বাংলাদেশ ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য : এমরান চৌধুরী ভালুকায় শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সরকারি জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতার বিলাসবহুল বাসভবন নয়ন শেখ হত্যাকান্ডে পলাতক আসামী জাকির ও ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে অবৈধ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে বৃটেনের কাডিফে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত কচুয়ায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণের ঘটনায় আটক ১ গৌরনদীতে জমি জমার পূর্ব শত্রুতা নিয়ে হত্যার চেষ্টা মামলা করে বিপাকে বাদী সুনামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে ৯ জনের কাছ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। তানোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে খাস জায়গার গাছ বিক্রির অভিযোগ  বাগেরহাটে তালাক দেওয়া স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাবেক স্বামীকে হয়রানির অভিযোগ ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বিমানবাহিনীর সাবেক উইং কমান্ডারের স্ত্রী ফারহা দীবা হত্যাকান্ডের মূলহোতা মিলন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-১১। ০১ টি রিভলবার ও ০৭ রাউন্ড গুলি সহ একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ইবিতে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের নাগরিকত্ব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া ও সজীব সরদারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

যমুনার চরে কালোজিরা এখন কালো সোনা, কৃষকের মুখে হাসি!

যমুনার চরে কালোজিরা এখন কালো সোনা, কৃষকের মুখে হাসি!

মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
শুকনো মৌসুমে যমুনায় জেগে ওঠা ছোট-বড় বালুচর বা দ্বীপ। আর এ ধূ-ধূ বালুচরে বিভিন্ন জাতের অর্থকরি রবি ফসলে ভরপুরে যেন সবুজের বিশাল সমারোহ। বালুচরে সবুজ প্রকৃতি ফসলের মাঝে মূল্যবান ওষুধি ফসল নামে যে ফসল পরিচিত সেটি হলো কালোজিরা।

ওষুধিগুণে ভরা অর্থকরি ফসলটি যমুনা চরাঞ্চলে বিগত বছরে তেমন চাষ না হলেও এ বছর ব্যাপকহারে চাষসহ আগ্রহ দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকদের। মানুষের কাছে ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষিরা একে তুলনা করছেন সোনার সঙ্গে। বেশ পরিচিতও লাভ করছে কালো সোনা নামে এই কালোজিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর তেমন আগ্রহ না থাকলেও এ বছর কালোজিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। তাই এ বছর ১৮ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়েছে।

যমুনা চরাঞ্চলে বর্তমানে চাষ হচ্ছে বারি কালোজিরা-১, জাতটির জীবনকাল ১৩৫-১৪৫ দিন। এর উচ্চতা ৫৫-৬০ সেন্টিমিটার। প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭টি প্রাথমিক শাখা এবং ২০-২৫টি ফল থাকে। প্রতিটি ফলের ভেতরে প্রায় ৭৫-৮০টি বীজ থাকে যার ওজন প্রায় ০.২০-০.২৭ গ্রাম।

এ জাতের প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭ গ্রাম বীজ হয়ে থাকে এবং ১০০০ বীজের ওজন প্রায় ৩.০০-৩.২৫ গ্রাম। হেক্টরপ্রতি এর গড় ফলন ০.৮০-১.০ টন। স্থানীয় জাতের তুলনায় এর রোগবালাই খুবই কম।

সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। বিঘায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ মণ উৎপাদন হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি মণ কালোজিরার দাম ১৬ হাজার টাকা।

অর্জুনা ইউনিয়নের ভরুয়া গ্রামের কালোজিরা চাষি লাল মিয়া বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করছি। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৪ মণ কালোজিরা উৎপাদন হবে।

গাবসারার রুলীপাড়া গ্রামের রহিম বলেন, আমার জমিতে অন্যান্য ফসলের মধ্যে বন্ধু ফসল হিসেবে কালোজিরা ফসল বুনেছি। গাছগুলো বেশ বড় হয়ে ফুল ধরেছে। আশা করছি কালোজিরা চাষে লাভবান হতে পারবো।

কালিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, চরাঞ্চলের আবহাওয়া কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ বছর জমিতে কালোজিরার যে ফলন দেখছি তাতে বাম্পার ফলন হবে। আগামীতে আরো বেশি করে কালোজিরা চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবির বলেন, কৃষকদের মাঝে কম খরচে বেশি লাভের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে বলেই এ বছর যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক হারে কালোজিরা চাষ করেছে। আশা করছি এ বছর প্রতি একরে ১৩ থেকে ১৪ মণ কালোজিরা উৎপাদন হবে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও খুশি। আগামী বছর হয়তো কালোজিরা চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছে “কালো সোনা” নামে পরিচিতি লাভ করবে।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য : এমরান চৌধুরী

যমুনার চরে কালোজিরা এখন কালো সোনা, কৃষকের মুখে হাসি!

আপডেট সময় ০৩:৩৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
শুকনো মৌসুমে যমুনায় জেগে ওঠা ছোট-বড় বালুচর বা দ্বীপ। আর এ ধূ-ধূ বালুচরে বিভিন্ন জাতের অর্থকরি রবি ফসলে ভরপুরে যেন সবুজের বিশাল সমারোহ। বালুচরে সবুজ প্রকৃতি ফসলের মাঝে মূল্যবান ওষুধি ফসল নামে যে ফসল পরিচিত সেটি হলো কালোজিরা।

ওষুধিগুণে ভরা অর্থকরি ফসলটি যমুনা চরাঞ্চলে বিগত বছরে তেমন চাষ না হলেও এ বছর ব্যাপকহারে চাষসহ আগ্রহ দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকদের। মানুষের কাছে ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষিরা একে তুলনা করছেন সোনার সঙ্গে। বেশ পরিচিতও লাভ করছে কালো সোনা নামে এই কালোজিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর তেমন আগ্রহ না থাকলেও এ বছর কালোজিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। তাই এ বছর ১৮ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়েছে।

যমুনা চরাঞ্চলে বর্তমানে চাষ হচ্ছে বারি কালোজিরা-১, জাতটির জীবনকাল ১৩৫-১৪৫ দিন। এর উচ্চতা ৫৫-৬০ সেন্টিমিটার। প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭টি প্রাথমিক শাখা এবং ২০-২৫টি ফল থাকে। প্রতিটি ফলের ভেতরে প্রায় ৭৫-৮০টি বীজ থাকে যার ওজন প্রায় ০.২০-০.২৭ গ্রাম।

এ জাতের প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭ গ্রাম বীজ হয়ে থাকে এবং ১০০০ বীজের ওজন প্রায় ৩.০০-৩.২৫ গ্রাম। হেক্টরপ্রতি এর গড় ফলন ০.৮০-১.০ টন। স্থানীয় জাতের তুলনায় এর রোগবালাই খুবই কম।

সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। বিঘায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ মণ উৎপাদন হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি মণ কালোজিরার দাম ১৬ হাজার টাকা।

অর্জুনা ইউনিয়নের ভরুয়া গ্রামের কালোজিরা চাষি লাল মিয়া বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করছি। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৪ মণ কালোজিরা উৎপাদন হবে।

গাবসারার রুলীপাড়া গ্রামের রহিম বলেন, আমার জমিতে অন্যান্য ফসলের মধ্যে বন্ধু ফসল হিসেবে কালোজিরা ফসল বুনেছি। গাছগুলো বেশ বড় হয়ে ফুল ধরেছে। আশা করছি কালোজিরা চাষে লাভবান হতে পারবো।

কালিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, চরাঞ্চলের আবহাওয়া কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ বছর জমিতে কালোজিরার যে ফলন দেখছি তাতে বাম্পার ফলন হবে। আগামীতে আরো বেশি করে কালোজিরা চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবির বলেন, কৃষকদের মাঝে কম খরচে বেশি লাভের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে বলেই এ বছর যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক হারে কালোজিরা চাষ করেছে। আশা করছি এ বছর প্রতি একরে ১৩ থেকে ১৪ মণ কালোজিরা উৎপাদন হবে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও খুশি। আগামী বছর হয়তো কালোজিরা চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছে “কালো সোনা” নামে পরিচিতি লাভ করবে।