প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
র্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানী মতিঝিলের আরামবাগ এবং র্যাব-৬ এর অভিযানে খুলনা খালিশপুর মুজগুন্নি এলাকা হতে বিপুল পরিমান বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ ভিওআইপি ব্যবসায়ী মোঃ মেহেদী হাসান (৩১)’কে আটক।
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহিৃতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।
সম্প্রতি বিভিন্ন চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, কতিপয় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানাধীন ৮৬ আরামবাগ খন্দকার ভিলা এর ৮ম তলায় বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৪/১২/২০২৩ তারিখ সকাল ১০৩০ ঘটিকার সময় মতিঝিল থানাধীন ৮৬ আরামবাগ খন্দকার ভিলা এর ৮ম তলায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান ভিওআইপি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উক্ত চক্রের সাথে জরিতদের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান নির্ণয় করে র্যাব-৬ কে অবহিত করা হয়।
র্যাব-৬ উক্ত তথ্যর ভিত্তিতে খুলনা জেলার মুজগুন্নি আবাসিক ভবন হতে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আসামি ১। মোঃ মেহেদী হাসান (৩১), পিতাঃ মৃত হাফিজ গাজী, সাং-ধাইগ্রাম, থানা- আড়ংঘাটা, জেলা- খুলনা‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, তার দেওয়া তথ্য মতে ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানাধীন ৮৬ আরামবাগ খন্দকার ভিলা এর ৮ম তলা এবং খুলনা মুজগুন্নি আবাসিক ভবন হতে ২৫৬ পোর্ট এর ০৭টি সীমবক্স, ১২৮ পোর্ট এর সীমবক্স ১২টি, ১৯টি ভিওআইপি সেট, ৫৪২৯টি সীমকার্ড, ০২টি ল্যাপটপ, ০১টি সিপিইউ, ০১টি মনিটর, ৬১টি রাউটার, ৭৯টি পাওয়ার ক্যাবল, ৮৯টি চার্জার, ১০টি মডেম, ০৫টি মোবাইল, ১৮টি মাল্টিপ্লাগ, ০১টি মাউস, ০১টি কীবোর্ড, ১৮ টি ভিওআইপি সিমবক্স, ১৯ টি রাউটার, ০৩ টি রাউটার সুইজ, ২০ টি বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল, ০৬ টি এ্যাডেপটার, ১৫ টি ইউটিপি লেন ক্যাবল এবং ০২ টি পেনড্রাইভ উদ্ধারসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামি উদ্ধারকৃত ও জব্দকৃত সরঞ্জামাদির বৈধ কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামী গত তিন বছর যাবৎ অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জামাদি দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ ব্যবসার মাধ্যমে সরকারকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সর্বপরি অবৈধ উপার্জিত অর্থ বেআইনিভাবে সংরক্ষণ করার কারণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ (সংশোধনী ২০১০) এর ৩৫(২)/৫৫(৭)/৭৩ ধারায় অপরাধ করে আসছে। ধৃত আসামির সাথে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার সাথে জরিত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যহত রয়েছে।
ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে জব্দকৃত ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে থানায় জমা প্রদান করা হয়েছে।
মোঃ শামীম হোসেন
সহকারী পুলিশ সুপার
স্টাফ অফিসার্স (মিডিয়া)
পক্ষে পরিচালক