মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পাওনা টাকা আদায় করতে তসিবুল শাওন নামের ৯ বছরের এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে বুধবার সকালে ফুফাত ভাবী তুলে নিয়ে বসত ঘরে আটকে রাখলে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে প্রলিশ উদ্ধার করে। মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগরের এ ঘটনায় পুলিশ শিশু আটককারীনী ফুফাত ভাবী প্রতিবেশী হনুফা বেগম (৪০) কে আটক করেছে। হনুফা পৌরশহরের কশাই জাহাঙ্গীরের স্ত্রী।
থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাযায়, পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ড সবুজ নগরের বাসিন্দা হনুফা বেগম তার মামা শশুড় ও প্রতিবেশী ডাক বিভাগের রানার সিরাজুল ইসলামকে এনজিও প্রাইম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন লোন নিয়ে দেয়। ধারের টাকা কিস্তিতে শোধ করলেও ১০হাজার ৬শ’টাকা শোধ করেনি সিরাজুল। পাওনা টাকা সিরাজ দীর্ঘ দিনেও পরিশোধ না করায় বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বসত ঘরের সামনে দিয়ে শিশু শাওন যাওয়ার সময় হনুফা বেগম আপেল খেতে দিয়ে তাকে ধরে বসত ঘরের একটি কক্ষে আটকে রেখে তালা দিয়ে রাখে।
এসময় প্রতিবন্ধী শাওন ডাক চিৎকার দিলে জাহাঙ্গীরের ছোট বোন সুরাতন (৪৫) দেখে ফেলে এবং বিষয়টি শাওনের মা তাসলিমাকে জানায়। এসময় তাসলিমা ঘটনাস্থলে এসে ঘরের মধ্যে ছেলেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে উদ্ধারের চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়। পরে তাসলিমা বেগম নিরুপয় হয়ে ৯৯৯ ফোন দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনার এক ঘন্টা পর শিশুটিকে তালাবদ্ধ ঘর হতে উদ্ধার করে এবং হনুফাকে আটক করে। হনুফা জানান, তার মামা শশুর সিরাজকে ওই এনজিও হতে নিজের নামে লোন এনে দিয়েছিল।
কিন্তু কিস্তির পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে গালমন্দ করত। এজন্য রাগ করে টাকা পাওয়ার জন্য তার ছেলেকে আটক করে বলে জানায়। সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাগ্নে বউ হনুফা তার কাছে কিস্তির ১০ হাজার ৬ শত টাকা পায়। কিন্তু যোগাড় করতে পারে নায় বলে তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে আটক করবে এটা দুঃখ জনক। থানা অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, পাওনা টাকা নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়েই প্রতিবন্ধী শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত আভযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।