বাংলাদেশ ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মার মরণদশা,৪৯ বছরে পদ্মা হারিয়েছে তার স্বাভাবিক নাব্য ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন মধুখালির ঘটনায় খুনিদের গ্রেফতার করতে না পারা প্রশাসনের ব্যর্থতা।  বিতর্কে জয়ী রাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল  ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ আলী নামে এক তরুণ সবজি বিক্রেতা খুন হয়েছেন। বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার জবিতে ভর্তি পরিক্ষার্থীদের সহায়তায় রংপুর ছাত্র কল্যাণ পরিষদ  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৩ নাগরপুরে উপজেলা আ.লীগের আমৃত্যু সভাপতি গোলাম মো: খান তারেকের শাহদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল  জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে জয়ী রাবির বঙ্গবন্ধু হল নরসিংদীতে ছয়দিনের নবজাতকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মা’র মৃত্যু ছেলের পর মারা গেলেন বাবা কুবিতে গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮৬ শতাংশ

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

 

 

 

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড নির্মূলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ সকাল ০৬.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি টহল ও বিশেষ আভিযানিক দল নড়াইল জেলায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নড়াইল সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর একটি গোপন বৈঠক চলছে।

 

https://youtu.be/LcUnXq7sR8Y

 

একই তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকার সময় নড়াইল জেলার সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া জনৈক মাসুদ মিয়ার দোতলা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। খান মোহাম্মদ আবু নাইম(২৫), ২। শাহারিয়ার রানা(২২) দ্বয়কে আটক করা হয়।

 

উক্ত সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, নথিপত্র এবং সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

 

খান মোহাম্মদ আবু নাইম ২০১৫ সালে জনৈক জুনায়েদ নামক ব্যক্তির দাওয়াতের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। জুনায়েদ তাকে অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরী করে দেন। অতঃপর ২০১৭ নাইম পড়াশোনার জন্য চিনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেও ভ্রমন করেন।

 

অনিয়মিত ভাবে হলেও তিনি পড়াশোনা চলাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন। ২০২০ সালে আনসার আল ইসলামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব জনৈক ওমরের মাধ্যমে শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) কে দাওয়াত প্রদান করে সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। নাইম শাহারিয়ারকে অনলাইনে গোপনে যোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উক্ত গোপনীয় অনলাইন মাধ্যম সমূহ ব্যবহার করে নিয়মিতই তারা নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকতেন।

 

শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং অর্থ সংগ্রহ ও লেনদেন বিষয়ক যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করতেন। তিনি নিজ বাসাকে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জন্য আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ) হিসেবে ব্যবহার করতেন।

 

পরবর্তীতে নাইম নিজে আরো বেশ কয়েকজনকে আনসার আল ইসলাম এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন।তারা নিয়মিত সরাসরি আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ), গোপন স্থানে কিংবা অনলাইনে অন্যান্য সদস্যদের সাথে হালাকা (গোপন বৈঠক) এবং সংগঠনের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন।

 

প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে, রোহিঙ্গাদেরকে সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাপড় ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মার মরণদশা,৪৯ বছরে পদ্মা হারিয়েছে তার স্বাভাবিক নাব্য

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

আপডেট সময় ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

 

 

 

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড নির্মূলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ সকাল ০৬.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি টহল ও বিশেষ আভিযানিক দল নড়াইল জেলায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নড়াইল সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর একটি গোপন বৈঠক চলছে।

 

https://youtu.be/LcUnXq7sR8Y

 

একই তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকার সময় নড়াইল জেলার সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া জনৈক মাসুদ মিয়ার দোতলা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। খান মোহাম্মদ আবু নাইম(২৫), ২। শাহারিয়ার রানা(২২) দ্বয়কে আটক করা হয়।

 

উক্ত সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, নথিপত্র এবং সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

 

খান মোহাম্মদ আবু নাইম ২০১৫ সালে জনৈক জুনায়েদ নামক ব্যক্তির দাওয়াতের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। জুনায়েদ তাকে অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরী করে দেন। অতঃপর ২০১৭ নাইম পড়াশোনার জন্য চিনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেও ভ্রমন করেন।

 

অনিয়মিত ভাবে হলেও তিনি পড়াশোনা চলাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন। ২০২০ সালে আনসার আল ইসলামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব জনৈক ওমরের মাধ্যমে শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) কে দাওয়াত প্রদান করে সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। নাইম শাহারিয়ারকে অনলাইনে গোপনে যোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উক্ত গোপনীয় অনলাইন মাধ্যম সমূহ ব্যবহার করে নিয়মিতই তারা নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকতেন।

 

শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং অর্থ সংগ্রহ ও লেনদেন বিষয়ক যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করতেন। তিনি নিজ বাসাকে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জন্য আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ) হিসেবে ব্যবহার করতেন।

 

পরবর্তীতে নাইম নিজে আরো বেশ কয়েকজনকে আনসার আল ইসলাম এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন।তারা নিয়মিত সরাসরি আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ), গোপন স্থানে কিংবা অনলাইনে অন্যান্য সদস্যদের সাথে হালাকা (গোপন বৈঠক) এবং সংগঠনের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন।

 

প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে, রোহিঙ্গাদেরকে সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাপড় ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।