বাংলাদেশ ০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কেন্দুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু  ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত  নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে বিএনপি নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু শাহজাহান ওমরের হলফনামায় মামলার কোন তথ্য নেই ঈশ্বরগঞ্জে যুব ফোরাম গঠিত সাংবাদিকদের নির্বাচনী সহিংসতার হুমকির আগাম বার্তা দিলেন বিএনপি নেতা জলিল মিয়াজী  নরসিংদীতে ৬০টি স্কুল কলেজ মাদ্রাাসার ডাইনামিক ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও হস্তান্তর পেকুয়ায় নিহত জিহাদের স্বরণে শোক সভা  বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পেলেন নেত্রকোণার কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা (মরণোত্তর)  রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত  আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে অসময়ে বৃস্টিতে স্হবির হয়ে পড়েছে জনজীবন বুড়িচংয়ে শ্রীমন্তপুর এম এ সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পুলিশের কাজে বাঁধা দান ও হত্যার উদ্দ্যেশ্যে হামলা সংক্রান্ত নাশকতার মামলায় ০২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। ভান্ডারিয়ার মানুষের পাশে আছেন জননেতা মহিউদ্দিন মহারাজ: মশিউর রহমান মৃধা

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১৭২২ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড নির্মূলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ সকাল ০৬.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি টহল ও বিশেষ আভিযানিক দল নড়াইল জেলায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নড়াইল সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর একটি গোপন বৈঠক চলছে।

 

 

একই তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকার সময় নড়াইল জেলার সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া জনৈক মাসুদ মিয়ার দোতলা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। খান মোহাম্মদ আবু নাইম(২৫), ২। শাহারিয়ার রানা(২২) দ্বয়কে আটক করা হয়।

 

উক্ত সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, নথিপত্র এবং সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

 

খান মোহাম্মদ আবু নাইম ২০১৫ সালে জনৈক জুনায়েদ নামক ব্যক্তির দাওয়াতের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। জুনায়েদ তাকে অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরী করে দেন। অতঃপর ২০১৭ নাইম পড়াশোনার জন্য চিনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেও ভ্রমন করেন।

 

অনিয়মিত ভাবে হলেও তিনি পড়াশোনা চলাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন। ২০২০ সালে আনসার আল ইসলামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব জনৈক ওমরের মাধ্যমে শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) কে দাওয়াত প্রদান করে সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। নাইম শাহারিয়ারকে অনলাইনে গোপনে যোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উক্ত গোপনীয় অনলাইন মাধ্যম সমূহ ব্যবহার করে নিয়মিতই তারা নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকতেন।

 

শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং অর্থ সংগ্রহ ও লেনদেন বিষয়ক যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করতেন। তিনি নিজ বাসাকে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জন্য আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ) হিসেবে ব্যবহার করতেন।

 

পরবর্তীতে নাইম নিজে আরো বেশ কয়েকজনকে আনসার আল ইসলাম এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন।তারা নিয়মিত সরাসরি আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ), গোপন স্থানে কিংবা অনলাইনে অন্যান্য সদস্যদের সাথে হালাকা (গোপন বৈঠক) এবং সংগঠনের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন।

 

প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে, রোহিঙ্গাদেরকে সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাপড় ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

 

 

 

 

 

কেন্দুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু 

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

আপডেট সময় ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

 

 

 

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড নির্মূলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ সকাল ০৬.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি টহল ও বিশেষ আভিযানিক দল নড়াইল জেলায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নড়াইল সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর একটি গোপন বৈঠক চলছে।

 

 

একই তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকার সময় নড়াইল জেলার সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া জনৈক মাসুদ মিয়ার দোতলা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। খান মোহাম্মদ আবু নাইম(২৫), ২। শাহারিয়ার রানা(২২) দ্বয়কে আটক করা হয়।

 

উক্ত সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, নথিপত্র এবং সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

 

খান মোহাম্মদ আবু নাইম ২০১৫ সালে জনৈক জুনায়েদ নামক ব্যক্তির দাওয়াতের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। জুনায়েদ তাকে অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরী করে দেন। অতঃপর ২০১৭ নাইম পড়াশোনার জন্য চিনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেও ভ্রমন করেন।

 

অনিয়মিত ভাবে হলেও তিনি পড়াশোনা চলাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন। ২০২০ সালে আনসার আল ইসলামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব জনৈক ওমরের মাধ্যমে শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) কে দাওয়াত প্রদান করে সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। নাইম শাহারিয়ারকে অনলাইনে গোপনে যোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উক্ত গোপনীয় অনলাইন মাধ্যম সমূহ ব্যবহার করে নিয়মিতই তারা নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকতেন।

 

শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং অর্থ সংগ্রহ ও লেনদেন বিষয়ক যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করতেন। তিনি নিজ বাসাকে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জন্য আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ) হিসেবে ব্যবহার করতেন।

 

পরবর্তীতে নাইম নিজে আরো বেশ কয়েকজনকে আনসার আল ইসলাম এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন।তারা নিয়মিত সরাসরি আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ), গোপন স্থানে কিংবা অনলাইনে অন্যান্য সদস্যদের সাথে হালাকা (গোপন বৈঠক) এবং সংগঠনের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন।

 

প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে, রোহিঙ্গাদেরকে সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাপড় ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।