বাংলাদেশ ১১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ  হাইকোর্টের নির্দেশে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ। দুই স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাবির জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে ঢাবির দুই দল ঝালকাঠীর দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতি-সড়ক অবকাঠামো দায়ী। সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  নাগরপুরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।  স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০০০ রিকশাচালকের মাঝে শোভনের ক্যাপ বিতরণ রাঙ্গাবালী খালে পাওয়া টর্পেডো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে নৌবাহিনী। পঞ্চগড়ে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যেগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ উপাচার্য-ট্রেজারের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ক্লিন,গ্রীন ও স্মার্ট সি‌লেট গড়ার ল‌ক্ষ্যে সিসিক মেয়র এর সা‌থে আন্তর্জা‌তিক ব্যবসায়ীদের বৈঠক ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

রাজাপুরে সবুজ পাতার ফাকেঁ হলুদ সূর্যমূখীর সাথে কৃষকের মুখে হাসি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • ১৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

রাজাপুরে সবুজ পাতার ফাকেঁ হলুদ সূর্যমূখীর সাথে কৃষকের মুখে হাসি

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। যতদূর চোখ যায়, সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দিক পরিবর্তন হয়। সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে থাকলেও বিকেলে দিক পরিবর্তন করে ধাবিত হয় পশ্চিমে।

রাজাপুরের ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের ধানি জমিতে এ ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী ফুলের বাগানে এমন দৃশ্য দেখা মিলল। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন এলাকার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সি দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপবান উদ্ভিদ সূর্যমুখী। সূর্যমূখী ফুল থেকে উতপাদিত বীজ থেকে ভোজ্য তেল উতপাদন করা হয়।  কেউ কিনেন, কেউ চাষ করেন, আবার কেউ ফুলের সৌন্দর্য দেখেন। এ জন্য সবাই ফুলের কাছে ছুটে যান। আর এ ফুল যদি হয় শস্য ক্ষেতের সুন্দর হলুদ সূর্যমুখী, তাহলে তো কথাই নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল, সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে তার দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্রণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই এলাকার দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্য দেখতে। মনোরম সুন্দর পরিবেশ, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা  হওয়ায় এমন দৃশ্য দেখাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না অনেকেই। সেইসঙ্গে সেলফি ও গ্রুপ ছবি তো আছেই। সবুজ মাঠের এই হলুদ রঙ ছবিতে এনে দিচ্ছে নতুন মাত্রা। একগুচ্ছ সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে দর্শনার্থীরা যেন হাসছেন। দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে স্মার্টফোনে বন্দী করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো। সূর্যমুখী ওই ফুলের বাগানের আশেপাশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পুরো দিনই বাড়ছে মানুষের সমাগম। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখী ক্ষেত। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এই ফুলকে সূর্যমুখী বলা হয়। সূর্যমুখীর হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন রাজাপুরের কৃষকরা।

উপজেলায় সূর্যমুখীর হাসিতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা। ভোজ্যতেলের সংকটকালে এই তেলজাতীয় উদ্ভিদ সূর্যমুখী চাষ কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাজাপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এ্যাঞ্জেলা আক্তার বলেন, আগে বইয়ের পাতায় শুধু দেখেছি, এখন বাস্তবে সূর্যমুখী বাগানে এসে নিজ চোখে দেখছি। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। সূর্যমুখী বাগানে ঘুরতে আসা আরেক দর্শনার্থী তাহিয়া আক্তার বলেন, চমৎকার লাগছে। আসলেই সূর্যমুখী বাগান আমাকে মুগ্ধ করেছে।

কৃষক সেকেন্দার খান ও আঃ হামিদ হাওলাদার বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। দেশে ভোজ্য তৈল সংকট হওয়ায় সূর্যমূখী তৈলের খুব চাহিদা রয়েছে। আগামী দিনে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তারা জানান।

কৃষক সেকেন্দার খান বলেন, এবছর তিনি আড়াই কুরা (১ কুরা = ৩০ শতাংশ) জমিতে সূর্যমূখির চাষ করেছেন। চাষ করতে সার, ঔষধ ও শ্রমসহ প্রতি কুরা জমিতে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি কুরা জমির ফুলে প্রায় ৭ থেকে ৮ মণ বীজ উৎপাদন হবে। প্রতি মণ বীজ ৪ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। অথবা নিজেরা এলাকার মেশিনে ভাঙ্গিয়ে তৈল বের করে তৈলও বিক্রি করা যাবে। এক কেজি সূর্যমূখী বীজে ৪শ‘ গ্রাম তৈল ও ৬শ‘ গ্রাম খৈল উতপাদন হয়। ১ কেজি সূর্যমূখী তৈলের মূল্য ৩৫০টাকা এবং ১ কেজি খৈলের মূল্য ৬০ টাকা। এ খৈল গরুর সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কৃষক মোঃ রাসেল বলেন, অনেকটাই শখের বশে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। বাম্পার ফলনের আশা করছি। আগামী দিনে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করবো। তিনি আরো জানান, সূর্যমূখী ফুল থেকে ফল বের করার পরে তৈল বের করার জন্য এ উপজেলায়ও ভাঙ্গানোর মেশিন আছে অথবা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ি উপজেলা থেকে পাইকার এসে কিনে নিয়ে যান। এই এলাকায় আমন ধান কাটার পরে পৌষমাসে ওই জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ করা হয় এবং বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় পরিপক্ক হয়।

রাজাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী দিনে উপজেলায় এই ফুলের চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বেশীকরে বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এ ফুলের চাষ করার জন্য প্রতি বছরই নতুন কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে।

এ বছর উপজেলায় মোট প্রায় ৬৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হয়েছে। বীজ বপনের পর ফসল সংগ্রহ করতে প্রায় তিনমাস সময় লাগে। প্রতিটি গাছে একটি করে ফুল আসে। সরিষা চাষ থেকেও খরচ কম ও ফলন বেশি এবং লাভজনক।

এবছর সূর্যমূখী ফুলের ভালো ফলন হওয়ায় এ উপজেলায় ১২৪ মেট্টিক টণ বীজ উতপাদন হবে বলে লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে।  চাষিরা সূর্যমুখী চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন। সূর্যমুখী চাষ যাতে বৃদ্ধি পায় এ জন্য কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ফুলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ 

রাজাপুরে সবুজ পাতার ফাকেঁ হলুদ সূর্যমূখীর সাথে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০১:১৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। যতদূর চোখ যায়, সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দিক পরিবর্তন হয়। সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে থাকলেও বিকেলে দিক পরিবর্তন করে ধাবিত হয় পশ্চিমে।

রাজাপুরের ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের ধানি জমিতে এ ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী ফুলের বাগানে এমন দৃশ্য দেখা মিলল। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন এলাকার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সি দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপবান উদ্ভিদ সূর্যমুখী। সূর্যমূখী ফুল থেকে উতপাদিত বীজ থেকে ভোজ্য তেল উতপাদন করা হয়।  কেউ কিনেন, কেউ চাষ করেন, আবার কেউ ফুলের সৌন্দর্য দেখেন। এ জন্য সবাই ফুলের কাছে ছুটে যান। আর এ ফুল যদি হয় শস্য ক্ষেতের সুন্দর হলুদ সূর্যমুখী, তাহলে তো কথাই নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল, সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে তার দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্রণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই এলাকার দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্য দেখতে। মনোরম সুন্দর পরিবেশ, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা  হওয়ায় এমন দৃশ্য দেখাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না অনেকেই। সেইসঙ্গে সেলফি ও গ্রুপ ছবি তো আছেই। সবুজ মাঠের এই হলুদ রঙ ছবিতে এনে দিচ্ছে নতুন মাত্রা। একগুচ্ছ সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে দর্শনার্থীরা যেন হাসছেন। দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে স্মার্টফোনে বন্দী করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো। সূর্যমুখী ওই ফুলের বাগানের আশেপাশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পুরো দিনই বাড়ছে মানুষের সমাগম। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখী ক্ষেত। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এই ফুলকে সূর্যমুখী বলা হয়। সূর্যমুখীর হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন রাজাপুরের কৃষকরা।

উপজেলায় সূর্যমুখীর হাসিতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা। ভোজ্যতেলের সংকটকালে এই তেলজাতীয় উদ্ভিদ সূর্যমুখী চাষ কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাজাপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এ্যাঞ্জেলা আক্তার বলেন, আগে বইয়ের পাতায় শুধু দেখেছি, এখন বাস্তবে সূর্যমুখী বাগানে এসে নিজ চোখে দেখছি। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। সূর্যমুখী বাগানে ঘুরতে আসা আরেক দর্শনার্থী তাহিয়া আক্তার বলেন, চমৎকার লাগছে। আসলেই সূর্যমুখী বাগান আমাকে মুগ্ধ করেছে।

কৃষক সেকেন্দার খান ও আঃ হামিদ হাওলাদার বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। দেশে ভোজ্য তৈল সংকট হওয়ায় সূর্যমূখী তৈলের খুব চাহিদা রয়েছে। আগামী দিনে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তারা জানান।

কৃষক সেকেন্দার খান বলেন, এবছর তিনি আড়াই কুরা (১ কুরা = ৩০ শতাংশ) জমিতে সূর্যমূখির চাষ করেছেন। চাষ করতে সার, ঔষধ ও শ্রমসহ প্রতি কুরা জমিতে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি কুরা জমির ফুলে প্রায় ৭ থেকে ৮ মণ বীজ উৎপাদন হবে। প্রতি মণ বীজ ৪ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। অথবা নিজেরা এলাকার মেশিনে ভাঙ্গিয়ে তৈল বের করে তৈলও বিক্রি করা যাবে। এক কেজি সূর্যমূখী বীজে ৪শ‘ গ্রাম তৈল ও ৬শ‘ গ্রাম খৈল উতপাদন হয়। ১ কেজি সূর্যমূখী তৈলের মূল্য ৩৫০টাকা এবং ১ কেজি খৈলের মূল্য ৬০ টাকা। এ খৈল গরুর সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কৃষক মোঃ রাসেল বলেন, অনেকটাই শখের বশে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। বাম্পার ফলনের আশা করছি। আগামী দিনে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করবো। তিনি আরো জানান, সূর্যমূখী ফুল থেকে ফল বের করার পরে তৈল বের করার জন্য এ উপজেলায়ও ভাঙ্গানোর মেশিন আছে অথবা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ি উপজেলা থেকে পাইকার এসে কিনে নিয়ে যান। এই এলাকায় আমন ধান কাটার পরে পৌষমাসে ওই জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ করা হয় এবং বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় পরিপক্ক হয়।

রাজাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী দিনে উপজেলায় এই ফুলের চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বেশীকরে বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এ ফুলের চাষ করার জন্য প্রতি বছরই নতুন কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে।

এ বছর উপজেলায় মোট প্রায় ৬৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হয়েছে। বীজ বপনের পর ফসল সংগ্রহ করতে প্রায় তিনমাস সময় লাগে। প্রতিটি গাছে একটি করে ফুল আসে। সরিষা চাষ থেকেও খরচ কম ও ফলন বেশি এবং লাভজনক।

এবছর সূর্যমূখী ফুলের ভালো ফলন হওয়ায় এ উপজেলায় ১২৪ মেট্টিক টণ বীজ উতপাদন হবে বলে লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে।  চাষিরা সূর্যমুখী চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন। সূর্যমুখী চাষ যাতে বৃদ্ধি পায় এ জন্য কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ফুলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।