বন্যায় মৃত্যুবরণকারীদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস, সব আওয়ামী লীগের দালাল ওখানে, সব ঘুষখোর সেখানে। ৩শ আসনের ম্যাপ পর্যন্ত বদলিয়ে ফেলেছে। একটি সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে, সবার আগে প্রয়োজনে হবে নির্বাচন কমিশন ঠিক করা। এজন্য আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। বর্তমান সরকার সবকিছু ঠিক করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিবে। আর সেই নির্বাচনে মুক্তভাবে জনগণ যাদেরকে ভোট দিবে, তারা সরকার গঠন করবে।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, যে সন্তানরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে মাঠে নেমেছিল, তারা শুধু ছাত্রছাত্রী না, তারা আল্লাহর রহমত হয়ে এসেছিলো। আর এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও আল্লাহর রহমত হয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে স্বৈরাচারের দোসরা যাতে নস্যাৎ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি জুলুম অত্যাচার শেষ হয়েছে, কিন্তু শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা এখনো প্রতিটি গাছের আড়ালে ও প্রতিটি দেয়ালের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, তারা সুযোগ পেলেই কিন্তু ছোবল মারবে। তাই সকলকে সব সময় সতর্কভাবে থাকতে হবে, যাতে তারা ছোবল মারার সুযোগ না পায়। আর বিএনপির মধ্যে লুকিয়ে থাকা মুনাফিক ও আওয়ামী লীগের দালালদের চিহ্নিত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার সিকদারের সভাপতিত্বে ও আমিনুল ইসলাম খোকনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক বেগম সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্না, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন ফরাজি, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ আলম গোলদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মৃধা প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও বন্যায় মৃত্যুবরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।