কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে এলসিএস কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, এলজিইডির গ্রামীন রাস্তা সমূহের রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমে দুঃস্ত, দরিদ্র, স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের কাজের নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১৫ জন মহিলা নিয়োগ করাহয়।
অভিযোগকারীরা জনান, চলতি অর্থ বছরের জুন মাসে গোপন আতআতের মাধ্যমে বিধি বর্হিভূত ভাবে নিয়োগ প্রদান করেন উপজেলা সার্বেয়ারের সহোযোগিতায় উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ সাকায়েত হোসেন। ইউনিয়ন গুলো হলো সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন, আমরাজুড়ী ইউনিয়ন ও কাউখালী সদর ইউনিয়ন। মহিলারা যখন কাজে যোগদান করেন তখন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ জানতে পারে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ, উপজেলা চেরম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে উপজেলা প্রকৌশলী যাচাই বাছাই করে অসহায় ও দু:স্ত, স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের দৈনিক বেতনে নিয়োগ করবেন। এব্যাপরে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,
আমরাজুড়ী ইনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি ও সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ইউনিয়েনে কর্মী নিয়োগ হয়েছে আমাদেরকেই জানানো হয় না। উপজেলা প্রকৌশলী একাই কর্মী নিয়োগ করেন। বিষয়টি ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুসাঈদ মিয়া জানান, কর্মী নিয়োগে তথ্য গোপন করা হয়েছে ।যার কারনে সন্দেহ হচ্ছে মোটা অংকের লেনদেন হতে পারে।
তিনি আরও জানান, এব্যাপারে অফিস চলাকালীন সময় উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করবেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জানান, পূর্বে এলসিএস এর কর্মী নিয়োগ করা হয়ছে। তখনকারের অপেক্ষামান কর্মীদের তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে কাউকে জানাবার কথা নয়। উৎকোচের বিনিময় নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।