বাংলাদেশ ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কুষ্টিয়ায় যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রার সঙ্গে ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত-০২ গফরগাঁওয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। ফুলবাড়ীতে দুই ট্রাকের মুখোমূখী সংর্ঘষে নিহত ১ ও আহত  ৪ জন। ঠাকুরগাঁও রায়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ব্রাহ্মণপাড়ায় দেড় লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আসা দুই বিদেশি মহিষ আটক সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ২১৪ গ্রাম হেরোইনসহ ২ জন গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের দাবিতে স্বারকলিপি প্রদান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে বৈষম্য ও অধিকার বিষয়ক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীর ওপর আ.লীগ নেতা মাসুদ মেম্বারের বিরুদ্ধে হামলা ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ ! গৌরনদীর সরিকলে ব্যসায়িদের সাথে নুতন কমিটি নিয়ে মতবিনিময় করছেন সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন খোকসায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম  হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার কাশিমপুর হতে পলাতক  আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বোয়ালখালীতে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কিশোর শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ব্রাহ্মণপাড়া এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ঝালকাঠিতে ১০ বছর পার হলেও সংস্কার হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতু চরম দুর্ভোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৬১০ বার পড়া হয়েছে

 

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম ও মোল্লারহাট  ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের একমাত্র সংযোগ সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার  মানুষদের। সেতুটি ভাঙার প্রায় ১০ বছর পার হলেও এখনো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি, নারী-পুরুষ, বয়স্ক মানুষ, রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম  ভোগান্তিতে পড়লেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আর জনপ্রতিনিধি কেউ উদ্যোগ নেয়নি সেতু মেরামতের বা নির্মাণের। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার বাসিন্দা সেতুটি পারাপার করে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে দুই ইউনিয়নের সংযোগ এই সেতুটি ভেঙে আছে। লোকজন থেকে কিছু টাকা তুলে কাঠ দিয়ে সেতুটি প্রতিবছর সংস্কার করা হয়। কিন্তু অনেক গাড়ি ও লোকজন চলাচল করায় কাঠ দিয়ে সংস্কার করলে বেশিদিন টিকে না। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বছরের পর বছর পার হলেও এই সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙা ওই সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি সহ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এছাড়াও ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় অনেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন, ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।

রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, সেতুটির জন্য  দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে কেউ নতুন করে সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না।

অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হাওলাদার এবং রাজ্জাক ফকির বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিছুদিন আগে এই সেতুদিয়ে একটি টমটম পার হতে গিয়ে উল্টে যায়। আমরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তারপর গাড়ি পার করি। এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে.এম মাহাবুবুর রহমান সেন্টু বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এই ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কিছু কাছ অসাপ্ত রয়েছে। এই সেতুটির কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সঙ্গে সেতুর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রকল্পের আওতায় ওই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রার সঙ্গে ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত-০২

ঝালকাঠিতে ১০ বছর পার হলেও সংস্কার হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতু চরম দুর্ভোগ

আপডেট সময় ০৮:৫৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম ও মোল্লারহাট  ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের একমাত্র সংযোগ সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার  মানুষদের। সেতুটি ভাঙার প্রায় ১০ বছর পার হলেও এখনো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি, নারী-পুরুষ, বয়স্ক মানুষ, রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম  ভোগান্তিতে পড়লেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আর জনপ্রতিনিধি কেউ উদ্যোগ নেয়নি সেতু মেরামতের বা নির্মাণের। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার বাসিন্দা সেতুটি পারাপার করে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে দুই ইউনিয়নের সংযোগ এই সেতুটি ভেঙে আছে। লোকজন থেকে কিছু টাকা তুলে কাঠ দিয়ে সেতুটি প্রতিবছর সংস্কার করা হয়। কিন্তু অনেক গাড়ি ও লোকজন চলাচল করায় কাঠ দিয়ে সংস্কার করলে বেশিদিন টিকে না। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বছরের পর বছর পার হলেও এই সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙা ওই সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি সহ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এছাড়াও ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় অনেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন, ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।

রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, সেতুটির জন্য  দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে কেউ নতুন করে সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না।

অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হাওলাদার এবং রাজ্জাক ফকির বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিছুদিন আগে এই সেতুদিয়ে একটি টমটম পার হতে গিয়ে উল্টে যায়। আমরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তারপর গাড়ি পার করি। এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে.এম মাহাবুবুর রহমান সেন্টু বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এই ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কিছু কাছ অসাপ্ত রয়েছে। এই সেতুটির কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সঙ্গে সেতুর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রকল্পের আওতায় ওই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।