বাংলাদেশ ০৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান মির্জাগঞ্জে বিনাদোষে দুই নারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যে নারী। নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০৬ বার পড়া হয়েছে

আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি

 

 

নুরুন নাহার বেবী। সিলেট
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া বেগম (১৫) ও সাবিনা আক্তার (৯) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)। একমাত্র সোনিয়ার বেঁচে ছিল।

বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। গতকাল সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল।

ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশু সোনিয়া সুলতানাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।

সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ জানান, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।

তাদের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ২ টা থেকে এই এলাকায় অনেক ঝড়, তুফান হয়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলা চালক ফয়জুর রহমানের বসতঘরের ছাউনির টিনের উপর ৩৩০০ কেভির হাই ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়ে ছিল। সেহরির পর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই পুড়ে মারা যায়।

সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র দেব জানান, তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার কারণে রাতেই তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকায় পৌঁছার কিছুক্ষণ পর সোনিয়ার মৃত্যু ঘটে। সকল চেষ্টা কে হার মানিয়ে সোনিয়া চলে গেল পরপারে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি

আপডেট সময় ১০:২১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

 

 

নুরুন নাহার বেবী। সিলেট
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া বেগম (১৫) ও সাবিনা আক্তার (৯) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)। একমাত্র সোনিয়ার বেঁচে ছিল।

বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। গতকাল সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল।

ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশু সোনিয়া সুলতানাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।

সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ জানান, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।

তাদের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ২ টা থেকে এই এলাকায় অনেক ঝড়, তুফান হয়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলা চালক ফয়জুর রহমানের বসতঘরের ছাউনির টিনের উপর ৩৩০০ কেভির হাই ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়ে ছিল। সেহরির পর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই পুড়ে মারা যায়।

সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র দেব জানান, তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার কারণে রাতেই তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকায় পৌঁছার কিছুক্ষণ পর সোনিয়ার মৃত্যু ঘটে। সকল চেষ্টা কে হার মানিয়ে সোনিয়া চলে গেল পরপারে।