ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
মহাদেবপুরে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মাদ্রাসায় ১৯ বস্তাসিমেন্ট দান প্রতারণা মূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের প্রধান আসামি গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। মহাদেবপুরে ডায়লগ মিটিং অনুষ্ঠিত যশোরে যৌথ অভিযানে স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার ২ ট্রেনের প্রতি ভালোবাসায় শিশু নিহানের অসাধ্য সাধন বেশি দামে মুরগির বাচ্চা বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা পটুয়াখালীতে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব এর উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিল দোয়া অনুষ্ঠিত রমজানে নিম্নআয়ের মানুষ-পথচারীদের ভরসা ‘ইফতার খানা’ বদলগাছীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর আইনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা ময়মনসিংহের ভালুকায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে একদিনেই ড্রাাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন কর্মসূচীর উদ্বোধন কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে হাজারো পূণ্যার্থীর ঢল মানিকগঞ্জে মামলা করায় বাদীকে হত্যার হুমকি সিলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের ফ্যান বিতরণ তালতলীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড নির্মূলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ সকাল ০৬.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি টহল ও বিশেষ আভিযানিক দল নড়াইল জেলায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নড়াইল সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর একটি গোপন বৈঠক চলছে।

 

 

একই তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকার সময় নড়াইল জেলার সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া জনৈক মাসুদ মিয়ার দোতলা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। খান মোহাম্মদ আবু নাইম(২৫), ২। শাহারিয়ার রানা(২২) দ্বয়কে আটক করা হয়।

 

উক্ত সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, নথিপত্র এবং সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

 

খান মোহাম্মদ আবু নাইম ২০১৫ সালে জনৈক জুনায়েদ নামক ব্যক্তির দাওয়াতের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। জুনায়েদ তাকে অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরী করে দেন। অতঃপর ২০১৭ নাইম পড়াশোনার জন্য চিনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেও ভ্রমন করেন।

 

অনিয়মিত ভাবে হলেও তিনি পড়াশোনা চলাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন। ২০২০ সালে আনসার আল ইসলামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব জনৈক ওমরের মাধ্যমে শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) কে দাওয়াত প্রদান করে সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। নাইম শাহারিয়ারকে অনলাইনে গোপনে যোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উক্ত গোপনীয় অনলাইন মাধ্যম সমূহ ব্যবহার করে নিয়মিতই তারা নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকতেন।

 

শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং অর্থ সংগ্রহ ও লেনদেন বিষয়ক যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করতেন। তিনি নিজ বাসাকে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জন্য আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ) হিসেবে ব্যবহার করতেন।

 

পরবর্তীতে নাইম নিজে আরো বেশ কয়েকজনকে আনসার আল ইসলাম এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন।তারা নিয়মিত সরাসরি আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ), গোপন স্থানে কিংবা অনলাইনে অন্যান্য সদস্যদের সাথে হালাকা (গোপন বৈঠক) এবং সংগঠনের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন।

 

প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে, রোহিঙ্গাদেরকে সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাপড় ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাদেবপুরে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মাদ্রাসায় ১৯ বস্তাসিমেন্ট দান

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় ০২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

আপডেট সময় ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

 

 

 

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড নির্মূলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ সকাল ০৬.৫৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি টহল ও বিশেষ আভিযানিক দল নড়াইল জেলায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নড়াইল সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর একটি গোপন বৈঠক চলছে।

 

 

একই তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকার সময় নড়াইল জেলার সদর থানাধীন বেতবাড়িয়া জনৈক মাসুদ মিয়ার দোতলা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। খান মোহাম্মদ আবু নাইম(২৫), ২। শাহারিয়ার রানা(২২) দ্বয়কে আটক করা হয়।

 

উক্ত সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, নথিপত্র এবং সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

 

খান মোহাম্মদ আবু নাইম ২০১৫ সালে জনৈক জুনায়েদ নামক ব্যক্তির দাওয়াতের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। জুনায়েদ তাকে অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরী করে দেন। অতঃপর ২০১৭ নাইম পড়াশোনার জন্য চিনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেও ভ্রমন করেন।

 

অনিয়মিত ভাবে হলেও তিনি পড়াশোনা চলাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন। ২০২০ সালে আনসার আল ইসলামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব জনৈক ওমরের মাধ্যমে শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) কে দাওয়াত প্রদান করে সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। নাইম শাহারিয়ারকে অনলাইনে গোপনে যোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উক্ত গোপনীয় অনলাইন মাধ্যম সমূহ ব্যবহার করে নিয়মিতই তারা নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও সদস্যদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকতেন।

 

শাহারিয়ার রানা (ওরফে সায়েম) সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং অর্থ সংগ্রহ ও লেনদেন বিষয়ক যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করতেন। তিনি নিজ বাসাকে আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জন্য আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ) হিসেবে ব্যবহার করতেন।

 

পরবর্তীতে নাইম নিজে আরো বেশ কয়েকজনকে আনসার আল ইসলাম এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন।তারা নিয়মিত সরাসরি আনসার হাউজ (সেইফ হাউজ), গোপন স্থানে কিংবা অনলাইনে অন্যান্য সদস্যদের সাথে হালাকা (গোপন বৈঠক) এবং সংগঠনের কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেন।

 

প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে, রোহিঙ্গাদেরকে সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাপড় ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতেন।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।